০৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০২৮০ বার দেখা হয়েছে

মণিপুরে ভয়ংকর সহিংসতার সময়ও বারবার তার পদত্যাগের দাবি উঠেছিলো। কিন্তু এন বীরেন সিং তখন ইস্তফা দেননি। কিন্তু বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব ও দলের বিধায়কদের বিদ্রোহের মুখে পড়ে সেই বীরেন সিং-ই ইস্তফা দিলেন।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কংগ্রেস সোমবারই অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ঘোষণা করেছিল। তার পক্ষে বিজেপি-র ২০ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক ভোট দেবেন ঠিক করেছিলেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। পঞ্চায়েতী রাজ মন্ত্রী ওয়াই ক্ষেমচাঁদ সিং এবং স্পিকার থোকচম সত্যব্রত সিং সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। তারা জানিয়ে দেন, এই দাবি থেকে তারা সরে আসবেন না। এই অবস্থায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং পদত্যাগ করেন।

রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবার থেকে যে বাজেট অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল, তা আর হবে না।

কনার্ড সাংমার ন্যাশনালিস্ট পিপলস পার্টি আগেই সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। এই অবস্থায় বিজেপি-র কাছে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু ২০ জন বিধায়ক বিক্ষুব্ধ। ফলে তাদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-কে চলতে হবে। দলের ১০ জন কুকি বিধায়ককে আলোচনার জন্য দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বিজেপি-র শীর্ষনেতারা আলোচনা করতে পারেন। তারপর তারা সমাধানসূত্র বের করবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: পরবর্তী যুদ্ধে আমেরিকা খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘প্রবল চাপের মুখে বীরেন সিং পদত্য়াগ করতে বাধ্য হলেন। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত, কংগ্রেসের অনাস্থা, মানুষের ক্ষোভের ফলে এই চাপ তৈরি হয়েছিল। গত দুই বছর ধরে বীরেন সিং মণিপুরের বিভাজনে উসকানি দিয়েছেন। সহিংসতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী মোদী তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখে দিয়েছেন। সহিংসতা, মানুষের মৃত্যু সত্ত্বেও বীরেন সিং পদে থেকেছেন। মণিপুরের ভারতের ধারণা ধ্বংস হয়েছে।’

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘কংগ্রেস সোমবার অনাস্থা আনত। চার চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। ২০২৩ থেকে কংগ্রেস এই দাবি জানিয়ে আসছে। অবশেষে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর যাননি। মণিপুর এখনো তার সফরের অপেক্ষায় আছে।’

সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, ইউএনআই

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগে

আপডেট: ০১:৫৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মণিপুরে ভয়ংকর সহিংসতার সময়ও বারবার তার পদত্যাগের দাবি উঠেছিলো। কিন্তু এন বীরেন সিং তখন ইস্তফা দেননি। কিন্তু বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাব ও দলের বিধায়কদের বিদ্রোহের মুখে পড়ে সেই বীরেন সিং-ই ইস্তফা দিলেন।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

কংগ্রেস সোমবারই অনাস্থা প্রস্তাব আনার কথা ঘোষণা করেছিল। তার পক্ষে বিজেপি-র ২০ জন বিক্ষুব্ধ বিধায়ক ভোট দেবেন ঠিক করেছিলেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। পঞ্চায়েতী রাজ মন্ত্রী ওয়াই ক্ষেমচাঁদ সিং এবং স্পিকার থোকচম সত্যব্রত সিং সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। তারা জানিয়ে দেন, এই দাবি থেকে তারা সরে আসবেন না। এই অবস্থায় মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং পদত্যাগ করেন।

রাজ্যপাল অজয় ভাল্লা জানিয়ে দিয়েছেন, সোমবার থেকে যে বাজেট অধিবেশন হওয়ার কথা ছিল, তা আর হবে না।

কনার্ড সাংমার ন্যাশনালিস্ট পিপলস পার্টি আগেই সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। এই অবস্থায় বিজেপি-র কাছে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে। কিন্তু ২০ জন বিধায়ক বিক্ষুব্ধ। ফলে তাদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-কে চলতে হবে। দলের ১০ জন কুকি বিধায়ককে আলোচনার জন্য দিল্লিতে ডাকা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বিজেপি-র শীর্ষনেতারা আলোচনা করতে পারেন। তারপর তারা সমাধানসূত্র বের করবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: পরবর্তী যুদ্ধে আমেরিকা খুব বাজেভাবে হেরে যাবে: ইলন মাস্ক

এদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘প্রবল চাপের মুখে বীরেন সিং পদত্য়াগ করতে বাধ্য হলেন। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত, কংগ্রেসের অনাস্থা, মানুষের ক্ষোভের ফলে এই চাপ তৈরি হয়েছিল। গত দুই বছর ধরে বীরেন সিং মণিপুরের বিভাজনে উসকানি দিয়েছেন। সহিংসতা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী মোদী তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদে রেখে দিয়েছেন। সহিংসতা, মানুষের মৃত্যু সত্ত্বেও বীরেন সিং পদে থেকেছেন। মণিপুরের ভারতের ধারণা ধ্বংস হয়েছে।’

কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘কংগ্রেস সোমবার অনাস্থা আনত। চার চাপে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। ২০২৩ থেকে কংগ্রেস এই দাবি জানিয়ে আসছে। অবশেষে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী মণিপুর যাননি। মণিপুর এখনো তার সফরের অপেক্ষায় আছে।’

সূত্র: ডিডাব্লিউ, পিটিআই, ইউএনআই

ঢাকা/এসএইচ