১২:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

ভোলায় দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল বুথ’ চালু

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১
  • / ৪২১৮ বার দেখা হয়েছে

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ সেবা নিশ্চিতে দেশ এবং বিদেশে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের নীতিমালা তৈরি করে নির্দেশনা জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং কানাডার টরেনটোর পর এবার দেশে প্রথম একই ধরনের ডিজিটাল বুথ চালু হলো। যা পুঁজিবাজারে নতুন গতি আনবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে, নতুন বিনিয়োগকারীদের এসব বুথের মাধ্যমে বিনিয়োগে কিছুটা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

দেশে ডিজিটাল বুথ খুলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় আজ বুধবার ‘ভোলা ডিজিটাল বুথ’ চালু করলো। সকালে ফিতা কেটে ডিজিটাল বুথের কার্যক্রম চালু করেন আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ডিজিটাল বুথ মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীসহ উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এ সময় চট্টগ্রাম রিজিওন সিনিয়র ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবু সাঈদ, চট্টগ্রামের মাইজদী শাখার ম্যানেজার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সুমন, সেগুনবাগিচা শাখার ম্যানেজার মো. নিয়াজ উদ্দিন শাকিল, ভোলা ডিজিটাল বুথের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি বিনিয়োগ সুরক্ষার বিভিন্ন কৌশলসহ আইল্যান্ডের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের চিত্র তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি বলেন, আইল্যান্ড একটি বিশ্বস্ত ব্রোকার হাউজ। এ হাউজ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা এবং প্রশিক্ষণের জন্য সব সময় কাজ করবে। এ সময় তিনি অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের ও উত্তর দেন।

অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীরা জানান, ভোলায় অন্য কোনো ব্রোকারেজ হাউজ নেই। সিএসই’র পাশাপাশি তারা ডিএসইতে লাইভ ট্রেড করতে চান। তাই এ বিষয়ে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান বিনিয়োগকারীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিনিয়োগকারীদের জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগের টাকা যেহেতু আপনার, তাই অপনাকেই সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই শেয়ারবাজার সম্পর্কে জানার জন্য শিক্ষনীয় বই, প্রশিক্ষণ নিয়ে তারপর বিনিয়োগকারীদের এ ব্যবসায় আসাতে হবে।

এর আগে ফিজিকাল বুথের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে আবেদনের পর আমাদের কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, ফটিকছড়ি ও ভোলা জেলায় চারটি ডিজিটাল বুথ খোলার জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। তবে, প্রথমে আমাদের দুইটি বুথ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে বলা হয়েছে। এরপর এ দু’টি বুথের পারফরমেন্স দেখে পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার এবং ফটিকছড়িতে ডিজিটাল বুথ চালুর অনুমোদন দেবে বিএসইসি। এই চারটি সম্পন্ন হলে আরো ৮টি বুথের অনুমোদন চাইবো আমরা। এরপর পর্যায়ক্রমে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হবে। আমরা ভালোই সাড়া পাবো বলে ধারণা করছি। আশা করছি বিনিয়োগকারীরাও বিষয়টিকে ভালোভাবে নিবেন। বুথে প্রশিক্ষিত লোকেই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা তাই দক্ষ কর্মী পেতে এখন থেকেই নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। একজন দক্ষ লোক গড়ে তুলতে কম করে হলেও দেড় থেকে দুইবছর সময় লাগে।’

আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের সূত্রমতে, ডিজিটাল বুথ চালু করার আগে ভবন ভাড়া নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্যও কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১২টি বুথ চালুর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিএসইসির অনুমোদন এবং ভালো সাড়া পেলে ধাপে ধাপে এগুলো চালু করা হবে।

যেসব জায়গায় বুথ করার পরিকল্পনা: সিরাজগঞ্জ ডিজিটাল বুথ (মেট্রো প্লাজা (৩য় তলা), বাড়ি নং-১০০৯, এস.এস রোড, সিরাজগঞ্জ), ভোলা ডিজিটাল বুথ (মমতাজ করিম, (৩য় তলা), দিদার মসজিদ রোড, ৬ নং ওয়ার্ড, ভোলা পৌরসভা, জেলা: ভোলা), লক্ষীপুর ডিজিটাল বুথ (ডা. শাহ আলম চৌধুরী শপিং কমপ্লেক্স (৩য় তলা), সিটি মেইন রোড, লক্ষীপুর), হাজীগঞ্জ ডিজিটাল বুথ (কেনাকাটা মার্কেট (৪র্থ তলা), মেইন রোড, হাজীগঞ্জ মধ্যবাজার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর), ফটিকছড়ি ডিজিটাল বুথ (নজরুল শপিং কমপ্লেক্স (৩য় তলা), কলেজ রোড, বিবিরহাট, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম), কক্সবাজার ডিজিটাল বুথ (সিটি সেন্টার (২য় তলা), ১০০২ পূর্ব বাজারঘাটা, কক্সবাজার পৌরসভা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম), চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিজিটাল বুথ (আলা উল্লাহ ভবন (৩য় তলা), হোল্ডিং নং-১৩৪/১, বাতেনখাঁর মোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ), সাতক্ষীরা ডিজিটাল বুথ (নূর সুপার মার্কেট (৩য় তলা), ১৭৬২/৩, শহীদ নাজমুস স্বরনী,সাতক্ষীরা), ঝিনাইদহ ডিজিটাল বুথ (মালিটা প্লাজা (৪র্থ তলা), ১৭ শেরে-ই-বাংলা রোড, পাইরা চত্বর, ঝিনাইদহ), রাঙ্গামাটি ডিজিটাল বুথ (এস.আর. টাওয়ার (৩য় তলা), ১০৭ শহীদ আবদুল রশীদ রোড, বনরুপা, রাঙ্গামাটি পৌরসভা, রাঙ্গামাটি), উল্লাহপারা ডিজিটাল বুথ (গোলাম আম্বিয়া সুপার মার্কেট (৩য় তলা), উল্লাহপারা বাস স্ট্যান্ড, উল্লাহপারা, সিরাজগঞ্জ), সৈয়দপুর ডিজিটাল বুথ (বাবুআলী কমপ্লেক্স শেরেবাংলা রোডএর ২য় তলার, সৈয়দপুর, জেলা: নীলফামারী)।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ৭৬৪তম কমিশন সভায় আইল্যান্ড সিকিউরিটিজকে তাদের সুবিধা মতো যেকোনো দুটি জায়গায় ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই দুটি বুথের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে কক্সবাজার এবং ফটিকছড়ি জেলায় আরো দু’টি নতুন ডিজিটাল বুথ খোলা অনুমোদন দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ অর্থসূচককে বলেন, ‘আমরা মনে করি আমাদের পুঁজিবাজারটা শহর কেন্দ্রীক। একটি নির্দিষ্ট শ্রেণী এখানে অংশ নিচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশের সব নাগরিকের এখানে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে বা সবার এখানে অংশ নেওয়া সুযোগ আছে। এই সুযোগটাকে যাতে আমরা সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারি তার জন্য এই ডিজিটাল বুথের পরিকল্পনাটি আমরা হাতে নিয়েছি।’

নতুন বিনিয়োগকারীরা না বুঝে বিনিয়োগ করলে বিষয়টি সাংঘর্ষিক হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসইসি কমিশনার বলেন, যারা এখানে সংযুক্ত হবেন, আমরা তাদেরকে একটা কথাই বার বার বলে থাকি- পুঁজিবাজারে যেভাবে অনেক বেশি লাভ ঠিক তেমনি অনেক বেশি ঝুঁকিও আছে। তাই অবশ্যই বিনিয়োগের আগে ভেবে-চিন্তে তারপর বিনিয়োগ করা দরকার। এছাড়া যেসব ব্রোকার হাউজ রয়েছে তাদেরকে আমরা স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি যে, বিনিয়োগের পূর্বে বিনিয়োগকারীকে অবশ্যই পুরো তথ্য পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া কোনোভাবে যেন তারা কাউকে বিভ্রান্ত না করতে পারে আমরা সে দিকটাতে নজর রেখেছি। ডিজিটাল বুথে সবসময় চালু থাকবে এমন একটি হটলাইন নম্বর নিশ্চিত করতে বলেছি।

তাছাড়া নির্দিষ্ট ভবন থাকতে হবে। আমাদের আগ্রহ সবাইকে পুঁজিবাজারে সংযুক্ত করা।

‘বাংলাদেশে যে পরিমাণ সঞ্চয় হয় তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গ্রামাঞ্চল থেকে আসে। সেখানে ঋণ যে পরিমাণ দেওয়া হয় তার বেশিরভাগ অংশই শহরে চলে যায়। গ্রামের যেসব লোক এভাবে সঞ্চয় করেন তাদের সঞ্চয়গুলো তারা যাতে বিনিয়োগ করতে পারেন তাই তাদের সংযুক্তের কথা ভাবছি আমরা। আর তাই আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের ডিজিটাল বুথগুলো স্থাপনের চিন্তা করছি। আমরা আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে চারটি বুথ স্থাপনের অনুমতি দিয়েছি। এর মধ্যে প্রথমে দুইটি বুথ চালু করতে বলেছি। এরপর বাকি দুটো। অন্যরাও যদি এভাবে বুথ খুলতে চায় আমরা তাদের স্বাগত জানাই।’

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, স্থানীয়, প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ করে তুলতে দেশে ও বিদেশে ডিজিটাল বুথ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্রোকার তাদের পচ্ছন্দমতো জায়গায় বুথ খোলার আবেদন জানিয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্রোকারেজ হাউজকে বুথ চালু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাদ-বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হবে।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ অর্থসূচককে বলেন, ডিজিটাল বুথ পুঁজিবাজারের জন্য বিপদজনক হতে পারে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগে অনেক বিষয় জানতে হয়। এভাবে সহজে বিনিয়োগের সুযোগ পেয়ে সাধারণ মানুষ কিছু না বুঝেই বিনিয়োগ করে বসবে। এতে করে তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হবে। বাজারে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। ব্রোকার যারা এসব টাকা সংগ্রহ করবেন তারা যে যথাযথভাবে সঠিক বিনিয়োগ করবে তার নিশ্চয়তা দেওয়া মুশকিল। টাকা নিয়ে এসব মধ্যস্থতাকারী কি করবে তার সঠিক ধারণা আগে থেকে দিয়ে রাখা উচিত। এসব টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত কে দেবেন, তাও পরিস্কার করা উচিত।

যথাযথভাবে প্রশিক্ষণের ওপরও জোর দিয়েছেন এই বিশ্লেষক। তিনি বলেন, এমন একটি উদ্যোগ বাস্তবায়ণের জন্য অবশ্যই যথাযথ প্রশিক্ষিত লোক লাগবে। যথাযথভাবে সবকিছু না হলে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। না বুঝে এখনো যারা শেয়ারবাজারে প্রবেশ করেছেন তারাই সর্বশান্ত হয়েছে। তাই কে কোথায় বিনিয়োগে করবেন, কেন করবেন- তার একটি সুনির্দিষ্ট ধারনা আগে থেকেই থাকতে হবে। হুট করে বুথ পেলাম আর বিনিয়োগ করে বসলাম, তা ঠিক হবে না। নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য এসব বুথের মাধ্যমে বিনিয়োগের আগে খুবই সাবধান থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত ডিজিটাল বুথ খোলার নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও দেশের বাইরেও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। ওই বুথ স্টক ব্রোকারের প্রধান অফিস দ্ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের তৃতীয়পক্ষ দ্বারা পরিচালনা করা যাবে না। ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে। দেশের ভেতরে প্রতিটি বুথ খোলার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। দেশের বাহিরে খুলতে দিতে ১০ লাখ টাকা। বুথ চালু করতে চাওয়া ব্রোকার হাউজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থাকতে হবে।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

x
English Version

ভোলায় দেশের প্রথম ‘ডিজিটাল বুথ’ চালু

আপডেট: ০৩:১৩:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ মার্চ ২০২১

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য সহজ সেবা নিশ্চিতে দেশ এবং বিদেশে ডিজিটাল বুথ স্থাপনের নীতিমালা তৈরি করে নির্দেশনা জারি করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরই ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং কানাডার টরেনটোর পর এবার দেশে প্রথম একই ধরনের ডিজিটাল বুথ চালু হলো। যা পুঁজিবাজারে নতুন গতি আনবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে, নতুন বিনিয়োগকারীদের এসব বুথের মাধ্যমে বিনিয়োগে কিছুটা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

দেশে ডিজিটাল বুথ খুলে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলায় আজ বুধবার ‘ভোলা ডিজিটাল বুথ’ চালু করলো। সকালে ফিতা কেটে ডিজিটাল বুথের কার্যক্রম চালু করেন আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ডিজিটাল বুথ মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাতে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীসহ উপস্থিত ছিলেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এ সময় চট্টগ্রাম রিজিওন সিনিয়র ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আবু সাঈদ, চট্টগ্রামের মাইজদী শাখার ম্যানেজার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সুমন, সেগুনবাগিচা শাখার ম্যানেজার মো. নিয়াজ উদ্দিন শাকিল, ভোলা ডিজিটাল বুথের ইনচার্জ মো. জসিম উদ্দিন আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। তিনি বিনিয়োগ সুরক্ষার বিভিন্ন কৌশলসহ আইল্যান্ডের বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের চিত্র তুলে ধরেন।

এ সময় তিনি বলেন, আইল্যান্ড একটি বিশ্বস্ত ব্রোকার হাউজ। এ হাউজ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষা এবং প্রশিক্ষণের জন্য সব সময় কাজ করবে। এ সময় তিনি অতিথিদের বিভিন্ন প্রশ্নের ও উত্তর দেন।

অনুষ্ঠানে বিনিয়োগকারীরা জানান, ভোলায় অন্য কোনো ব্রোকারেজ হাউজ নেই। সিএসই’র পাশাপাশি তারা ডিএসইতে লাইভ ট্রেড করতে চান। তাই এ বিষয়ে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান বিনিয়োগকারীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিনিয়োগকারীদের জেনে-বুঝে বিনিয়োগ করতে হবে। বিনিয়োগের টাকা যেহেতু আপনার, তাই অপনাকেই সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে। তাই শেয়ারবাজার সম্পর্কে জানার জন্য শিক্ষনীয় বই, প্রশিক্ষণ নিয়ে তারপর বিনিয়োগকারীদের এ ব্যবসায় আসাতে হবে।

এর আগে ফিজিকাল বুথের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে আবেদনের পর আমাদের কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, ফটিকছড়ি ও ভোলা জেলায় চারটি ডিজিটাল বুথ খোলার জন্য অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি। তবে, প্রথমে আমাদের দুইটি বুথ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে বলা হয়েছে। এরপর এ দু’টি বুথের পারফরমেন্স দেখে পরবর্তী সময়ে কক্সবাজার এবং ফটিকছড়িতে ডিজিটাল বুথ চালুর অনুমোদন দেবে বিএসইসি। এই চারটি সম্পন্ন হলে আরো ৮টি বুথের অনুমোদন চাইবো আমরা। এরপর পর্যায়ক্রমে বুথের সংখ্যা বাড়ানো হবে। আমরা ভালোই সাড়া পাবো বলে ধারণা করছি। আশা করছি বিনিয়োগকারীরাও বিষয়টিকে ভালোভাবে নিবেন। বুথে প্রশিক্ষিত লোকেই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা তাই দক্ষ কর্মী পেতে এখন থেকেই নিয়মিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। একজন দক্ষ লোক গড়ে তুলতে কম করে হলেও দেড় থেকে দুইবছর সময় লাগে।’

আইল্যান্ড সিকিউরিটিজের সূত্রমতে, ডিজিটাল বুথ চালু করার আগে ভবন ভাড়া নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্যও কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ১২টি বুথ চালুর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিএসইসির অনুমোদন এবং ভালো সাড়া পেলে ধাপে ধাপে এগুলো চালু করা হবে।

যেসব জায়গায় বুথ করার পরিকল্পনা: সিরাজগঞ্জ ডিজিটাল বুথ (মেট্রো প্লাজা (৩য় তলা), বাড়ি নং-১০০৯, এস.এস রোড, সিরাজগঞ্জ), ভোলা ডিজিটাল বুথ (মমতাজ করিম, (৩য় তলা), দিদার মসজিদ রোড, ৬ নং ওয়ার্ড, ভোলা পৌরসভা, জেলা: ভোলা), লক্ষীপুর ডিজিটাল বুথ (ডা. শাহ আলম চৌধুরী শপিং কমপ্লেক্স (৩য় তলা), সিটি মেইন রোড, লক্ষীপুর), হাজীগঞ্জ ডিজিটাল বুথ (কেনাকাটা মার্কেট (৪র্থ তলা), মেইন রোড, হাজীগঞ্জ মধ্যবাজার, হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর), ফটিকছড়ি ডিজিটাল বুথ (নজরুল শপিং কমপ্লেক্স (৩য় তলা), কলেজ রোড, বিবিরহাট, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম), কক্সবাজার ডিজিটাল বুথ (সিটি সেন্টার (২য় তলা), ১০০২ পূর্ব বাজারঘাটা, কক্সবাজার পৌরসভা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম), চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিজিটাল বুথ (আলা উল্লাহ ভবন (৩য় তলা), হোল্ডিং নং-১৩৪/১, বাতেনখাঁর মোড়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ), সাতক্ষীরা ডিজিটাল বুথ (নূর সুপার মার্কেট (৩য় তলা), ১৭৬২/৩, শহীদ নাজমুস স্বরনী,সাতক্ষীরা), ঝিনাইদহ ডিজিটাল বুথ (মালিটা প্লাজা (৪র্থ তলা), ১৭ শেরে-ই-বাংলা রোড, পাইরা চত্বর, ঝিনাইদহ), রাঙ্গামাটি ডিজিটাল বুথ (এস.আর. টাওয়ার (৩য় তলা), ১০৭ শহীদ আবদুল রশীদ রোড, বনরুপা, রাঙ্গামাটি পৌরসভা, রাঙ্গামাটি), উল্লাহপারা ডিজিটাল বুথ (গোলাম আম্বিয়া সুপার মার্কেট (৩য় তলা), উল্লাহপারা বাস স্ট্যান্ড, উল্লাহপারা, সিরাজগঞ্জ), সৈয়দপুর ডিজিটাল বুথ (বাবুআলী কমপ্লেক্স শেরেবাংলা রোডএর ২য় তলার, সৈয়দপুর, জেলা: নীলফামারী)।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ৭৬৪তম কমিশন সভায় আইল্যান্ড সিকিউরিটিজকে তাদের সুবিধা মতো যেকোনো দুটি জায়গায় ডিজিটাল বুথ খোলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এই দুটি বুথের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে কক্সবাজার এবং ফটিকছড়ি জেলায় আরো দু’টি নতুন ডিজিটাল বুথ খোলা অনুমোদন দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ অর্থসূচককে বলেন, ‘আমরা মনে করি আমাদের পুঁজিবাজারটা শহর কেন্দ্রীক। একটি নির্দিষ্ট শ্রেণী এখানে অংশ নিচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশের সব নাগরিকের এখানে অংশ নেওয়ার অধিকার রয়েছে বা সবার এখানে অংশ নেওয়া সুযোগ আছে। এই সুযোগটাকে যাতে আমরা সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারি তার জন্য এই ডিজিটাল বুথের পরিকল্পনাটি আমরা হাতে নিয়েছি।’

নতুন বিনিয়োগকারীরা না বুঝে বিনিয়োগ করলে বিষয়টি সাংঘর্ষিক হতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসইসি কমিশনার বলেন, যারা এখানে সংযুক্ত হবেন, আমরা তাদেরকে একটা কথাই বার বার বলে থাকি- পুঁজিবাজারে যেভাবে অনেক বেশি লাভ ঠিক তেমনি অনেক বেশি ঝুঁকিও আছে। তাই অবশ্যই বিনিয়োগের আগে ভেবে-চিন্তে তারপর বিনিয়োগ করা দরকার। এছাড়া যেসব ব্রোকার হাউজ রয়েছে তাদেরকে আমরা স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি যে, বিনিয়োগের পূর্বে বিনিয়োগকারীকে অবশ্যই পুরো তথ্য পরিষ্কার করতে হবে। তাছাড়া কোনোভাবে যেন তারা কাউকে বিভ্রান্ত না করতে পারে আমরা সে দিকটাতে নজর রেখেছি। ডিজিটাল বুথে সবসময় চালু থাকবে এমন একটি হটলাইন নম্বর নিশ্চিত করতে বলেছি।

তাছাড়া নির্দিষ্ট ভবন থাকতে হবে। আমাদের আগ্রহ সবাইকে পুঁজিবাজারে সংযুক্ত করা।

‘বাংলাদেশে যে পরিমাণ সঞ্চয় হয় তার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ গ্রামাঞ্চল থেকে আসে। সেখানে ঋণ যে পরিমাণ দেওয়া হয় তার বেশিরভাগ অংশই শহরে চলে যায়। গ্রামের যেসব লোক এভাবে সঞ্চয় করেন তাদের সঞ্চয়গুলো তারা যাতে বিনিয়োগ করতে পারেন তাই তাদের সংযুক্তের কথা ভাবছি আমরা। আর তাই আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আমাদের ডিজিটাল বুথগুলো স্থাপনের চিন্তা করছি। আমরা আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেডকে চারটি বুথ স্থাপনের অনুমতি দিয়েছি। এর মধ্যে প্রথমে দুইটি বুথ চালু করতে বলেছি। এরপর বাকি দুটো। অন্যরাও যদি এভাবে বুথ খুলতে চায় আমরা তাদের স্বাগত জানাই।’

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, স্থানীয়, প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহ করে তুলতে দেশে ও বিদেশে ডিজিটাল বুথ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্রোকার তাদের পচ্ছন্দমতো জায়গায় বুথ খোলার আবেদন জানিয়েছে। এর মধ্যে একটি ব্রোকারেজ হাউজকে বুথ চালু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাদ-বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর আবেদন যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়া হবে।

শেয়ারবাজার বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ অর্থসূচককে বলেন, ডিজিটাল বুথ পুঁজিবাজারের জন্য বিপদজনক হতে পারে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের আগে অনেক বিষয় জানতে হয়। এভাবে সহজে বিনিয়োগের সুযোগ পেয়ে সাধারণ মানুষ কিছু না বুঝেই বিনিয়োগ করে বসবে। এতে করে তাদের আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরি হবে। বাজারে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হতে পারে। ব্রোকার যারা এসব টাকা সংগ্রহ করবেন তারা যে যথাযথভাবে সঠিক বিনিয়োগ করবে তার নিশ্চয়তা দেওয়া মুশকিল। টাকা নিয়ে এসব মধ্যস্থতাকারী কি করবে তার সঠিক ধারণা আগে থেকে দিয়ে রাখা উচিত। এসব টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত কে দেবেন, তাও পরিস্কার করা উচিত।

যথাযথভাবে প্রশিক্ষণের ওপরও জোর দিয়েছেন এই বিশ্লেষক। তিনি বলেন, এমন একটি উদ্যোগ বাস্তবায়ণের জন্য অবশ্যই যথাযথ প্রশিক্ষিত লোক লাগবে। যথাযথভাবে সবকিছু না হলে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। না বুঝে এখনো যারা শেয়ারবাজারে প্রবেশ করেছেন তারাই সর্বশান্ত হয়েছে। তাই কে কোথায় বিনিয়োগে করবেন, কেন করবেন- তার একটি সুনির্দিষ্ট ধারনা আগে থেকেই থাকতে হবে। হুট করে বুথ পেলাম আর বিনিয়োগ করে বসলাম, তা ঠিক হবে না। নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য এসব বুথের মাধ্যমে বিনিয়োগের আগে খুবই সাবধান থাকতে হবে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত ডিজিটাল বুথ খোলার নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতিক্রমে যেকোনো স্টক ব্রোকার ডিজিটাল বুথের জন্য কমিশনে আবেদন করতে পারবে। সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও দেশের বাইরেও ডিজিটাল বুথ স্থাপন করা যাবে। ওই বুথ স্টক ব্রোকারের প্রধান অফিস দ্ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো ধরনের তৃতীয়পক্ষ দ্বারা পরিচালনা করা যাবে না। ডিজিটাল বুথ পরিচালনার জন্য স্টক ব্রোকারের প্রয়োজনীয় কাঠামো এবং সুযোগ-সুবিধা, আর্থিক সক্ষমতা ও জনবল থাকতে হবে। দেশের ভেতরে প্রতিটি বুথ খোলার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে ১ লাখ টাকা জমা দিতে হবে। দেশের বাহিরে খুলতে দিতে ১০ লাখ টাকা। বুথ চালু করতে চাওয়া ব্রোকার হাউজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইট থাকতে হবে।

বিজনেসজার্নাল/ঢাকা/এনইউ

 

আরও পড়ুন: