০২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

যা না জানলেই নয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে করনীয় এবং বর্জনীয়!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৫:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৫৩৩৪ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্যের মধ্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জেনে-বুঝে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।​

মৌল ভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানী যাচাইয়ের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলি বিবেচনায় রাখুন:

প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনঃ

সম্পদের পরিমাণ এবং তার যথাযথ ব্যবহার

নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান এবং লভ্যাংশের হার

নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা করা এবং শেয়ার হোল্ডারদের মতামতের গুরুত্ব প্রদান

মুনাফা, শেয়ার প্রতি আয়, শেয়ার প্রতি নীট সম্পদের পরিমাণ ও উহাদের ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি

সঠিক সময়ে সকল মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ

সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত সকল আইন-কানুন, বিধি-বিধান পরিপালন করে কোম্পানী পরিচালনা।

 

বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিবেচ্য বিষয়সমূহ:

বিগত সময়ে মূল্য উঠানামা পর্যালোচনা

বাজার, সেক্টর ও সিকিউরিটিজের মূল্য/আয় অনুপাত পর্যালোচনা

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদ, মধ্যমেয়াদ এবং দীর্ঘমেয়াদে পুঁজি বন্টনের মাধ্যমে পরিকল্পনা

বিভিন্ন সেক্টর এবং ধরনের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের মাধ্যমে পোর্টফোলিও গঠন করে বিনিয়োগের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিধি-বিধান এবং লেনদেন সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলা

 

বিনিয়োগকারীদের জন্য করনীয়ঃ

আশাতিরিক্ত লাভজনক বিনিয়োগ প্রলোভন থেকে সাবধান থাকুন।

আপনার আয়-ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যক্তিগত বাজেট ও আর্থিক পরিকল্পনা করুন।

বিভিন্ন বিনিয়োগ পণ্য ও খাতের ঝুঁকি সম্পর্কে জানুন।

সঞ্চয় থেকে কোন সিকিউরিটিজ বা খাতে কত বিনিয়োগ করবেন সিদ্ধান্ত নিন।

পর্যাপ্ত বিচার-বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিন।

আপনার হিসাবে রক্ষিত সিকিউরিটিজ ও অর্থের বিষয়ে সচেতন থাকুন।

বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন-কানুন সম্পর্কে অবগত হয়ে বিধি-নিষেধ মেনে চলুন।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানীর আর্থিক অবস্থা, ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য বিষয়ে ধারণা নিন।

বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে বিনিয়োগ হিসাব খুলুন।

বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত আপনি নিজে নিন, প্রয়োজনে বিনিয়োগ বিশ্লেষকের সহয়াতা নিন।

আপনার আর্থিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের মেয়াদ নির্ধারণ করুন।

ঋণ গ্রহণের পূর্বে আপনার ঋণ পরিশোধের সঙ্গতি এবং ঋণের শর্তসমূহ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।

আপনার কোন অভিযোগ থাকলে স্টক এক্সচেঞ্জ বা কমিশনকে অবহিত করুন।

সময়মত বিনিয়োগ এবং বিক্রয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।

 

বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্জনীয়ঃ

সঞ্চয়ের পুরোটা একই খাতে বিনিয়োগ নয়।

আপনার সংগতির অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ করবেন না।

কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে বিনিয়োগ নয়।

গুজবের ভিত্তিতে বিনিয়োগ নয়।

“বিনিয়োগ মানে নিশ্চিত লাভ”- এই ধারনায় বিনিয়োগ নয়।

অনিশ্চিত তথ্য বা চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে বিনিয়োগ নয়।

অযৌক্তিক অতিরিক্ত দরে বিনিয়োগ নয়।

প্রত্যেকটি বিনিয়োগে ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে বিধায় ঝুঁকি বিশ্লেষণ না করে বিনিয়োগ নয়।

জ্ঞাতসারে বে-আইনী বা অননুমোদিত কোন খাতে বিনিয়োগ নয়।

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বিনিয়োগ নয়।

কোন অনুমোদনহীন দলিল বা ফরম এ স্বাক্ষর করবেন না।

প্রয়োজনীয় অনুমোদন ব্যতীত ইস্যুকৃত কোন সিকিউরিটিজ বা চুক্তিপত্রে- আয়ের হার অনেক বেশী ও কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও বিনিয়োগ করবেন না।

(চলবে)

শেয়ার করুন

x
English Version

যা না জানলেই নয়, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে করনীয় এবং বর্জনীয়!

আপডেট: ১২:৪৫:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী ২০২১

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অন্যান্যের মধ্যে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে জেনে-বুঝে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।​

মৌল ভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানী যাচাইয়ের জন্য নিম্নোক্ত বিষয়গুলি বিবেচনায় রাখুন:

প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসনঃ

সম্পদের পরিমাণ এবং তার যথাযথ ব্যবহার

নিয়মিত লভ্যাংশ প্রদান এবং লভ্যাংশের হার

নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা করা এবং শেয়ার হোল্ডারদের মতামতের গুরুত্ব প্রদান

মুনাফা, শেয়ার প্রতি আয়, শেয়ার প্রতি নীট সম্পদের পরিমাণ ও উহাদের ধনাত্মক প্রবৃদ্ধি

সঠিক সময়ে সকল মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ

সিকিউরিটিজ সংক্রান্ত সকল আইন-কানুন, বিধি-বিধান পরিপালন করে কোম্পানী পরিচালনা।

 

বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিবেচ্য বিষয়সমূহ:

বিগত সময়ে মূল্য উঠানামা পর্যালোচনা

বাজার, সেক্টর ও সিকিউরিটিজের মূল্য/আয় অনুপাত পর্যালোচনা

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদ, মধ্যমেয়াদ এবং দীর্ঘমেয়াদে পুঁজি বন্টনের মাধ্যমে পরিকল্পনা

বিভিন্ন সেক্টর এবং ধরনের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের মাধ্যমে পোর্টফোলিও গঠন করে বিনিয়োগের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা

বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিধি-বিধান এবং লেনদেন সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলা

 

বিনিয়োগকারীদের জন্য করনীয়ঃ

আশাতিরিক্ত লাভজনক বিনিয়োগ প্রলোভন থেকে সাবধান থাকুন।

আপনার আয়-ব্যয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যক্তিগত বাজেট ও আর্থিক পরিকল্পনা করুন।

বিভিন্ন বিনিয়োগ পণ্য ও খাতের ঝুঁকি সম্পর্কে জানুন।

সঞ্চয় থেকে কোন সিকিউরিটিজ বা খাতে কত বিনিয়োগ করবেন সিদ্ধান্ত নিন।

পর্যাপ্ত বিচার-বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নিন।

আপনার হিসাবে রক্ষিত সিকিউরিটিজ ও অর্থের বিষয়ে সচেতন থাকুন।

বিনিয়োগ সংক্রান্ত আইন-কানুন সম্পর্কে অবগত হয়ে বিধি-নিষেধ মেনে চলুন।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কোম্পানীর আর্থিক অবস্থা, ব্যবস্থাপনা এবং অন্যান্য বিষয়ে ধারণা নিন।

বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে বিনিয়োগ হিসাব খুলুন।

বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত আপনি নিজে নিন, প্রয়োজনে বিনিয়োগ বিশ্লেষকের সহয়াতা নিন।

আপনার আর্থিক পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগের মেয়াদ নির্ধারণ করুন।

ঋণ গ্রহণের পূর্বে আপনার ঋণ পরিশোধের সঙ্গতি এবং ঋণের শর্তসমূহ বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।

আপনার কোন অভিযোগ থাকলে স্টক এক্সচেঞ্জ বা কমিশনকে অবহিত করুন।

সময়মত বিনিয়োগ এবং বিক্রয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।

 

বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্জনীয়ঃ

সঞ্চয়ের পুরোটা একই খাতে বিনিয়োগ নয়।

আপনার সংগতির অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ করবেন না।

কারো দ্বারা প্ররোচিত হয়ে বিনিয়োগ নয়।

গুজবের ভিত্তিতে বিনিয়োগ নয়।

“বিনিয়োগ মানে নিশ্চিত লাভ”- এই ধারনায় বিনিয়োগ নয়।

অনিশ্চিত তথ্য বা চটকদার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে বিনিয়োগ নয়।

অযৌক্তিক অতিরিক্ত দরে বিনিয়োগ নয়।

প্রত্যেকটি বিনিয়োগে ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে বিধায় ঝুঁকি বিশ্লেষণ না করে বিনিয়োগ নয়।

জ্ঞাতসারে বে-আইনী বা অননুমোদিত কোন খাতে বিনিয়োগ নয়।

অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বিনিয়োগ নয়।

কোন অনুমোদনহীন দলিল বা ফরম এ স্বাক্ষর করবেন না।

প্রয়োজনীয় অনুমোদন ব্যতীত ইস্যুকৃত কোন সিকিউরিটিজ বা চুক্তিপত্রে- আয়ের হার অনেক বেশী ও কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও বিনিয়োগ করবেন না।

(চলবে)