১১:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

যেসব ফল আমদানিতে শুল্ক কমলো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
  • / ১০২৯৯ বার দেখা হয়েছে

ফলের বাজার স্থিতিশীল এবং সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে এবার কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙ্গুর, জাম্বুরা, বাতাবি লেবু ও লেবু জাতীয় তাজা বা শুকনো ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল সোমবার (১৭ মার্চ) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপনের ওই আদেশ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর ধরা হয়েছে।

এর আগে গত ১৩ মার্চ কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙুর ও লেবু জাতীয় তাজা বা শুকনো ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। চারদিনের মাথায় শুল্কও কমানো হলো।

এনবিআর সূত্র জানায়, বিলাসী পণ্য বিবেচনা করে আমদানি করা ফলে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে রমজানে ফলের বাজার স্থিতিশীল এবং সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখার বিবেচনায় তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারে সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। প্রতিষ্ঠানটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক ও অগ্রিম কর (এটি) প্রত্যাহার এবং অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কামানোর সুপারিশ করে।

ট্যারিফ কমিশনের চিঠিতে রমজানে খেজুরসহ অন্যান্য তাজা ফল যৌক্তিক মূল্যে ভোক্তাগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য সরাসরি আমদানিকারকের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক অথবা ভ্যানে করে যৌক্তিক মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করার সুপারিশও ছিল।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে কোভিড পরবর্তী সময় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও রিজার্ভের চাপ সামাল দিতে প্রায় ১৩৫টি পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক শূন্য ও তিন শতাংশ থেকে একবারে বাড়িয়েছিল। সে তালিকার বড় অংশই ছিল আমদানি করা ফল।

আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেন বেড়েছে ৩২ শতাংশ

বর্তমানে রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা ২৮০-৩১০ টাকা, কমলা ২৯০-৩০০ টাকা, চায়না (মোটা) কমলা ৩০০-৩২০ টাকা হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩৫০ টাকা কেজি দরে, নাশপতি ৩১০-৩৪০ টাকা এবং আঙ্গুরও তিনশ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

যেসব ফল আমদানিতে শুল্ক কমলো

আপডেট: ১২:১৩:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

ফলের বাজার স্থিতিশীল এবং সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখতে এবার কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙ্গুর, জাম্বুরা, বাতাবি লেবু ও লেবু জাতীয় তাজা বা শুকনো ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সম্পূরক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গতকাল সোমবার (১৭ মার্চ) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপনের ওই আদেশ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর ধরা হয়েছে।

এর আগে গত ১৩ মার্চ কমলা, আপেল, নাশপাতি, আঙুর ও লেবু জাতীয় তাজা বা শুকনো ফল আমদানিতে উৎসে কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। চারদিনের মাথায় শুল্কও কমানো হলো।

এনবিআর সূত্র জানায়, বিলাসী পণ্য বিবেচনা করে আমদানি করা ফলে সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। তবে রমজানে ফলের বাজার স্থিতিশীল এবং সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে রাখার বিবেচনায় তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক-কর প্রত্যাহারে সুপারিশ করেছিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। প্রতিষ্ঠানটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে তাজা ফল আমদানিতে বাড়তি শুল্ক ও অগ্রিম কর (এটি) প্রত্যাহার এবং অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কামানোর সুপারিশ করে।

ট্যারিফ কমিশনের চিঠিতে রমজানে খেজুরসহ অন্যান্য তাজা ফল যৌক্তিক মূল্যে ভোক্তাগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য সরাসরি আমদানিকারকের মাধ্যমে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে ট্রাক অথবা ভ্যানে করে যৌক্তিক মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করার সুপারিশও ছিল।

এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে কোভিড পরবর্তী সময় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও রিজার্ভের চাপ সামাল দিতে প্রায় ১৩৫টি পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক শূন্য ও তিন শতাংশ থেকে একবারে বাড়িয়েছিল। সে তালিকার বড় অংশই ছিল আমদানি করা ফল।

আরও পড়ুন: মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেন বেড়েছে ৩২ শতাংশ

বর্তমানে রাজধানীর অধিকাংশ বাজারে প্রতি কেজি মাল্টা ২৮০-৩১০ টাকা, কমলা ২৯০-৩০০ টাকা, চায়না (মোটা) কমলা ৩০০-৩২০ টাকা হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে আপেল বিক্রি হচ্ছে ৩১০-৩৫০ টাকা কেজি দরে, নাশপতি ৩১০-৩৪০ টাকা এবং আঙ্গুরও তিনশ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ঢাকা/টিএ