০৫:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

মিয়ানমারের রাস্তায় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১২৮ বার দেখা হয়েছে

মিয়ানমারে বিক্ষোভ ঠেকাতে রাস্তায় সেনাবাহিনী নামিয়েছে দেশটির সামরিক শাসক।

সোমবার মিয়ানমারের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান টহল দিতে দেখা গেছে। 

ইয়াঙ্গুনে স্যুলে প্যাগোডার সামনে সেনাবাহিনীর চারটি জলবাহী কামান দেখা যায়। এই জায়গাটি বিক্ষোভকারীদের কেন্দ্রস্থল। সোমবারও কিছু বিক্ষোভকারী এখানে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন।   

এছাড়া রোববার রাত থেকে দেশটিতে ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের 

মিয়ানমারের টেলিকম অপারেটররা জানিয়েছে, তাদেরকে রাত ১টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। 

ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান নেটব্লক জানিয়েছে, এই আদেশ কার্যকর হওয়ার পর ইন্টারনেটের গতি ছিল স্বাভাবিক অবস্থার ১৪ শতাংশ।

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। 

মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ কর্মকর্তা টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, মিয়ানমারে জেনারেলরা উদ্ধত আচরণ করছে। এর জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার দখল নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। যার বিরুদ্ধে টানা ৯ দিন ধরে গণবিক্ষোভ চলছে। 

বিক্ষোভের নবম দিনে রোববার দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাজ্য কাচিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভে গুলি চালায়।

রোববার অভ্যুত্থানবিরোধীদের খুঁজে বের করতে নতুন করে কিছু আইন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং কোনো পলাতক নেতাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্ক করে নোটিশ জারি করা হয়েছে। 

এদিকে, এখনও এ অবস্থাকে দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান অটুট রেখেছে চীন ও রাশিয়া।

শেয়ার করুন

x
English Version

মিয়ানমারের রাস্তায় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান, ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন

আপডেট: ১২:১৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মিয়ানমারে বিক্ষোভ ঠেকাতে রাস্তায় সেনাবাহিনী নামিয়েছে দেশটির সামরিক শাসক।

সোমবার মিয়ানমারের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান টহল দিতে দেখা গেছে। 

ইয়াঙ্গুনে স্যুলে প্যাগোডার সামনে সেনাবাহিনীর চারটি জলবাহী কামান দেখা যায়। এই জায়গাটি বিক্ষোভকারীদের কেন্দ্রস্থল। সোমবারও কিছু বিক্ষোভকারী এখানে জড়ো হতে শুরু করেছিলেন।   

এছাড়া রোববার রাত থেকে দেশটিতে ইন্টারনেট সংযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের 

মিয়ানমারের টেলিকম অপারেটররা জানিয়েছে, তাদেরকে রাত ১টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। 

ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান নেটব্লক জানিয়েছে, এই আদেশ কার্যকর হওয়ার পর ইন্টারনেটের গতি ছিল স্বাভাবিক অবস্থার ১৪ শতাংশ।

জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। 

মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ কর্মকর্তা টম অ্যান্ড্রুজ বলেন, মিয়ানমারে জেনারেলরা উদ্ধত আচরণ করছে। এর জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতার দখল নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। যার বিরুদ্ধে টানা ৯ দিন ধরে গণবিক্ষোভ চলছে। 

বিক্ষোভের নবম দিনে রোববার দেশটির উত্তরাঞ্চলের রাজ্য কাচিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভে গুলি চালায়।

রোববার অভ্যুত্থানবিরোধীদের খুঁজে বের করতে নতুন করে কিছু আইন অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এবং কোনো পলাতক নেতাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে নাগরিকদের সতর্ক করে নোটিশ জারি করা হয়েছে। 

এদিকে, এখনও এ অবস্থাকে দেশটির অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান অটুট রেখেছে চীন ও রাশিয়া।