০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিচারপতি শাহেদ নুরুউদ্দিন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৫১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩৩২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

রাষ্ট্রপতির কাছে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নুরুউদ্দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এর মধ্যেই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের গণমাধ্যমবিষয়ক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণা করেছিলেন বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিন।

মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল কর্তৃক অনুসন্ধান পরিচালনাধীন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিন দেশের প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর থেকেই বিচারকাজ থেকে বাইরে ছিলেন।

আরও পড়ুন: দেশের গণমাধ্যম নজিরবিহীন স্বাধীনতা ভোগ করছে: প্রধান উপদেষ্টা

নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা জানান, ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ দেয়া হচ্ছে না। এর মানে হচ্ছে, তারা বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন না। আর বিচারপতিদের পদত্যাগের যে দাবি, এক্ষেত্রে- বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি, আবার অপসারণও করেন রাষ্ট্রপতি। এখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির যা করণীয় তিনি তা করেছেন।

জানা যায়, নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান প্রধান বিচারপতি। তাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তারা আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবেও কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ছুটিতে যাওয়া ১২ বিচারপতির মধ্যে একজন মো. আতাউর রহমান খান অবসরে চলে গেছেন। এখন রয়েছেন ১১ জন, তারা হলেন- নাঈমা হায়দার, খুরশীদ আলম সরকার, খিজির হায়াত, শাহেদ নুরউদ্দিন, এস এম মনিরুজ্জামান, মো. আখতারুজ্জামান, খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, মো. আমিনুল ইসলাম, এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, আশীষ রঞ্জন দাস ও শেখ হাসান আরিফ।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেন বিচারপতি শাহেদ নুরুউদ্দিন

আপডেট: ০৩:৫১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৫

রাষ্ট্রপতির কাছে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নুরুউদ্দিন পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এর মধ্যেই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিলেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আপিল বিভাগের গণমাধ্যমবিষয়ক কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণা করেছিলেন বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিন।

মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল কর্তৃক অনুসন্ধান পরিচালনাধীন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নুরউদ্দিন দেশের প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে নিজ স্বাক্ষরযুক্ত পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর থেকেই বিচারকাজ থেকে বাইরে ছিলেন।

আরও পড়ুন: দেশের গণমাধ্যম নজিরবিহীন স্বাধীনতা ভোগ করছে: প্রধান উপদেষ্টা

নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানো হয়। গত বছরের ১৬ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা জানান, ১২ জন বিচারপতিকে বেঞ্চ দেয়া হচ্ছে না। এর মানে হচ্ছে, তারা বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন না। আর বিচারপতিদের পদত্যাগের যে দাবি, এক্ষেত্রে- বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি, আবার অপসারণও করেন রাষ্ট্রপতি। এখানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির যা করণীয় তিনি তা করেছেন।

জানা যায়, নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠা হাইকোর্টের ১২ বিচারপতিকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান প্রধান বিচারপতি। তাদের বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তারা আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবেও কাজ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ছুটিতে যাওয়া ১২ বিচারপতির মধ্যে একজন মো. আতাউর রহমান খান অবসরে চলে গেছেন। এখন রয়েছেন ১১ জন, তারা হলেন- নাঈমা হায়দার, খুরশীদ আলম সরকার, খিজির হায়াত, শাহেদ নুরউদ্দিন, এস এম মনিরুজ্জামান, মো. আখতারুজ্জামান, খোন্দকার দিলিরুজ্জামান, মো. আমিনুল ইসলাম, এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, আশীষ রঞ্জন দাস ও শেখ হাসান আরিফ।

ঢাকা/এসএইচ