০১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে যা বললেন ওমর সানী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:১৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১০২৫৩ বার দেখা হয়েছে

আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের চেক ডিজঅনার মামলায় চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে গত ২৪ জুলাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ১ লাখ ৬ হাজার ২১১ টাকার চেক ডিজ-অনারের অভিযোগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে অভিনেত্রী আরিফা পারভিন জামান মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা করেন আইপিডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মুশফিকুর রশীদ।

পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তার গুলশান-১-এর বাসায় এ সমন পাঠানো হয়। সেখান থেকে সমন ফেরত গেলে ২৮ এপ্রিল তার বসুন্ধরা আবাসিকের বাসায় ফের সমন পাঠানো হয়। এদিন সমন জারি হওয়ায় তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

এ বিষয়ে এক গণমাধ্যমকে মৌসুমীর স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানি বলেন, ‘এর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার শতাধিক ঋণখেলাপিকে আমি চিনি। দু, চার, পাঁচ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তারা পরিশোধ করেনি। সেখানে মৌসুমীর কয়েক লাখ টাকার ঋণের বিষয়টি মামলা পর্যন্ত নিয়ে গেছে! এটা মৌসুমীকে অসম্মান ও অপদস্থ করা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

আরও পড়ুন: হানিমুনে কোথায় গেলেন অনন্ত-রাধিকা

ওমর সানি বলেন, ‘ওর নামটা যেহেতু মৌসুমী, তা ভাইরাল করার চেষ্টা করল। সামান্য কিছু টাকার জন্য মৌসুমীকে যদি অসম্মান করা হয়, তাহলে অন্য কোটি কোটি ঋণখেলাপির নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন।’

তাই পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আইনগত সমাধানের চেষ্টায় সমাধান করবেন বলে জানান তিনি।

এর আগে ঘটনা প্রসঙ্গে ওমর সানী ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, ‘আমরা একটি গাড়ির লোন নিয়েছিলাম। প্রতিমাসে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। তবে সম্প্রতি এক প্রতারকের কারণে আমি ও আমার সন্তান ব্যবসায়িক ক্ষতির শিকার হয়েছি। যে বিষয়টি নিয়ে আমাকে আদালতেও যেতে হয়েছে। এমন অবস্থায় আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডকে আমি একটি চিঠি দেই, এটা উল্লেখ করে- প্রতি মাসে যদি ৫০-৬০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করা যায়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য সহজ হবে। যেহেতু এখন একটা অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’

বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন মৌসুমী। বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে মেয়েকে নিয়ে থাকছেন তিনি। এর মধ্যেই নায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

মৌসুমীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে যা বললেন ওমর সানী

আপডেট: ০৫:১৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের চেক ডিজঅনার মামলায় চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিরুদ্ধে গত ২৪ জুলাই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গ্রেপ্তারসংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের ১ লাখ ৬ হাজার ২১১ টাকার চেক ডিজ-অনারের অভিযোগে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে অভিনেত্রী আরিফা পারভিন জামান মৌসুমীর বিরুদ্ধে মামলা করেন আইপিডিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এম মুশফিকুর রশীদ।

পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করেন। আদালতে হাজির হওয়ার জন্য তার গুলশান-১-এর বাসায় এ সমন পাঠানো হয়। সেখান থেকে সমন ফেরত গেলে ২৮ এপ্রিল তার বসুন্ধরা আবাসিকের বাসায় ফের সমন পাঠানো হয়। এদিন সমন জারি হওয়ায় তিনি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় ২৪ জুলাই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

এ বিষয়ে এক গণমাধ্যমকে মৌসুমীর স্বামী চিত্রনায়ক ওমর সানি বলেন, ‘এর চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ টাকার শতাধিক ঋণখেলাপিকে আমি চিনি। দু, চার, পাঁচ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তারা পরিশোধ করেনি। সেখানে মৌসুমীর কয়েক লাখ টাকার ঋণের বিষয়টি মামলা পর্যন্ত নিয়ে গেছে! এটা মৌসুমীকে অসম্মান ও অপদস্থ করা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

আরও পড়ুন: হানিমুনে কোথায় গেলেন অনন্ত-রাধিকা

ওমর সানি বলেন, ‘ওর নামটা যেহেতু মৌসুমী, তা ভাইরাল করার চেষ্টা করল। সামান্য কিছু টাকার জন্য মৌসুমীকে যদি অসম্মান করা হয়, তাহলে অন্য কোটি কোটি ঋণখেলাপির নাম প্রকাশ করা হচ্ছে না কেন।’

তাই পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আইনগত সমাধানের চেষ্টায় সমাধান করবেন বলে জানান তিনি।

এর আগে ঘটনা প্রসঙ্গে ওমর সানী ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, ‘আমরা একটি গাড়ির লোন নিয়েছিলাম। প্রতিমাসে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হতো। তবে সম্প্রতি এক প্রতারকের কারণে আমি ও আমার সন্তান ব্যবসায়িক ক্ষতির শিকার হয়েছি। যে বিষয়টি নিয়ে আমাকে আদালতেও যেতে হয়েছে। এমন অবস্থায় আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডকে আমি একটি চিঠি দেই, এটা উল্লেখ করে- প্রতি মাসে যদি ৫০-৬০ হাজার টাকা করে পরিশোধ করা যায়, তাহলে সেটা আমাদের জন্য সহজ হবে। যেহেতু এখন একটা অর্থনৈতিক জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।’

বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছেন মৌসুমী। বহুদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে মেয়েকে নিয়ে থাকছেন তিনি। এর মধ্যেই নায়িকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়।

ঢাকা/এসএইচ