০৬:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

এবার খুলনা প্রিন্টিংয়ে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২
  • / ৪১৪৩ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতের কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডে বিশেষ নিরিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী অস্বাভাবিক টার্নওভার কমেছে, কিন্তু উৎপাদন খরচ বেড়েছে সন্দেহজনকভাবে। এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষা করবে। বিএসইসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্যাকেজিং উপাদান উৎপাদনকারীর কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪.৭০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এতে করে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ১২ পয়সা। এছাড়াও, আর্থিক বিবরণী অনুসারে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা।

২০২০-২১ সমাপ্ত অর্থ ছরের আর্থিক বিবরণীতে কোম্পানিটি বলেছে, বর্তমানে কোম্পানির নিট বিক্রয় দাঁড়িয়েছে ৫২.০৮ কোটি টাকা, যা এক বছর আগে ছিলো ১০৮.০৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানিটির বিক্রয় কমেছে ৫৬ কোটি টাকা বা ৫২ শতাংশ।

সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ১৮.৪৭ কোটি টাকার কাচামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। কোম্পানিটি লকপুর গ্রুপের আরেকটি প্রজেক্টের জন্য ৩.৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।আলোচ্য সময়ের মধ্যে এই বিনিয়োগ কোন আয় করতে পারেনি।

এরই ফলে, বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি বিশেষ অডিটের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে দেখতে চায়। তবে এখনও অডিটর চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ পর্যন্ত, স্পনসর এবং পরিচালকদের যৌথভাবে কোম্পানির ৩৯.৭৬% শেয়ার ছিল, যেখানে প্রতিষ্ঠানগুলির ২.০৭% এবং পাবলিক বিনিয়োগকারীদের ৫৮.১৭% শেয়ার ছিল।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে আদালতের আদেশে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার পর কোম্পানিটি তাদের কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মানি লন্ডারিং মামলায় আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে ২০১৫ সালে, খুলনা প্রিন্টিং কারখানাটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল কারণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর ফাঁকির অভিযোগে তার ব্যবসায়িক সনাক্তকরণ নম্বরটি তালাবদ্ধ করেছিল। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সর্বশেষ লেনদেন দর ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা।

ঢাকা/এসআর

শেয়ার করুন

x
English Version

এবার খুলনা প্রিন্টিংয়ে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত

আপডেট: ০৬:১৭:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি পেপার অ্যান্ড প্রিন্টিং খাতের কোম্পানি খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেডে বিশেষ নিরিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থ বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী অস্বাভাবিক টার্নওভার কমেছে, কিন্তু উৎপাদন খরচ বেড়েছে সন্দেহজনকভাবে। এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন বিশেষ নিরীক্ষা করবে। বিএসইসি সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, প্যাকেজিং উপাদান উৎপাদনকারীর কোম্পানিটির ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪.৭০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এতে করে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ৬ টাকা ১২ পয়সা। এছাড়াও, আর্থিক বিবরণী অনুসারে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য কমে দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২৩ পয়সা।

২০২০-২১ সমাপ্ত অর্থ ছরের আর্থিক বিবরণীতে কোম্পানিটি বলেছে, বর্তমানে কোম্পানির নিট বিক্রয় দাঁড়িয়েছে ৫২.০৮ কোটি টাকা, যা এক বছর আগে ছিলো ১০৮.০৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক বছরে কোম্পানিটির বিক্রয় কমেছে ৫৬ কোটি টাকা বা ৫২ শতাংশ।

সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির ১৮.৪৭ কোটি টাকার কাচামাল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। কোম্পানিটি লকপুর গ্রুপের আরেকটি প্রজেক্টের জন্য ৩.৩৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে।আলোচ্য সময়ের মধ্যে এই বিনিয়োগ কোন আয় করতে পারেনি।

এরই ফলে, বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি বিশেষ অডিটের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা খতিয়ে দেখতে চায়। তবে এখনও অডিটর চূড়ান্ত নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২ পর্যন্ত, স্পনসর এবং পরিচালকদের যৌথভাবে কোম্পানির ৩৯.৭৬% শেয়ার ছিল, যেখানে প্রতিষ্ঠানগুলির ২.০৭% এবং পাবলিক বিনিয়োগকারীদের ৫৮.১৭% শেয়ার ছিল।

এর আগে গত বছরের অক্টোবরে আদালতের আদেশে কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার পর কোম্পানিটি তাদের কারখানা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মানি লন্ডারিং মামলায় আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে ২০১৫ সালে, খুলনা প্রিন্টিং কারখানাটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল কারণ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর ফাঁকির অভিযোগে তার ব্যবসায়িক সনাক্তকরণ নম্বরটি তালাবদ্ধ করেছিল। সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সর্বশেষ লেনদেন দর ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা।

ঢাকা/এসআর