১০:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মনের দিক থেকে শান্তি পাচ্ছি: সালমা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:৫৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৪১৫১ বার দেখা হয়েছে

দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সালমা। ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। লালন গীতি ও পল্লী গীতি করে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন সালমা। গান করার পাশাপাশি একাধিক সিনেমার গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন এ শিল্পী। বর্তমান ব্যস্ততা এবং বিভিন্ন বিষয়ে সময় নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন সালমা।

পারিশ্রমিক কমানো প্রসঙ্গে-

পারিশ্রমিক কমানোর দুটি কারণ। প্রথমত, আমার আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল, বছরে তিন বা চারটি গান করব। এমন করে তিন থেকে চারশ গান আমি করে ফেলেছি। কিন্তু আমার জনপ্রিয় গান হাতে গোনা কয়েকটি। বলতে পারেন গান বেশি গাওয়ার জন্য পারিশ্রমিক কমিয়েছি। দ্বিতীয়ত, প্যান্ডামিক সিচুয়েশনে মিউজিক ইণ্ডাস্ট্রিতে বিরাট প্রেশার এসে নেমেছে। একটি গানের সঙ্গে কিন্তু অনেকে জড়িত। যেহেতু আমি একজন শিল্পী, সবাই যেহেতু কঠিন একটা সময় পার করছি। তাই আমি আমার পারিশ্রমিক কমিয়ে দিয়েছি। যাতে আমাদের মিউজিক কোম্পানিগুলোর সুবিধা হয়। সীমিত বাজেটে যারা কাজ করছেন তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই আমি বাজেট কমিয়েছি। এতে করে মনের দিক থেকে কিছুটা শান্তি পাচ্ছি। একটি গানের সঙ্গে অনেকেই জড়িত থাকে। আশা করি সবাই সুফল পাবে।

সাফিয়া ফাউন্ডেশন নিয়ে বলুন-

মানবতার কথা চিন্তা করে আমরা এ ফাউন্ডেশনটি করেছি। সাফিয়া আমার মেয়ের নাম। এটির দায়িত্বে আছেন আমার স্বামী সানাউল্লাহ নূর। উনি পেশায় একজন উকিল। আমি এটার চেয়ারম্যান। ভবিষ্যতে সারাদেশে আমাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। আমরা অনেক স্বেচ্ছাসেবক নেব। পুরো বাংলাদেশেই কাজ করার ইচ্ছা আমাদের। যতটুকু পারি তা দিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। সাফিয়া ফাউন্ডেশন আমাদের স্বস্তির একটি জায়গা।

আপনি নাকি পার্ক বানাচ্ছেন?

এটি নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। অনেকে বলছে, আমি রিসোর্ট করছি। আসলে তা না, আমি পার্ক বানাচ্ছি। নাম দিয়েছি ‘ইউরোপিয়ান পার্ক’। ইউরোপ স্টাইলে পার্কটি করার চেষ্টা করছি। ছয়-সাত মাস আগে থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ময়মনসিংগের হালুয়া ঘাটের ওইদিকে বিনোদনের কোনো জায়গা নেই। সে চিন্তা করেই আমরা পার্কটি করেছি। রিসোর্ট করার পরিকল্পনা এখনও নেই। সেটি পরে হলেও হতে পারে।

মিউজিক ইণ্ডাস্ট্রি কি করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম?

এটি অসম্ভব ব্যাপার। আমরা কেউ কিন্তু জানতাম না এরকম একটা বাজে অবস্থায় পড়ব। শিল্পী, মিউজিয়ানদের অবস্থা অনেক খারাপ। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সহায়তা পাইনি। আর পাওয়ার আশা করছি না। আমাদের শো নাই, প্রোগ্রাম নাই। দেশে সবকিছু চলছে কিন্তু গানের সেক্টরটা অচল হয়ে পড়ে আছে। আমার মনে হয় এদিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।

নতুন খবর কী দিবেন?

নতুন খবর হলো, আমি প্রতিনিয়ত গান করছি। দুটি-তিনটি করে গান করছি। অসংখ্য গান করছি। কারণ, অনেকগুলো গান করলে সেখান থেকে একশ গান জনপ্রিয় হবে। এটিই আমার জন্য অনেক।

বর্তমান ব্যস্ততা

সম্প্রতি সিলন মিউজিকের শুটিং করছি। লতা জির (লতা মঙ্গেশকর) একটি গান করেছি। পার্থ দা ছিলেন সঙ্গীতায়োজনে। তার আগে কাজলের সঙ্গীতায়োজনে তিনটি নতুন গান করেছি। এ গানগুলোতে নতুন অনেকে আমার সঙ্গে ভয়েস দিয়েছে। চেষ্টা করছি, যারা কাজ করতে চায় তাদের নিয়ে কিছু করতে।

সুএ:সময় নিউজ

শেয়ার করুন

x
English Version

মনের দিক থেকে শান্তি পাচ্ছি: সালমা

আপডেট: ১১:৫৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ জানুয়ারী ২০২১

দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সালমা। ক্লোজআপ ওয়ান প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসরের চ্যাম্পিয়ন হয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। লালন গীতি ও পল্লী গীতি করে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন সালমা। গান করার পাশাপাশি একাধিক সিনেমার গানেও কণ্ঠ দিয়েছেন এ শিল্পী। বর্তমান ব্যস্ততা এবং বিভিন্ন বিষয়ে সময় নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন সালমা।

পারিশ্রমিক কমানো প্রসঙ্গে-

পারিশ্রমিক কমানোর দুটি কারণ। প্রথমত, আমার আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল, বছরে তিন বা চারটি গান করব। এমন করে তিন থেকে চারশ গান আমি করে ফেলেছি। কিন্তু আমার জনপ্রিয় গান হাতে গোনা কয়েকটি। বলতে পারেন গান বেশি গাওয়ার জন্য পারিশ্রমিক কমিয়েছি। দ্বিতীয়ত, প্যান্ডামিক সিচুয়েশনে মিউজিক ইণ্ডাস্ট্রিতে বিরাট প্রেশার এসে নেমেছে। একটি গানের সঙ্গে কিন্তু অনেকে জড়িত। যেহেতু আমি একজন শিল্পী, সবাই যেহেতু কঠিন একটা সময় পার করছি। তাই আমি আমার পারিশ্রমিক কমিয়ে দিয়েছি। যাতে আমাদের মিউজিক কোম্পানিগুলোর সুবিধা হয়। সীমিত বাজেটে যারা কাজ করছেন তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই আমি বাজেট কমিয়েছি। এতে করে মনের দিক থেকে কিছুটা শান্তি পাচ্ছি। একটি গানের সঙ্গে অনেকেই জড়িত থাকে। আশা করি সবাই সুফল পাবে।

সাফিয়া ফাউন্ডেশন নিয়ে বলুন-

মানবতার কথা চিন্তা করে আমরা এ ফাউন্ডেশনটি করেছি। সাফিয়া আমার মেয়ের নাম। এটির দায়িত্বে আছেন আমার স্বামী সানাউল্লাহ নূর। উনি পেশায় একজন উকিল। আমি এটার চেয়ারম্যান। ভবিষ্যতে সারাদেশে আমাদের কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। আমরা অনেক স্বেচ্ছাসেবক নেব। পুরো বাংলাদেশেই কাজ করার ইচ্ছা আমাদের। যতটুকু পারি তা দিয়েই মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। সাফিয়া ফাউন্ডেশন আমাদের স্বস্তির একটি জায়গা।

আপনি নাকি পার্ক বানাচ্ছেন?

এটি নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। অনেকে বলছে, আমি রিসোর্ট করছি। আসলে তা না, আমি পার্ক বানাচ্ছি। নাম দিয়েছি ‘ইউরোপিয়ান পার্ক’। ইউরোপ স্টাইলে পার্কটি করার চেষ্টা করছি। ছয়-সাত মাস আগে থেকে কাজ শুরু হয়েছে। ময়মনসিংগের হালুয়া ঘাটের ওইদিকে বিনোদনের কোনো জায়গা নেই। সে চিন্তা করেই আমরা পার্কটি করেছি। রিসোর্ট করার পরিকল্পনা এখনও নেই। সেটি পরে হলেও হতে পারে।

মিউজিক ইণ্ডাস্ট্রি কি করোনার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম?

এটি অসম্ভব ব্যাপার। আমরা কেউ কিন্তু জানতাম না এরকম একটা বাজে অবস্থায় পড়ব। শিল্পী, মিউজিয়ানদের অবস্থা অনেক খারাপ। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সহায়তা পাইনি। আর পাওয়ার আশা করছি না। আমাদের শো নাই, প্রোগ্রাম নাই। দেশে সবকিছু চলছে কিন্তু গানের সেক্টরটা অচল হয়ে পড়ে আছে। আমার মনে হয় এদিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত।

নতুন খবর কী দিবেন?

নতুন খবর হলো, আমি প্রতিনিয়ত গান করছি। দুটি-তিনটি করে গান করছি। অসংখ্য গান করছি। কারণ, অনেকগুলো গান করলে সেখান থেকে একশ গান জনপ্রিয় হবে। এটিই আমার জন্য অনেক।

বর্তমান ব্যস্ততা

সম্প্রতি সিলন মিউজিকের শুটিং করছি। লতা জির (লতা মঙ্গেশকর) একটি গান করেছি। পার্থ দা ছিলেন সঙ্গীতায়োজনে। তার আগে কাজলের সঙ্গীতায়োজনে তিনটি নতুন গান করেছি। এ গানগুলোতে নতুন অনেকে আমার সঙ্গে ভয়েস দিয়েছে। চেষ্টা করছি, যারা কাজ করতে চায় তাদের নিয়ে কিছু করতে।

সুএ:সময় নিউজ