০২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

রমজানে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখা যাবে?

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:২৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩৬৯ বার দেখা হয়েছে

রমজান ইবাদতের বসন্তকাল। নারী-পুরুষ সবার অফুরন্ত সওয়াব অর্জনের মাস এটি। আর প্রতি মাসে নারীদের মাসিক হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। এ সময় নারীদের নামাজ ও রোজা মাফ। তবে রোজার কাজা রাখতে হয়; নামাজের কাজা পড়তে হয় না। অনেকে জানতে চান, রমজানে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখা যাবে?

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, কোনো নারী যদি ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ করে রাখেন, তার দুই পদ্ধতি। এক. হয়ত মাসিক শুরু হওয়ার আগে ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। দুই. মাসিক শুরু হওয়ার পর বন্ধ করেছে। যদি শুরু হওয়ার আগে বন্ধ করে তাহলে তার জন্য রোজা রাখতে হবে। কারণ এতে তার ওপর রোজা না রাখার কোনো কারণ বিদ্যমান নেই। তাই তার জন্য রোজা রাখা আবশ্যক হবে।

আর যদি মাসিক শুরু হওয়ার পর ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে মাসিকের সর্বনিম্ন সীমা ৩ দিন পর্যন্ত নামাজ পড়তে পারবেন না, রোজা রাখতে পারবেন না। এর পর থেকে নামাজ পড়া ও রোজা রাখা আবশ্যক। (খোলাসাতুল ফাতাওয়া: ১/২৫১; হেদায়া: ১/৬২; ফাতাওয়ায়ে শামি: ১/৪৭৬)

আরও পড়ুন: ঘুমের আগে দরজা বন্ধ, বাতি নেভানোসহ আরও যেসব কাজের নির্দেশ হাদিসে

উল্লেখ্য, ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রাখায় শারীরিকভাবে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এভাবে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রাখা উচিত নয়। ইসলামি শরিয়তে পিরিয়ডের কারণে রোজা না রাখার অনুমতি দিয়েছে; তাই সে সময় পিরিয়ড স্বাভাবিক রেখে রোজা থেকে বিরত থাকা উচিত।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

রমজানে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখা যাবে?

আপডেট: ০১:২৯:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজান ইবাদতের বসন্তকাল। নারী-পুরুষ সবার অফুরন্ত সওয়াব অর্জনের মাস এটি। আর প্রতি মাসে নারীদের মাসিক হওয়াটা স্বাভাবিক বিষয়। এ সময় নারীদের নামাজ ও রোজা মাফ। তবে রোজার কাজা রাখতে হয়; নামাজের কাজা পড়তে হয় না। অনেকে জানতে চান, রমজানে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখা যাবে?

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, কোনো নারী যদি ওষুধ খেয়ে মাসিক বন্ধ করে রাখেন, তার দুই পদ্ধতি। এক. হয়ত মাসিক শুরু হওয়ার আগে ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। দুই. মাসিক শুরু হওয়ার পর বন্ধ করেছে। যদি শুরু হওয়ার আগে বন্ধ করে তাহলে তার জন্য রোজা রাখতে হবে। কারণ এতে তার ওপর রোজা না রাখার কোনো কারণ বিদ্যমান নেই। তাই তার জন্য রোজা রাখা আবশ্যক হবে।

আর যদি মাসিক শুরু হওয়ার পর ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে মাসিকের সর্বনিম্ন সীমা ৩ দিন পর্যন্ত নামাজ পড়তে পারবেন না, রোজা রাখতে পারবেন না। এর পর থেকে নামাজ পড়া ও রোজা রাখা আবশ্যক। (খোলাসাতুল ফাতাওয়া: ১/২৫১; হেদায়া: ১/৬২; ফাতাওয়ায়ে শামি: ১/৪৭৬)

আরও পড়ুন: ঘুমের আগে দরজা বন্ধ, বাতি নেভানোসহ আরও যেসব কাজের নির্দেশ হাদিসে

উল্লেখ্য, ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রাখায় শারীরিকভাবে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এভাবে ওষুধ খেয়ে পিরিয়ড বন্ধ রাখা উচিত নয়। ইসলামি শরিয়তে পিরিয়ডের কারণে রোজা না রাখার অনুমতি দিয়েছে; তাই সে সময় পিরিয়ড স্বাভাবিক রেখে রোজা থেকে বিরত থাকা উচিত।

ঢাকা/এসএইচ