১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পুঁজিবাজারে উদ্বেগ আতঙ্কে বড় ঝাঁকুনি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪১৯৫ বার দেখা হয়েছে

করোনা ভাইরাসজনিত আতঙ্কের বড় ঝাঁকুনি লেগেছে পুঁজিবাজারে। আজ রোববার (৪ এপ্রিল) সপ্তাহের প্রথম লেনদেন দিবসে বাজারে ব্যাপক দর পতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ শতাংশ কোম্পানি শেয়ারের দর হারিয়েছে। ডিএসইর বিভিন্ন মূল্যসূচক ৩ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। তবে বড় পতনের দিনেও লেনদেন বেড়েছে বাজারে। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ ক্রেতাও সক্রিয় আছে। এতে বাজার বিশ্লেষকরা বেশ আশাবাদী। আজকের পর বাজারে বড় পতনের আর আশংকা নেই বলে মনে করছেন তারা।

ডিএসইতে আজ প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা ১৮১ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৮ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এটি গত ৪ মাসের মধ্যে এই সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান।এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৬৯ পয়েন্ট।অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্য সূচকের ব্যাপক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক কমেছে ৫৪৪ পয়েন্ট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

প্রসঙ্গত, আগামীকাল সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। সম্প্রতি করোনো সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসে। লকডাউনে পুঁজিবাজারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমন আতঙ্কে রোববার পুঁজিবাজারে ছিল শেয়ার বিক্রির প্রচণ্ড চাপ। এতে লেনদেনের শুরু থেকেই ব্যাপক দরপতন ছিল পুঁজিবাজারে।

তবে এবার লকডাউনেও পুঁজিবাজার খোলা থকবে। এমন ঘোষণা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আগেই দিয়েছে। আজ রোববারও রাজধানীর এক কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবো জানান, ব্যাংকিং কারযক্রম চালু থাকলে পুঁজিবাজারও চালু থাকবে। তবুও করোনা পরিস্থিতি বাড়ার সাথে সাথে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্তিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করছে। কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি।

রোববার ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে ৫২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৬৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৪৫১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার।

এদিন ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৮১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮৮ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ৮২ পয়েন্ট কমেছে এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩৬ পয়েন্ট কমেছে।রোববার ডিএসইতে মোট ৩২৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭টির, দর কমেছে ২৫১টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৬টি কোম্পানির।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫৪৪ পয়েন্ট। সূচকটি ১৪ হাজার ৭১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার।সিএসইতে মোট ২১৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪টির, দর কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

পুঁজিবাজারে উদ্বেগ আতঙ্কে বড় ঝাঁকুনি

আপডেট: ০৩:৩৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ এপ্রিল ২০২১

করোনা ভাইরাসজনিত আতঙ্কের বড় ঝাঁকুনি লেগেছে পুঁজিবাজারে। আজ রোববার (৪ এপ্রিল) সপ্তাহের প্রথম লেনদেন দিবসে বাজারে ব্যাপক দর পতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ শতাংশ কোম্পানি শেয়ারের দর হারিয়েছে। ডিএসইর বিভিন্ন মূল্যসূচক ৩ থেকে ৪ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। তবে বড় পতনের দিনেও লেনদেন বেড়েছে বাজারে। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে বাজারে যথেষ্ট পরিমাণ ক্রেতাও সক্রিয় আছে। এতে বাজার বিশ্লেষকরা বেশ আশাবাদী। আজকের পর বাজারে বড় পতনের আর আশংকা নেই বলে মনে করছেন তারা।

ডিএসইতে আজ প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৩ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট বা ১৮১ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৮৮ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এটি গত ৪ মাসের মধ্যে এই সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান।এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর সূচকটির অবস্থান ছিল ৫ হাজার ৬৯ পয়েন্ট।অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) মূল্য সূচকের ব্যাপক পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। আজ সিএসই সার্বিক সূচক কমেছে ৫৪৪ পয়েন্ট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

প্রসঙ্গত, আগামীকাল সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। সম্প্রতি করোনো সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসে। লকডাউনে পুঁজিবাজারও বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমন আতঙ্কে রোববার পুঁজিবাজারে ছিল শেয়ার বিক্রির প্রচণ্ড চাপ। এতে লেনদেনের শুরু থেকেই ব্যাপক দরপতন ছিল পুঁজিবাজারে।

তবে এবার লকডাউনেও পুঁজিবাজার খোলা থকবে। এমন ঘোষণা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আগেই দিয়েছে। আজ রোববারও রাজধানীর এক কর্মশালার উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবো জানান, ব্যাংকিং কারযক্রম চালু থাকলে পুঁজিবাজারও চালু থাকবে। তবুও করোনা পরিস্থিতি বাড়ার সাথে সাথে বিনিয়োগকারীরা আতঙ্তিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করছে। কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ারও অনুরোধ জানিয়েছে বিএসইসি।

রোববার ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। এদিন ডিএসইতে ৫২১ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আজ ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৬৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। বৃহস্পতিবার লেনদেন হয়েছিল ৪৫১ কোটি ৩৩ লাখ টাকার।

এদিন ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১৮১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৮৮ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ৮২ পয়েন্ট কমেছে এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩৬ পয়েন্ট কমেছে।রোববার ডিএসইতে মোট ৩২৪টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭টির, দর কমেছে ২৫১টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৬টি কোম্পানির।

অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৫৪৪ পয়েন্ট। সূচকটি ১৪ হাজার ৭১১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার।সিএসইতে মোট ২১৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪টির, দর কমেছে ১৮৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন: