১০:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

সিআরআইয়ের ব্যাংক হিসাবে ৩৫ কোটি টাকার সন্ধান

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩৫০ বার দেখা হয়েছে

আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নামে আইএফআইসি ব্যাংকে ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআরের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন,আইএফআইসি ব্যাংকে সিআরআই নামক প্রতিষ্ঠানটির নামীয় একটি ৩৫ কোটি ২১ লক্ষ টাকার এফডিআর রয়েছে। এছাড়া সোনালি ব্যাংকে লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে। অভিযানকালে সংগৃহীত নথিপত্র এবং ব্যাংক হিসাবসমূহের লেনদেনের তথ্য বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক বিভিন্ন রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, সিআরআই নামক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসাবে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ট্রাস্টি হিসাবে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং নসরুল হামিদের নাম উল্লেখ রয়েছে। তবে অভিযানকালে সরেজমিনে কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কার্যালয়টি বন্ধ পায় এনফোর্সমেন্ট টিম।

আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আইডল অবস্থায় যেতে পারে মূল্যস্ফীতি

অভিযানকালে, সিআরআই নামক প্রতিষ্ঠানের যে সব ব্যাংকে হিসাব চালু ছিল ওই সব ব্যাংক (ডাচ বাংলা, আইএফ আইসি, সোনালি ব্যাংক) হতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

এর আগে সকালে সিআরআই নামের কোনো অফিস ধানমন্ডিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ। দুপুরে ধানমন্ডি ৬/এ -তে দুদকের এক বিফ্রিংয়ে তিনি তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যয় বা ক্ষতি সাধন করছেন কিনা সেটার যাচাই করার জন্য এসেছি। ধানমন্ডি কয়েকটা জায়গা ঘুরেও আমরা সিআরআই অফিস খুঁজে পাইনি। আমরা প্রাথমিকভাবে তথ্যগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানে আসছি।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

সিআরআইয়ের ব্যাংক হিসাবে ৩৫ কোটি টাকার সন্ধান

আপডেট: ০৫:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) নামে আইএফআইসি ব্যাংকে ৩৫ কোটি ২১ লাখ টাকার এফডিআরের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তিনি বলেন,আইএফআইসি ব্যাংকে সিআরআই নামক প্রতিষ্ঠানটির নামীয় একটি ৩৫ কোটি ২১ লক্ষ টাকার এফডিআর রয়েছে। এছাড়া সোনালি ব্যাংকে লেনদেনের তথ্যও পাওয়া গেছে। অভিযানকালে সংগৃহীত নথিপত্র এবং ব্যাংক হিসাবসমূহের লেনদেনের তথ্য বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক বিভিন্ন রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগিতার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী দেখা যায়, সিআরআই নামক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসাবে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ট্রাস্টি হিসাবে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং নসরুল হামিদের নাম উল্লেখ রয়েছে। তবে অভিযানকালে সরেজমিনে কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কার্যালয়টি বন্ধ পায় এনফোর্সমেন্ট টিম।

আরও পড়ুন: জুনের মধ্যে আইডল অবস্থায় যেতে পারে মূল্যস্ফীতি

অভিযানকালে, সিআরআই নামক প্রতিষ্ঠানের যে সব ব্যাংকে হিসাব চালু ছিল ওই সব ব্যাংক (ডাচ বাংলা, আইএফ আইসি, সোনালি ব্যাংক) হতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

এর আগে সকালে সিআরআই নামের কোনো অফিস ধানমন্ডিতে খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ। দুপুরে ধানমন্ডি ৬/এ -তে দুদকের এক বিফ্রিংয়ে তিনি তথ্য জানান।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় অর্থ প্রাতিষ্ঠানিক কাজে ব্যয় বা ক্ষতি সাধন করছেন কিনা সেটার যাচাই করার জন্য এসেছি। ধানমন্ডি কয়েকটা জায়গা ঘুরেও আমরা সিআরআই অফিস খুঁজে পাইনি। আমরা প্রাথমিকভাবে তথ্যগুলো সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানে আসছি।

ঢাকা/এসএইচ