ঘরের খবর কীভাবে বেরোয়, সাবেক বার্সা সভাপতি বোঝেন না
- আপডেট: ১২:০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মার্চ ২০২১
- / ৪১৬৩ বার দেখা হয়েছে
মৌসুম শুরুর আগে বার্সেলোনার অধিনায়ক যে ত্যক্তবিরক্ত হয়ে ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন, এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল ক্লাবের ভেতরের খবর নিয়মিত বাইরে ফাঁস হয়ে যাওয়া। মেসি কত বেতন নিচ্ছেন, চুক্তিতে ক্লাবের সঙ্গে তাঁর কী কী শর্ত ঠিক হয়েছে, এসব জটিল ও গোপনীয় বিষয়গুলো নিয়মিত মিডিয়াতে ফাঁস হয়ে যেত। শুধু মেসির ক্ষেত্রে যে এমন হতো, তা কিন্তু নয়। বার্সার গোপন এমন অনেক খবরের সন্ধানই পেয়ে যেতেন স্প্যানিশ মিডিয়ার অনেক সাংবাদিক। অথচ এসব খবর বাইরে বের হওয়ার কথা নয়।
খেলাধুলা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন:বিজনেসজার্নাল–বিজনেসজার্নাল.বিডি
কিছুদিন আগেই বার্সেলোনার সভাপতির দায়িত্বে এসেছেন হোয়ান লাপোর্তা। বিভিন্ন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সাবেক সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউর দায়িত্ব ছাড়ার পরই লাপোর্তার আসার কথা থাকলেও আগেই পদত্যাগ করেন বার্তোমেউ। ফলে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করতে হয় তুসকেতসকে। তখনো ক্লাবের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নিয়মিত কথা বলতে হতো তাঁকে। তিনি নিজেও বেশ কিছু বিতর্কিত কথা বলে আলোচনার সৃষ্টি করেছিলেন।
এখন দায়িত্বের বোঝা নেই কাঁধে, তাই বলে ক্লাব নিয়ে কথা বলতে তো আর কোনো সমস্যা নেই। রেডিও মার্কাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কার্লেস তুসকেতস জানিয়েছেন, ‘আমি জানি না বার্সেলোনায় কী হচ্ছে। সবকিছুই দেখি বাইরে ফাঁস হয়ে যায়। এটা অনেক চিন্তার বিষয়। আমি যত দূর জানি, ম্যানেজমেন্ট কমিটির কেউ মেসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে না।’
কয়েক মাস আগে মেসিকে নিয়ে একটা বিতর্কিত কথা বলেছিলেন তুসকেতস। বলেছিলেন, ক্লাবের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে তিনি পারলে মেসিকে বেচে দিতেন। কারণ আর কিছুই নয়, মেসির আকাশছোঁয়া বেতন। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বেতনভোগী ফুটবলারের জন্য সাত কোটি ইউরোর বেশি খরচটা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে বার্সেলোনাকে। আর মৌসুম শেষে শর্তানুযায়ী আনুগত্য ভাতাও দিতে হবে মেসিকে। সে জন্য বার্সেলোনাকে খরচ করতে হবে আরও ৩ কোটি ৩০ লাখ ইউরো। স্বাভাবিকভাবেই অত বেশি বেতনের কেউ ক্লাব থেকে চলে গেলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে ক্লাবের একটু হলেও উপকার হবে। সে ব্যাপার মাথায় রেখে স্প্যানিশ রেডিও ‘আরএসি’কে কয়েক মাস আগে তুসকেতস বলেছিলেন, ‘অর্থনৈতিকভাবে দেখলে, গত মৌসুম শেষেই আমি মেসিকে বেচে দিতাম। বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই কাম্য।’
ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়ে যায় সমালোচনার ঝড়। দলের অধিনায়কের প্রতি বার্সেলোনা ও তার সভাপতি যথাযথ সম্মান দিচ্ছেন না, এমন আলোচনাও শুরু হয়ে যায়। প্রচুর বার্সা সমর্থকের চোখের শূল হয়ে যান ৭০ বছর বয়সী এই অর্থনীতিবিদ। সে সমালোচনা থেকে বাঁচতেই এবার রেডিও মার্কাকে নিজের অবস্থান আরেকবার ব্যাখ্যা করেছেন তুসকেতস, ‘আমি কখনো বলিনি মেসির ক্লাব ছাড়ার দরকার। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল, মেসি ক্লাব ছাড়লে ক্লাব অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে কি না। তাই একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছিল যে হ্যাঁ, মেসি ক্লাব ছাড়লে ক্লাব অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। তবে ব্যাপারটা এমন নয় যে আমি বলেছিলাম যে আমি চাই মেসি ক্লাব ছাড়ুক।’
তবে মেসি যে তখন আসলেই ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন, সেটাই আবারও বলেছেন তুসকেতস, ‘তখন একজনই ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিল আর তার নাম মেসি। তাকে যদি থাকতে হয়, তাহলে ক্লাবের সুযোগ-সুবিধার কথা মাথায় রেখেই থাকতে হবে।’
নতুন কোচ রোনাল্ড কোমানের প্রতি তাঁর সমর্থন যে সব সময়ই ছিল, সেটাও এক সুযোগে এই সাক্ষাৎকারে বলে দিয়েছেন তুসকেতস, ‘আমি প্রথম থেকেই কোমানকে সমর্থন করতাম। ও ক্লাবকে বুকে ধারণ করে। ও বার্সাতে এসেই একটা বাসা কিনেছিল। (করোনার সময়) বেতন নিয়ে যখন কথাবার্তা উঠল তখন ও নিজেই এগিয়ে এসেছিল সমস্যা মেটানোর জন্য।’
তুসকেতসকে নিয়ে এখন বার্সা সমর্থকদের রাগ কমলে হয়!
বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ
আরওপড়ুন:
- বোনাস শেয়ার বিওতে প্রেরণ কনফিডেন্স সিমেন্টের
- প্রাইম ব্যাংকের বোর্ড সভা ৩১ মার্চ
- ডিভিডেন্ড পাঠিয়েছে এনসিসিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড
- অ্যাক্টিভ ফাইনের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
- বিকেলে ডিভিডেন্ড আসছে চার কোম্পানির
- ১৩০ কোটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিল ফেসবুক
- ভাল কোম্পানি লিস্টেড হলে বোম্বে এক্সচেঞ্জের মত হব: শাকিল রিজভী
- আরো দুইটি ব্রোকারজ হাউজকে বিএসইসির সতর্কপত্র প্রদান
- ৮ মাসে সর্বোচ্চ, একদিনে শনাক্ত সাড়ে ৩ হাজার ছাড়াল
- বার্ষিক সাধারণ সভার ভেন্যু জানিয়েছে রবি
- ওয়েবসাইটে কারিগরি ত্রুটি, ক্ষমা চাইলো ডিএসই
- শেয়ারবাজারের উন্নতির স্বার্থে আমরা সব দিতে প্রস্তুত: অর্থমন্ত্রী
- আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমূহকে ডিজিটাল আন্তঃলেনদেন প্লাটফর্মে অংশগ্রহণের আহ্বান আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর
- তথ্য প্রযুক্তির উন্নতিতে বন্ধ হবে কারসাজি:বিএসইসির চেয়ারম্যান
- উইঘুর নির্যাতন: চীনের ওপর পশ্চিমা বিশ্বের একযোগে নিষেধাজ্ঞা