০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর লেনদেন বাড়লেও কমেছে সিএসইতে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / ৪১২৪ বার দেখা হয়েছে

শেষ সপ্তাহে (৭-১১ ফেব্রুয়ারি) পুঁজিবাজারের লেনদেন পতনে শেষ হয়েছে। এ সময় পুঁজিবাজারে সব সূচক কমেছে। একই সাথে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দরও কমেছে। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের সপ্তাহ থেকে ৮ শতাংশ বাড়লেও কমেছে সিএসইতে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৮৬ কোটি ১২ লাখ ৬৪ হাজার ১৮০ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা পূর্বের সপ্তাহ থেকে ৩৩৩ কোটি ৭০ লাখ ২১ হাজার ৬৮০ টাকা বা ৮.৮৯ শতাংশ বেশি হয়েছে। পূর্বের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৭৫২ কোটি ৪২ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৮১৭ কোটি ২২ লাখ ৫২ হাজার ৮৩৬ টাকার। পূর্বের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৩৩৬ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬২.৬৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৮৫.০১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৪.৯৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬৩.০৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৩৬.৩৩ পয়েন্টে এবং ২১১০.৬৯ পয়েন্টে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭১০ কোটি ৭৯ লাখ ১৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ৯ হাজার ৫৯৩ কোটি ৬৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা কমেছে।

গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.৯৬ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৭.৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৪০ পয়েন্ট বা ২.২৩ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ ক্যাটাগরির বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৬৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এছাড়া ‘বি’ গ্রুপের ২১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ‘জেড’ গ্রুপের দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ অবদান ছিল।

গত সপ্তাহে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, রবি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, সামিট পাওয়ার, মীর আক্তার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৭টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ২৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯১টি শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৪৭ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ১৯২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৮৯ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪২ কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার ৭৮৩ টাকা কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৪৭.১৬ পয়েন্ট বা ২.৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৩.৯৭ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭১টির দর।

শেয়ার করুন

x
English Version

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর লেনদেন বাড়লেও কমেছে সিএসইতে

আপডেট: ০৫:৫৬:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১

শেষ সপ্তাহে (৭-১১ ফেব্রুয়ারি) পুঁজিবাজারের লেনদেন পতনে শেষ হয়েছে। এ সময় পুঁজিবাজারে সব সূচক কমেছে। একই সাথে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দরও কমেছে। তবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টাকার পরিমাণে লেনদেন আগের সপ্তাহ থেকে ৮ শতাংশ বাড়লেও কমেছে সিএসইতে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৪ হাজার ৮৬ কোটি ১২ লাখ ৬৪ হাজার ১৮০ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা পূর্বের সপ্তাহ থেকে ৩৩৩ কোটি ৭০ লাখ ২১ হাজার ৬৮০ টাকা বা ৮.৮৯ শতাংশ বেশি হয়েছে। পূর্বের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৩ হাজার ৭৫২ কোটি ৪২ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টাকার।

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ৮১৭ কোটি ২২ লাখ ৫২ হাজার ৮৩৬ টাকার। পূর্বের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৭৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ৬৬ কোটি ৭৪ লাখ ৪ হাজার ৩৩৬ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৬২.৬৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৮৫.০১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ২৪.৯৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৬৩.০৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১২৩৬.৩৩ পয়েন্টে এবং ২১১০.৬৯ পয়েন্টে।

সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩৬ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৭১০ কোটি ৭৯ লাখ ১৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন ৯ হাজার ৫৯৩ কোটি ৬৩ লাখ ১৯ হাজার টাকা কমেছে।

গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৭.৯৬ পয়েন্টে। যা সপ্তাহ শেষে ১৭.৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে পিই রেশিও ০.৪০ পয়েন্ট বা ২.২৩ শতাংশ কমেছে।

গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে ‘এ’ ক্যাটাগরির বা ভালো কোম্পানির অবদান ছিল ৬৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এছাড়া ‘বি’ গ্রুপের ২১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, ‘জেড’ গ্রুপের দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং ‘এন’ গ্রুপের ১০ দশমিক ৮০ শতাংশ অবদান ছিল।

গত সপ্তাহে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হওয়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বেক্সিমকো, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, রবি, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, সামিট পাওয়ার, মীর আক্তার, এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন ও লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৭টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ২৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯১টি শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৪৭ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ১৯২ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২৮৯ কোটি ৯০ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৪২ কোটি ৪০ লাখ ৩১ হাজার ৭৮৩ টাকা কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৪৭.১৬ পয়েন্ট বা ২.৭৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৮৩.৯৭ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩০১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ২০৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭১টির দর।