০৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

যে কারণে বদলে গেলো পুঁজিবাজারের দৃশ্যপট!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪৪৬২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

করোনার সংক্রমন রোধে লকডাউন ঘোষণার দিন রোববার (৪ এপ্রিল) এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন হয় পুঁজিবাজারে। পুঁজিবাজারে নিজস্ব বিনিয়োগের বিপরীতে মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও বৃদ্ধি সংক্রান্ত নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে সেই চিত্র পাল্টে গেছে।

রোববার (০৪এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি) এ মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সোমবার উভয় বাজারে বড় উত্থান হয়েছে। এদিন ব্যাংক, বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৮৮ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২৫০ পয়েন্ট।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকডাউনের ভয় ও আতঙ্কে যেখানে রোববার বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি হিড়িক ছিল। সোমবার ব্রোকারেজ হাউজগুলোয় বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি শূন্য ছিল। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংক, এবং ব্রোকার হাউজগুলোর শেয়ার কেনার পাশাপাশি ফোর্সসেল কমে যাওয়ার ফলে পুঁজিবাজারে চিত্র পাল্টে যায়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও বাড়ানো ফলে ফোর্সসেল বন্ধ হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ক্যাপাসিটি বেড়েছে। তাতে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভয় ছিল যে, লকডাউন হলে, পুঁজিবাজার বন্ধ হয়ে যাবে। সেই ভয় কেটেছে, পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সেল প্রেসারও কমেছে। এসব কারণে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।

উল্লেখ্য, চলমান দরপতনে মার্জিন ঋণ নিয়ে লেনদেন করা বিনিয়োগকারীদের ফোর্সড সেল কমবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কারণ রোববার (৪ এপ্রিল) নতুন করে পুঁজিবাজারে নিজস্ব বিনিয়োগের বিপরীতে মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও বাড়িয়েছে কমিশন।

বিষয়টি নিয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছিলেন, ব্যক্তি বিনিয়োগের বিপরীতে মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও এক অনুপাত শূন্য দশমিক ৫০ থেকে বাড়িয়ে এক অনুপাত শূন্য দশমিক ৮০ করা হবে। এ নির্দেশনা ডিএসইএক্স সূচক ৭ হাজার পর্যন্ত কার্যকর হবে। এর উপরে বা বেশি সূচকের ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ রেশিও হবে এক অনুপাত শূন্য দশমিক ৫০। দরপতনের এই বাজারে কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের ফলে ফোর্সড সেল কমে যাবে।

বিজনেসজার্নাল/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

যে কারণে বদলে গেলো পুঁজিবাজারের দৃশ্যপট!

আপডেট: ০৫:৫৪:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

করোনার সংক্রমন রোধে লকডাউন ঘোষণার দিন রোববার (৪ এপ্রিল) এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দরপতন হয় পুঁজিবাজারে। পুঁজিবাজারে নিজস্ব বিনিয়োগের বিপরীতে মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও বৃদ্ধি সংক্রান্ত নির্দেশনাকে কেন্দ্র করে সেই চিত্র পাল্টে গেছে।

রোববার (০৪এপ্রিল) বিকেলে বাংলাদেশ সিকিউরটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি) এ মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর সোমবার উভয় বাজারে বড় উত্থান হয়েছে। এদিন ব্যাংক, বীমা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব শেয়ারের দাম বেড়েছে। এতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ৮৮ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ২৫০ পয়েন্ট।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লকডাউনের ভয় ও আতঙ্কে যেখানে রোববার বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রি হিড়িক ছিল। সোমবার ব্রোকারেজ হাউজগুলোয় বিনিয়োগকারীদের উপস্থিতি শূন্য ছিল। কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংক, এবং ব্রোকার হাউজগুলোর শেয়ার কেনার পাশাপাশি ফোর্সসেল কমে যাওয়ার ফলে পুঁজিবাজারে চিত্র পাল্টে যায়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও বাড়ানো ফলে ফোর্সসেল বন্ধ হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ক্যাপাসিটি বেড়েছে। তাতে পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছে।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে একটা ভয় ছিল যে, লকডাউন হলে, পুঁজিবাজার বন্ধ হয়ে যাবে। সেই ভয় কেটেছে, পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সেল প্রেসারও কমেছে। এসব কারণে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার।

উল্লেখ্য, চলমান দরপতনে মার্জিন ঋণ নিয়ে লেনদেন করা বিনিয়োগকারীদের ফোর্সড সেল কমবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কারণ রোববার (৪ এপ্রিল) নতুন করে পুঁজিবাজারে নিজস্ব বিনিয়োগের বিপরীতে মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও বাড়িয়েছে কমিশন।

বিষয়টি নিয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছিলেন, ব্যক্তি বিনিয়োগের বিপরীতে মার্জিন ঋণ প্রদানের রেশিও এক অনুপাত শূন্য দশমিক ৫০ থেকে বাড়িয়ে এক অনুপাত শূন্য দশমিক ৮০ করা হবে। এ নির্দেশনা ডিএসইএক্স সূচক ৭ হাজার পর্যন্ত কার্যকর হবে। এর উপরে বা বেশি সূচকের ক্ষেত্রে মার্জিন ঋণ রেশিও হবে এক অনুপাত শূন্য দশমিক ৫০। দরপতনের এই বাজারে কমিশনের এমন সিদ্ধান্তের ফলে ফোর্সড সেল কমে যাবে।

বিজনেসজার্নাল/এসএ