০৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আইপিও আবেদনকারী সবাইকে শেয়ার দিতে মূল্যায়ন কমিটি বিএসইসির

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৪২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪২৮২ বার দেখা হয়েছে

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনকারী সবাইকে শেয়ার দিতে মূল্যায়ন কমিটি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রতিষ্ঠানটির কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাত সদস্যের এই কমিটি করা হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসইস), চট্টত্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) প্রতিনিধিরা। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মূল্যায়ন কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির পরিচালক মো. মনসুর রহমানকে। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসইস) দুই জন,চট্টত্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) দুই জন ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) দুই জন করে প্রতিনিধি। কমিটিকে খুব শিগগির প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার কমিশন সভায় তা উপস্থাপন করা হবে।

কাজের পরিধি: কমিশন কমিটিকে কাজ করার জন্য একটি রুট ম্যাপ তৈরি করে দিয়েছে। নির্ধারণ করা জায়গা নিয়ে কাজ করবে কমিটি। প্রধান জায়গাগুলো হলো- ইলেকট্রনিক সাবসক্রিপশন সিস্টেমসের হালনাগাদ, সবাইকে কীভাবে শেয়ার দেওয়া যায় সেই পদ্ধতি, আইপিও সময় কমানোর বিষয়, দুটি কনসেন লেটারের পরিবর্তে কীভাবে একটির মাধ্যমে সমাধান করা যায়, একজন কতটি আবেদন করতে পারবে, আইপিওতে আবেদন করতে হলো কমপক্ষে কত টাকার শেয়ার কিনা থাকতে হবে ইত্যাদিকে প্রধান্য দিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, বর্তমানে একটি আইপিও’র কাজ শেষ হতে অনেক দিন সময় লেগে যায়। ফলে বিনিয়োগকারীদের টাকা আটকে থাকে। এই জন্য অনেক সময় তারল্য সংকটের দায় হিসেব এটিকে ধরা হয়। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে আইপিওর কাজ শেষ করতে চায় কমিশন। পুঁজিবাজারের মাধ্যমে আবদান রাখতে চায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে। একই সাথে বাড়াতে চায় কর্মসংস্থান।

বিএসইসির কমিশনার আব্দুল হালিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পুঁজিবাজারের মাধ্যমে আমরা অর্থনীতিতে অবদান বাড়াতে চাই। এই জন্য পুঁজিবাজার থেকে শিল্পায়নে টাকা সরবরাহ করতে হবে। তিনি বলেন, সব দিক বিবেচনা করে আইপিও’র আবেদনের সময় কমাতে কাজ করছে কমিশন। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার পাশাপাশি আইপিওর পদ্ধতি আরও সহজ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান কমিশন স্বল্প সময়ের মধ্যে আইপিও অনুমোদন দেয়ার চেষ্টা করছে। অনুমোদনের সাথে কম সময়ের মধ্যে আইপিও প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় কমিশন। এই জন্য আইনি কিছু পরিবর্তন করতে হবে। নতুন আইপিও আবেদন থেকে এটি কার্যকর হরা হতে পারে। তবে অনুমোদ পাওয়া কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ শুরু হতে পারে।

তিনি বলেন, এই কাজটি এগিয়ে নিতে বিএসইসির পরিচালক মো. মনসুর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিটি করেছে কমিশন। কমিটিতে ডিএসই,সিএসই ও সিডিবিএলের প্রতিনিধিরা থাকবে। যত দ্রুত সম্ভব কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি কমিশন বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।

শেয়ার করুন

x
English Version

আইপিও আবেদনকারী সবাইকে শেয়ার দিতে মূল্যায়ন কমিটি বিএসইসির

আপডেট: ১০:৪২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনকারী সবাইকে শেয়ার দিতে মূল্যায়ন কমিটি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রতিষ্ঠানটির কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাত সদস্যের এই কমিটি করা হয়েছে। বৈঠকে অংশ নেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসইস), চট্টত্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) প্রতিনিধিরা। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মূল্যায়ন কমিটির প্রধান করা হয়েছে বিএসইসির পরিচালক মো. মনসুর রহমানকে। কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসইস) দুই জন,চট্টত্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) দুই জন ও সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) দুই জন করে প্রতিনিধি। কমিটিকে খুব শিগগির প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার কমিশন সভায় তা উপস্থাপন করা হবে।

কাজের পরিধি: কমিশন কমিটিকে কাজ করার জন্য একটি রুট ম্যাপ তৈরি করে দিয়েছে। নির্ধারণ করা জায়গা নিয়ে কাজ করবে কমিটি। প্রধান জায়গাগুলো হলো- ইলেকট্রনিক সাবসক্রিপশন সিস্টেমসের হালনাগাদ, সবাইকে কীভাবে শেয়ার দেওয়া যায় সেই পদ্ধতি, আইপিও সময় কমানোর বিষয়, দুটি কনসেন লেটারের পরিবর্তে কীভাবে একটির মাধ্যমে সমাধান করা যায়, একজন কতটি আবেদন করতে পারবে, আইপিওতে আবেদন করতে হলো কমপক্ষে কত টাকার শেয়ার কিনা থাকতে হবে ইত্যাদিকে প্রধান্য দিতে বলা হয়েছে।

জানা যায়, বর্তমানে একটি আইপিও’র কাজ শেষ হতে অনেক দিন সময় লেগে যায়। ফলে বিনিয়োগকারীদের টাকা আটকে থাকে। এই জন্য অনেক সময় তারল্য সংকটের দায় হিসেব এটিকে ধরা হয়। ফলে স্বল্প সময়ের মধ্যে আইপিওর কাজ শেষ করতে চায় কমিশন। পুঁজিবাজারের মাধ্যমে আবদান রাখতে চায় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে। একই সাথে বাড়াতে চায় কর্মসংস্থান।

বিএসইসির কমিশনার আব্দুল হালিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পুঁজিবাজারের মাধ্যমে আমরা অর্থনীতিতে অবদান বাড়াতে চাই। এই জন্য পুঁজিবাজার থেকে শিল্পায়নে টাকা সরবরাহ করতে হবে। তিনি বলেন, সব দিক বিবেচনা করে আইপিও’র আবেদনের সময় কমাতে কাজ করছে কমিশন। প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) পদ্ধতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনার পাশাপাশি আইপিওর পদ্ধতি আরও সহজ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান কমিশন স্বল্প সময়ের মধ্যে আইপিও অনুমোদন দেয়ার চেষ্টা করছে। অনুমোদনের সাথে কম সময়ের মধ্যে আইপিও প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় কমিশন। এই জন্য আইনি কিছু পরিবর্তন করতে হবে। নতুন আইপিও আবেদন থেকে এটি কার্যকর হরা হতে পারে। তবে অনুমোদ পাওয়া কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে পাইলট প্রকল্প হিসেবে কাজ শুরু হতে পারে।

তিনি বলেন, এই কাজটি এগিয়ে নিতে বিএসইসির পরিচালক মো. মনসুর রহমানকে প্রধান করে একটি কমিটি করেছে কমিশন। কমিটিতে ডিএসই,সিএসই ও সিডিবিএলের প্রতিনিধিরা থাকবে। যত দ্রুত সম্ভব কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি কমিশন বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।