০৮:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

আইসিইউতো দূরের কথা, সাধারণ বেডই এখন ‘সোনার হরিণ’

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৮১ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান ক্রমেই দুরূহ হয়ে উঠছে। সম্প্রতি দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ‘ঠাঁই নাই’ অবস্থা বিরাজ করছে।

এতদিন মুমূর্ষু করোনা রোগীদের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) বেড পাওয়া কঠিন হলেও ক্রমেই সাধারণ বেডই ‘সোনার হরিণ’ হয়ে উঠছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় প্রতিদিন মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ রোগী চিহ্নিত হলেও সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১২ থেকে ১৪ গুণ বেড়েছে। চারদিন ধরে প্রতিদিন গড়ে সাত হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ সময় প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে ৬০ জনের বেশি।

প্রতিদিন করোনা রোগী সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ বেড ও আইসিইউতে ভর্তি প্রয়োজন এমন রোগীর চাপ বাড়ছে।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ ও আইসিইউ বেডের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালের ৮৯ শতাংশ সাধারণ বেডে ও ৯১ শতাংশ আইসিইউ বেডে রোগী ভর্তি রয়েছে। একইভাবে বেসরকারি হাসপাতালের ৮৮ শতাংশ সাধারণ বেডে এবং ৯৩ শতাংশ আইসিইউ বেডে রোগী ভর্তি রয়েছে।

স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ করোনা স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে না চললে সামনে কঠিন বিপদ। যেভাবে নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে তার কয়েক শতাংশ রোগীকে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি করতে হলে হাসপাতালগুলো বেডের অভাবে রোগী ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হবে। বেড ফাঁকা না থাকলে টাকা খরচ করেও চিকিৎসা পাওয়া যাবে না। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বেড সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

আইসিইউতো দূরের কথা, সাধারণ বেডই এখন ‘সোনার হরিণ’

আপডেট: ০১:৪৯:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ রাজধানীতে করোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান ক্রমেই দুরূহ হয়ে উঠছে। সম্প্রতি দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ‘ঠাঁই নাই’ অবস্থা বিরাজ করছে।

এতদিন মুমূর্ষু করোনা রোগীদের জন্য ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) বেড পাওয়া কঠিন হলেও ক্রমেই সাধারণ বেডই ‘সোনার হরিণ’ হয়ে উঠছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মার্চের প্রথম সপ্তাহে করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় প্রতিদিন মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ রোগী চিহ্নিত হলেও সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ১২ থেকে ১৪ গুণ বেড়েছে। চারদিন ধরে প্রতিদিন গড়ে সাত হাজারেরও বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। এ সময় প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে ৬০ জনের বেশি।

প্রতিদিন করোনা রোগী সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে রাজধানীর সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সাধারণ বেড ও আইসিইউতে ভর্তি প্রয়োজন এমন রোগীর চাপ বাড়ছে।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের সাধারণ ও আইসিইউ বেডের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সরকারি হাসপাতালের ৮৯ শতাংশ সাধারণ বেডে ও ৯১ শতাংশ আইসিইউ বেডে রোগী ভর্তি রয়েছে। একইভাবে বেসরকারি হাসপাতালের ৮৮ শতাংশ সাধারণ বেডে এবং ৯৩ শতাংশ আইসিইউ বেডে রোগী ভর্তি রয়েছে।

স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষ করোনা স্বাস্থ্যবিধি শতভাগ মেনে না চললে সামনে কঠিন বিপদ। যেভাবে নতুন রোগী শনাক্ত হচ্ছে তার কয়েক শতাংশ রোগীকে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি করতে হলে হাসপাতালগুলো বেডের অভাবে রোগী ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হবে। বেড ফাঁকা না থাকলে টাকা খরচ করেও চিকিৎসা পাওয়া যাবে না। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় বেড সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/এসএ