০৪:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কঠোর বিধিনিষেধেও পুঁজিবাজারে ফিরেছে ২ হাজার কোটি টাকা

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১
  • / ৪২৯০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: গত সপ্তাহে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও পুঁজিবাজারে আরো দুই হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে। শুধু বাজার মূলধনই নয় গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩১৬ কোটি ৮১ লাখ ৭২ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭১২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ২ হাজার ৩৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫ হাজার ৩২২ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ২০৮ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৬২ কোটি ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৪১৯ টাকা বা ২৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ২৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৯ টাকার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪১ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৫১ কোটি ৯৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৫৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২১২ কোটি ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৩ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৪.৫৮ পয়েন্ট বা ০.৮২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৯.৬২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২.৪৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৩৬ পয়েন্ট বা ১.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ১ হাজার ২৪৯.৮২ পয়েন্ট এবং ২১১০.৯১ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির বা ৪৩.৭৮ শতাংশের, কমেছে ১৪৫টির বা ৩৯.১৯ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির বা ১৭.০৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৭৩ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৯৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৭৫ কোটি ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬১ টাকা বা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২১.১৯ পয়েন্ট বা ০.৭৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৪৪.৭৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৭৪.৫৩ পয়েন্ট বা ০.৭৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২.৩০ পয়েন্ট বা ০.০১ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১০.৯১ পয়েন্ট বা ০.৯১ শতাংশ এবং সিএসআই ১১.৬০ পয়েন্ট বা ১.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৫৬০.০৫ পয়েন্ট, ১২ হাজার ৬২.৪৯ পয়েন্টে, ১ হাজার ২০৭.৮৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩.৬৭ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৩টির বা ৪৫.৫৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ১২৫টির বা ৩৯.৮১ শতাংশের কমেছে এবং ৪৬টির বা ১৪.৬৫ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

কঠোর বিধিনিষেধেও পুঁজিবাজারে ফিরেছে ২ হাজার কোটি টাকা

আপডেট: ১২:৩৭:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: গত সপ্তাহে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও পুঁজিবাজারে আরো দুই হাজার কোটি টাকা বাজার মূলধন ফিরেছে। শুধু বাজার মূলধনই নয় গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৩১৬ কোটি ৮১ লাখ ৭২ হাজার টাকায়। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় ৪ লাখ ৭০ হাজার ৭১২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বিনিয়োগকারীরা ২ হাজার ৩৯৫ কোটি ৯৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা বাজার মূলধন ফিরে পেয়েছে।

গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫ হাজার ৩২২ কোটি ১৯ লাখ ৭৫ হাজার ২০৮ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের সপ্তাহ থেকে ১ হাজার ৬২ কোটি ৩৫ লাখ ২৯ হাজার ৪১৯ টাকা বা ২৫ শতাংশ বেশি হয়েছে। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ২৫৯ কোটি ৮৭ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮৯ টাকার।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

ডিএসইতে বিদায়ী সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৪ কোটি ৪৩ লাখ ৯৫ হাজার ৪১ টাকার। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৮৫১ কোটি ৯৭ লাখ ৪৯ হাজার ১৫৮ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে গড় লেনদেন ২১২ কোটি ৪৬ লাখ ৪৫ হাজার ৮৮৩ টাকা বেশি হয়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৪.৫৮ পয়েন্ট বা ০.৮২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৭৯.৬২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১২.৪৩ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ২৩.৩৬ পয়েন্ট বা ১.১২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ১ হাজার ২৪৯.৮২ পয়েন্ট এবং ২১১০.৯১ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৭০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির বা ৪৩.৭৮ শতাংশের, কমেছে ১৪৫টির বা ৩৯.১৯ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩টির বা ১৭.০৩ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ২৭৩ কোটি ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫৫ টাকার। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৯৮ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার ৪৯৪ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন ৭৫ কোটি ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬১ টাকা বা ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২১.১৯ পয়েন্ট বা ০.৭৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৪৪.৭৯ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসসিএক্স ৭৪.৫৩ পয়েন্ট বা ০.৭৮ শতাংশ, সিএসই-৩০ সূচক ২.৩০ পয়েন্ট বা ০.০১ শতাংশ, সিএসই-৫০ সূচক ১০.৯১ পয়েন্ট বা ০.৯১ শতাংশ এবং সিএসআই ১১.৬০ পয়েন্ট বা ১.১৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯ হাজার ৫৬০.০৫ পয়েন্ট, ১২ হাজার ৬২.৪৯ পয়েন্টে, ১ হাজার ২০৭.৮৪ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৩.৬৭ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৪৩টির বা ৪৫.৫৪ শতাংশের দর বেড়েছে, ১২৫টির বা ৩৯.৮১ শতাংশের কমেছে এবং ৪৬টির বা ১৪.৬৫ শতাংশের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

আরও পড়ুন: