০৩:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রমজানের আগেই নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৩৯ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ ‘রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না’, ‘রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে’, প্রতিবছর রমজানের আগে সরকারের এমন ঘোষণাই থাকে। তবুও রমজান আসার আগেই বাড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিশেষ করে রমজানে বাড়তি চাহিদা সৃষ্টিকারী পণ্যের দাম থাকে উর্ধ্বমুখী।

এবারও ব্যতিক্রম নয়। রমজান আসার আগেই বেড়েছে গরুর মাংস, আলু, পেঁয়াজ, ছোলা, চিনির দাম। এ দাম আরও বাড়তে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

 

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে বাজার দরের এমন চিত্র দেখা গেছে।

এক আটি পুঁইশাকের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা শুনে অজান্তেই কপালে ভাঁজ পড়ছে নিম্নআয়ের মানুষের। এক কেজি আলু কিনতে আজ গুনতে হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। বাজার দরের বর্তমান অবস্থা অনেকটাই নাভিশ্বাস সৃষ্টি করেছে খেটে খাওয়া মানুষ ও নিম্নমধ্যবিত্তদের।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে আরও ৫ টাকা বেড়েছে চিনির দাম। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি। ছোলা ৮০ টাকা, মুড়ি ১৩০ টাকা কেজি, বুটের ডাল ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বেসন ১৫০ টাকা।

নিম্নআয়ের মানুষের অনেকটা নাগালের বাইরে চলে গেছে গরুর মাংসের বাজার। ৬২০ টাকার কমে মিলছে না গরুর মাংস। কোথাও কোথাও এক কেজি গরুর মাংসের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত।

সামনে রমজান, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সরকারি নির্দশনাসহ নানা অজুহাতে দাম বেড়ে চলেছে সবজিরও। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে সজনে ডাটা, বরবটি, বেগুন, ঢেঁড়সসহ বেশ কিছু সবজির।

গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সজনে ডাটার দাম আজ বিক্রেতা হাঁকছেন ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স।

কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বেগুনের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। একই হারে বেড়ে লাউয়ের পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে পাকা টমেটোর দাম। বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়। শশা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

এদিকে ওঠানামার মধ্যে আছে পেঁয়াজের দাম। গত দুই সপ্তাহ ধরে ৩২ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে পেঁয়াজের বাজার। শুক্রবার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকায়। কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়।

ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস। ধুন্দল, চিচিঙ্গা কিনতে কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে টাকা।

শাকের বাজার যেন অস্থির হয়ে পড়েছে। দুই একটি পদ বাদে ১০ টাকায় এক আঁটি শাক পাওয়া এখন কঠিন। বাজার ঘুরে দেখা গেল, পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে লালশাক, সবুজ শাক, পাট ও কলমিশাক। পুঁই শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ডাটা ২০ থেকে ৩০ টাকা।

ঢাকা/জেএইচ/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

রমজানের আগেই নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য

আপডেট: ০১:২০:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ ‘রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়বে না’, ‘রমজানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ আছে’, প্রতিবছর রমজানের আগে সরকারের এমন ঘোষণাই থাকে। তবুও রমজান আসার আগেই বাড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বিশেষ করে রমজানে বাড়তি চাহিদা সৃষ্টিকারী পণ্যের দাম থাকে উর্ধ্বমুখী।

এবারও ব্যতিক্রম নয়। রমজান আসার আগেই বেড়েছে গরুর মাংস, আলু, পেঁয়াজ, ছোলা, চিনির দাম। এ দাম আরও বাড়তে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

 

বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে বাজার দরের এমন চিত্র দেখা গেছে।

এক আটি পুঁইশাকের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা শুনে অজান্তেই কপালে ভাঁজ পড়ছে নিম্নআয়ের মানুষের। এক কেজি আলু কিনতে আজ গুনতে হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ টাকা। বাজার দরের বর্তমান অবস্থা অনেকটাই নাভিশ্বাস সৃষ্টি করেছে খেটে খাওয়া মানুষ ও নিম্নমধ্যবিত্তদের।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিতে আরও ৫ টাকা বেড়েছে চিনির দাম। এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজি। ছোলা ৮০ টাকা, মুড়ি ১৩০ টাকা কেজি, বুটের ডাল ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে বেসন ১৫০ টাকা।

নিম্নআয়ের মানুষের অনেকটা নাগালের বাইরে চলে গেছে গরুর মাংসের বাজার। ৬২০ টাকার কমে মিলছে না গরুর মাংস। কোথাও কোথাও এক কেজি গরুর মাংসের জন্য গুনতে হচ্ছে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত।

সামনে রমজান, স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে সরকারি নির্দশনাসহ নানা অজুহাতে দাম বেড়ে চলেছে সবজিরও। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দাম বেড়েছে সজনে ডাটা, বরবটি, বেগুন, ঢেঁড়সসহ বেশ কিছু সবজির।

গত সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া সজনে ডাটার দাম আজ বিক্রেতা হাঁকছেন ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে পটল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স।

কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বেগুনের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। একই হারে বেড়ে লাউয়ের পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে পাকা টমেটোর দাম। বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩৫ টাকায়। শশা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

এদিকে ওঠানামার মধ্যে আছে পেঁয়াজের দাম। গত দুই সপ্তাহ ধরে ৩২ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে পেঁয়াজের বাজার। শুক্রবার পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩২ থেকে ৩৩ টাকায়। কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়।

ফুলকপি ও বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পিস। ধুন্দল, চিচিঙ্গা কিনতে কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে টাকা।

শাকের বাজার যেন অস্থির হয়ে পড়েছে। দুই একটি পদ বাদে ১০ টাকায় এক আঁটি শাক পাওয়া এখন কঠিন। বাজার ঘুরে দেখা গেল, পালং শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে লালশাক, সবুজ শাক, পাট ও কলমিশাক। পুঁই শাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ডাটা ২০ থেকে ৩০ টাকা।

ঢাকা/জেএইচ/এসএ