০৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

সত্যিই কি পদত্যাগ করছেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ!

হাসান কবির জনি
  • আপডেট: ১২:১৮:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
  • / ১০৮৪১ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে চলমান টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের গুঞ্জন যেন জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের হতাশা, নেতিবাচক বাজার পরিস্থিতি এবং সর্বশেষ বিক্ষোভের পটভূমিতে সোমবার (১৯ মে) তার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে নির্ধারিত জরুরি সাক্ষাৎ এখন ‘টক অব দ্যা টাউন’ —তিনি কি আদৌ পদত্যাগ করবেন?

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ৯ মাসে দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন লক্ষ করা গেছে। প্রায় প্রতিদিনই সূচকের পতন, বাজার মূলধনের সংকোচন এবং বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতির খবর প্রকাশিত হচ্ছে। অনেক বিনিয়োগকারী অভিযোগ করছেন- তাদের সঞ্চয়, স্বপ্ন, এমনকি জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে যাচ্ছে বাজারে। আর এজন্য তারা দায়ী করছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান বাজারকে স্থিতিশীল করতে ব্যর্থ হয়েছেন, বরং তার কঠোর নীতিমালা, জনসংযোগের অভাব ও ‘অহংকারমিশ্রিত’ মনোভাব বাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে, অংশীজনদের প্রতি তার হুমকিস্বরূপ বক্তব্য- যাতে কেউ গণমাধ্যমে নেতিবাচক কথা না বলেন বা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন না করেন- তা ক্ষুব্ধ করেছে বাজারের স্টেকহোল্ডারদের।

এদিকে, রবিবার (১৮ মে) মতিঝিলে বিনিয়োগকারীরা যেভাবে কফিন নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন, তা শুধু বিরলই নয়, বরং এক গভীর হতাশার প্রতিফলন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনের সামনে প্রতীকী কফিনে গায়েবানা জানাজা দিয়ে। এ প্রতিবাদ বার্তা দিচ্ছে যে, বিনিয়োগকারীদের কাছে বাজার যেনো এক প্রকার ‘মৃত’ হয়ে গেছে।

বিক্ষোভের মূল বার্তা ছিল স্পষ্ট—“মাকসুদ থাকতে এ বাজারে আস্থা ফিরবে না।” তাদের ভাষ্য মতে, তার নেতৃত্বে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হ্রাস পেয়েছে, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রীতিমতো নিঃস্ব করে দিয়েছে।

যদিও বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ প্রবল, তবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ যে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ছিলেন, তা বলা যাবে না। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি বিএসইসির অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন শুরু করেন। ১৬ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন, যারা সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।

তবে প্রশ্ন থেকে যায়, শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধি অভিযান কি বাজারের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট ছিল? বাজারের অনিয়ম, স্বচ্ছতা সংকট, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তাহীনতা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিএসইসির অবস্থান কতোটা কার্যকর ছিল, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সোমবার সকাল ৯:৫০ মিনিটে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার সময় নিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। সেই সাক্ষাৎ পর্বেই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেন- এমন ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। আরও বলা হচ্ছে, তিনি পদত্যাগপত্রে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদ ছাড়বেন।
এখানেই সৃষ্টি হচ্ছে ধোয়াশা- তিনি কি সত্যিই পদত্যাগ করবেন, না কি এটি কেবল চাপ কমাতে নেওয়া কৌশল?

বাংলাদেশের চলমান বাস্তবতায় অনেক সময় দেখা যায়, সংকটকালীন সময়ে পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে গণমাধ্যমে জনমত ম্যানেজ করার চেষ্টা চলে, পরে দেখা যায় পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি, বা সময় চেয়ে অবস্থান জারি থাকে।

তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বাজারে আস্থা একেবারে তলানিতে, বিনিয়োগকারীরা ঐক্যবদ্ধ এবং রাজপথে। এর ওপর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের আর্থিক প্রস্তুতি যেকোনো সময় ভয়াবহ জনসঙ্কট তৈরি করতে পারে, তা সরকারেরও অজানা নয়। তাই রাজনৈতিক বিবেচনায়ও মাকসুদের পদত্যাগ গ্রহণ করা হতে পারে।

আরও পড়ুন: রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে ‘কফিন মিছিল’

পুঁজিবাজার রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব নেই- এ মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বিনিয়োগকারীদের নতুন করে ক্ষুব্ধ করেছেন। তারা মনে করেন, পুরো আর্থিক খাত পরস্পর-নির্ভর এবং বাজার রক্ষায় সব প্রতিষ্ঠানকেই এগিয়ে আসতে হবে। এই অবস্থানে থাকলে কেবল বিএসইসি নয়, সরকারের সামগ্রিক অর্থনৈতিক দর্শনই প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।

সোমবারের সাক্ষাৎ ও সম্ভাব্য পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার খবর নিয়ে যতোই গুঞ্জন ছড়াক না কেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও অজানা। খন্দকার রাশেদ মাকসুদ আদৌ পদত্যাগ করবেন কি না- তা নিয়ে সাসপেন্স এখনো টিকে আছে। হয়তো তিনি সত্যিই পদত্যাগ করবেন, হয়তো কেবল পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ওপর ছেড়ে দেবেন।

তবে একটি বিষয় স্পষ্ট- শেয়ারবাজার এখন চরম আস্থাহীনতায় ভুগছে, এবং এই আস্থা ফেরাতে বড় ধরনের ‘সিগন্যাল’ প্রয়োজন। মাকসুদের পদত্যাগ সেই সিগন্যাল হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে। কিন্তু সময় খুবই কম। বিনিয়োগকারীরা আর অপেক্ষা করতে চায় না। তারা চায় দৃশ্যমান পরিবর্তন।
সুতরাং, সোমবার সকালে কি হয়, তা শুধু একজন চেয়ারম্যানের নয়, বরং দেশের শেয়ারবাজার, বিনিয়োগকারী সমাজ এবং অর্থনীতির ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হয়ে দাঁড়াবে। আর সেই প্রত্যাশার ভেতরেই বেঁচে থাকবে আজকের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—“রাশেদ মাকসুদ কি সত্যিই পদত্যাগ করবেন?”

লেখক: হাসান কবির জনি
সম্পাদক, বিজনেস জার্নাল।
ইমেইল: hasankabirjony@gmail.com

শেয়ার করুন

সত্যিই কি পদত্যাগ করছেন খন্দকার রাশেদ মাকসুদ!

আপডেট: ১২:১৮:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে চলমান টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের গুঞ্জন যেন জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের হতাশা, নেতিবাচক বাজার পরিস্থিতি এবং সর্বশেষ বিক্ষোভের পটভূমিতে সোমবার (১৯ মে) তার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে নির্ধারিত জরুরি সাক্ষাৎ এখন ‘টক অব দ্যা টাউন’ —তিনি কি আদৌ পদত্যাগ করবেন?

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

গত ৯ মাসে দেশের শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক দরপতন লক্ষ করা গেছে। প্রায় প্রতিদিনই সূচকের পতন, বাজার মূলধনের সংকোচন এবং বিনিয়োগকারীদের আর্থিক ক্ষতির খবর প্রকাশিত হচ্ছে। অনেক বিনিয়োগকারী অভিযোগ করছেন- তাদের সঞ্চয়, স্বপ্ন, এমনকি জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে যাচ্ছে বাজারে। আর এজন্য তারা দায়ী করছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে।

বিনিয়োগকারীরা বলছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান বাজারকে স্থিতিশীল করতে ব্যর্থ হয়েছেন, বরং তার কঠোর নীতিমালা, জনসংযোগের অভাব ও ‘অহংকারমিশ্রিত’ মনোভাব বাজারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে, অংশীজনদের প্রতি তার হুমকিস্বরূপ বক্তব্য- যাতে কেউ গণমাধ্যমে নেতিবাচক কথা না বলেন বা তার বিরুদ্ধে আন্দোলন না করেন- তা ক্ষুব্ধ করেছে বাজারের স্টেকহোল্ডারদের।

এদিকে, রবিবার (১৮ মে) মতিঝিলে বিনিয়োগকারীরা যেভাবে কফিন নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন, তা শুধু বিরলই নয়, বরং এক গভীর হতাশার প্রতিফলন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ভবনের সামনে প্রতীকী কফিনে গায়েবানা জানাজা দিয়ে। এ প্রতিবাদ বার্তা দিচ্ছে যে, বিনিয়োগকারীদের কাছে বাজার যেনো এক প্রকার ‘মৃত’ হয়ে গেছে।

বিক্ষোভের মূল বার্তা ছিল স্পষ্ট—“মাকসুদ থাকতে এ বাজারে আস্থা ফিরবে না।” তাদের ভাষ্য মতে, তার নেতৃত্বে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন হ্রাস পেয়েছে, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রীতিমতো নিঃস্ব করে দিয়েছে।

যদিও বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ প্রবল, তবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ যে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় ছিলেন, তা বলা যাবে না। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি বিএসইসির অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন শুরু করেন। ১৬ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন, যারা সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত।

তবে প্রশ্ন থেকে যায়, শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধি অভিযান কি বাজারের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য যথেষ্ট ছিল? বাজারের অনিয়ম, স্বচ্ছতা সংকট, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহ এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তাহীনতা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে বিএসইসির অবস্থান কতোটা কার্যকর ছিল, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সোমবার সকাল ৯:৫০ মিনিটে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করার সময় নিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। সেই সাক্ষাৎ পর্বেই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিতে পারেন- এমন ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে। আরও বলা হচ্ছে, তিনি পদত্যাগপত্রে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদ ছাড়বেন।
এখানেই সৃষ্টি হচ্ছে ধোয়াশা- তিনি কি সত্যিই পদত্যাগ করবেন, না কি এটি কেবল চাপ কমাতে নেওয়া কৌশল?

বাংলাদেশের চলমান বাস্তবতায় অনেক সময় দেখা যায়, সংকটকালীন সময়ে পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে গণমাধ্যমে জনমত ম্যানেজ করার চেষ্টা চলে, পরে দেখা যায় পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়নি, বা সময় চেয়ে অবস্থান জারি থাকে।

তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বাজারে আস্থা একেবারে তলানিতে, বিনিয়োগকারীরা ঐক্যবদ্ধ এবং রাজপথে। এর ওপর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের আর্থিক প্রস্তুতি যেকোনো সময় ভয়াবহ জনসঙ্কট তৈরি করতে পারে, তা সরকারেরও অজানা নয়। তাই রাজনৈতিক বিবেচনায়ও মাকসুদের পদত্যাগ গ্রহণ করা হতে পারে।

আরও পড়ুন: রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে ‘কফিন মিছিল’

পুঁজিবাজার রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব নেই- এ মন্তব্য করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বিনিয়োগকারীদের নতুন করে ক্ষুব্ধ করেছেন। তারা মনে করেন, পুরো আর্থিক খাত পরস্পর-নির্ভর এবং বাজার রক্ষায় সব প্রতিষ্ঠানকেই এগিয়ে আসতে হবে। এই অবস্থানে থাকলে কেবল বিএসইসি নয়, সরকারের সামগ্রিক অর্থনৈতিক দর্শনই প্রশ্নের মুখে পড়তে পারে।

সোমবারের সাক্ষাৎ ও সম্ভাব্য পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার খবর নিয়ে যতোই গুঞ্জন ছড়াক না কেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও অজানা। খন্দকার রাশেদ মাকসুদ আদৌ পদত্যাগ করবেন কি না- তা নিয়ে সাসপেন্স এখনো টিকে আছে। হয়তো তিনি সত্যিই পদত্যাগ করবেন, হয়তো কেবল পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ওপর ছেড়ে দেবেন।

তবে একটি বিষয় স্পষ্ট- শেয়ারবাজার এখন চরম আস্থাহীনতায় ভুগছে, এবং এই আস্থা ফেরাতে বড় ধরনের ‘সিগন্যাল’ প্রয়োজন। মাকসুদের পদত্যাগ সেই সিগন্যাল হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে। কিন্তু সময় খুবই কম। বিনিয়োগকারীরা আর অপেক্ষা করতে চায় না। তারা চায় দৃশ্যমান পরিবর্তন।
সুতরাং, সোমবার সকালে কি হয়, তা শুধু একজন চেয়ারম্যানের নয়, বরং দেশের শেয়ারবাজার, বিনিয়োগকারী সমাজ এবং অর্থনীতির ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হয়ে দাঁড়াবে। আর সেই প্রত্যাশার ভেতরেই বেঁচে থাকবে আজকের সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—“রাশেদ মাকসুদ কি সত্যিই পদত্যাগ করবেন?”

লেখক: হাসান কবির জনি
সম্পাদক, বিজনেস জার্নাল।
ইমেইল: hasankabirjony@gmail.com