০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৪৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪১০৮ বার দেখা হয়েছে

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। যেভাবেই হোক না কেনো, নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘আপনারা তো ভোটের জন্য শতভাগ প্রস্তুত হয়ে গেছেন। রাজনীতি পরিস্থিতি কি ভোটমুখী মনে করছেন?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব, জাতীয় নির্বাচনের জন্য, কিন্তু প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়। প্রস্তুতি কিন্তু আগে থেকে নিতে হয়। যেমন ভোটার তালিকা করতে হবে, ভোটকেন্দ্র করতে হবে। যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ব্যালট পেপার কেনার জন্য কাগজ প্রকিউরমেন্ট করতে হবে। নির্বাচনের জন্য বক্স লাগবে, সেগুলো কিনতে হবে, কালি লাগবে। সুই, সুতা নানান ধরনের জিনিস লাগবে। এখন নির্বাচন ডিসেম্বরে, না কি জানুয়ারিতে হবে, সেটি পরের বিষয়। নির্বাচন যখনই করেন, আপনাকে প্রস্তুতি তো আগে থেকেই রাখতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেছেন, নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো দেশের যেকোনো সংস্থা আমাদের আবেদন করতে পারে। তারা আবেদন করলে আমরা অনুমোদন দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিলে তারা চলে আসে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফেম্বোজার সদস্যদের দেশ, বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের ইনভাইট করি। আমরা শিগগিরই তাদের ইনভাইট করব। সার্কভুক্ত দেশগুলো (আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। আমরা চাই, দেশি-বিদেশি বেশি সংখ্যক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক।

আরও পড়ুন: ভিসানীতির বিষয়ে আমাদের কিছুই করণীয় নেই: ইসি

মো. আলমগীর বলেন, সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা ফ্লেক্সিবল করা হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসারকে জানিয়ে বা অবহিত করে যেতে হবে। অবহিত করলে সে আপনাকে নিষেধ করতে পারবে না।

ভোটের আগে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবেন কি না, জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা তো আশা করি আসবেন।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো একটি সংস্থা। পৃথিবীতে তো আরও অনেক দেশ আছে। ইউরোপে অনেক দেশ আছে, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় অনেক দেশ আছে, সার্কভুক্ত দেশে আছে। এসব দেশ থেকে আসতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলেছে পূর্ণাঙ্গ না, ছোট পরিসরে আসতে পারে। পরবর্তীতে হয়তো তারা মনেও করতে পারে বড় পরিসরে আসব। এটি তো চূড়ান্ত কোনো কথা না।’

মো. আলমগীর বলেন, ’আমরা তো একটি শপথ করেছি, না কি? আমরা কিন্তু সরকারি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী না। আমরা কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছি এবং সংবিধানের দোহাই শপথ নিয়েছি। সেই শপথ তো আমাদের পূরণ করতে হবে।’

রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের পথে আছে কি না, জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ’রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শঙ্কট আছে। নির্বাচন চায় না, এমনটা তো কেউ বলছে না। আমাদের নিবন্ধিত যে রাজনৈতিক দল আছে, কোনো দলই নির্বাচন চায় না, এটি বলেনি। আমরা কেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব না?’

নির্বাচনে পরিবেশ নিয়ে অনেকে কথা বলছেন—বিষয়টি নজরে আনলে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে হয়তো অনেকে কথা বলছেন। পরিবেশ যাতে সুন্দর করা যায়, তার জন্য আমরা চেষ্টা করব। পরিবেশের সবটা সুন্দর করার দায়িত্ব তো শুধু আমাদের না। পরিবেশ সুন্দর করা আমাদের যেটুকু দায়িত্ব সেটুকু আমরা করে যাচ্ছি।’

ঢাকা/এসএ

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

English Version

যেভাবেই হোক না কেন নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর

আপডেট: ০৫:৪৬:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। যেভাবেই হোক না কেনো, নির্বাচন হতে হবে। তা না হলে একটি সাংবিধানিক গ্যাপ (শূন্যতা) তৈরি হবে। সেই গ্যাপ তৈরি হলে দেশে একটা অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটি তো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে ‘আপনারা তো ভোটের জন্য শতভাগ প্রস্তুত হয়ে গেছেন। রাজনীতি পরিস্থিতি কি ভোটমুখী মনে করছেন?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ কথা বলেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

মো. আলমগীর বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর যে দায়িত্ব, জাতীয় নির্বাচনের জন্য, কিন্তু প্রস্তুতি প্রয়োজন হয়। প্রস্তুতি কিন্তু আগে থেকে নিতে হয়। যেমন ভোটার তালিকা করতে হবে, ভোটকেন্দ্র করতে হবে। যারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। ব্যালট পেপার কেনার জন্য কাগজ প্রকিউরমেন্ট করতে হবে। নির্বাচনের জন্য বক্স লাগবে, সেগুলো কিনতে হবে, কালি লাগবে। সুই, সুতা নানান ধরনের জিনিস লাগবে। এখন নির্বাচন ডিসেম্বরে, না কি জানুয়ারিতে হবে, সেটি পরের বিষয়। নির্বাচন যখনই করেন, আপনাকে প্রস্তুতি তো আগে থেকেই রাখতে হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে আলমগীর বলেছেন, নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো দেশের যেকোনো সংস্থা আমাদের আবেদন করতে পারে। তারা আবেদন করলে আমরা অনুমোদন দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিলে তারা চলে আসে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফেম্বোজার সদস্যদের দেশ, বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের ইনভাইট করি। আমরা শিগগিরই তাদের ইনভাইট করব। সার্কভুক্ত দেশগুলো (আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শিগগিরই তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। আমরা চাই, দেশি-বিদেশি বেশি সংখ্যক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক।

আরও পড়ুন: ভিসানীতির বিষয়ে আমাদের কিছুই করণীয় নেই: ইসি

মো. আলমগীর বলেন, সাংবাদিকদের জন্য নীতিমালা ফ্লেক্সিবল করা হয়েছে। প্রিজাইডিং অফিসারকে জানিয়ে বা অবহিত করে যেতে হবে। অবহিত করলে সে আপনাকে নিষেধ করতে পারবে না।

ভোটের আগে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবেন কি না, জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা তো আশা করি আসবেন।’

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো একটি সংস্থা। পৃথিবীতে তো আরও অনেক দেশ আছে। ইউরোপে অনেক দেশ আছে, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় অনেক দেশ আছে, সার্কভুক্ত দেশে আছে। এসব দেশ থেকে আসতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলেছে পূর্ণাঙ্গ না, ছোট পরিসরে আসতে পারে। পরবর্তীতে হয়তো তারা মনেও করতে পারে বড় পরিসরে আসব। এটি তো চূড়ান্ত কোনো কথা না।’

মো. আলমগীর বলেন, ’আমরা তো একটি শপথ করেছি, না কি? আমরা কিন্তু সরকারি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী না। আমরা কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছি এবং সংবিধানের দোহাই শপথ নিয়েছি। সেই শপথ তো আমাদের পূরণ করতে হবে।’

রাজনৈতিক দলগুলো ভোটের পথে আছে কি না, জানতে চাইলে মো. আলমগীর বলেন, ’রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শঙ্কট আছে। নির্বাচন চায় না, এমনটা তো কেউ বলছে না। আমাদের নিবন্ধিত যে রাজনৈতিক দল আছে, কোনো দলই নির্বাচন চায় না, এটি বলেনি। আমরা কেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব না?’

নির্বাচনে পরিবেশ নিয়ে অনেকে কথা বলছেন—বিষয়টি নজরে আনলে মো. আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে হয়তো অনেকে কথা বলছেন। পরিবেশ যাতে সুন্দর করা যায়, তার জন্য আমরা চেষ্টা করব। পরিবেশের সবটা সুন্দর করার দায়িত্ব তো শুধু আমাদের না। পরিবেশ সুন্দর করা আমাদের যেটুকু দায়িত্ব সেটুকু আমরা করে যাচ্ছি।’

ঢাকা/এসএ

Print Friendly, PDF & Email