১০:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রিজেন্টের সহযোগী কোম্পানি কেনার বিষয় খতিয়ে দেখবে বিএসইসি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০২:০০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৪১৩৪ বার দেখা হয়েছে

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) টাকায় সহযোগী কোম্পানি কিনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড। আইপিওর টাকায় সহযোগী কোম্পানি ক্রয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসি। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ অক্টোবর রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ আইপিওর টাকা দিয়ে লিগ্যাসি ফ্যাশনকে কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিগ্যাসি ফ্যাশনকে ৯৯ শতাংশ কিনে নিবে। এর জন্য টাকা দিতে হবে ৮৩ কোটি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এই টাকার মধ্যে ৮০ কোটি টাকা দিবে রিজেন্ট টেক্সটাইলের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) টাকা থেকে। বাকী টাকা পরিশোধ করা হবে কোম্পানির নিজস্ব ফান্ড থেকে।

কোম্পানিটি ২০১৫ সালে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছিল। ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার থেকে অর্থ ব্যবহারের সময়সীমা চারবার বাড়িয়েছে কোম্পানিটি। এর আগে ২০১৫ সালে, ভারসাম্য, আধুনিকায়ন, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ (বিএমআরই) বাস্তবায়নের জন্য এবং নতুন তৈরি পোশাক (আরএমজি) কারখানা গঠনের জন্য ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। কোম্পানি বিএমআরই ১২ মাসের মধ্যে এবং আরএমজি প্রকল্পটি ১৮ মাসে সম্পূর্ণ করতে চেয়েছিল। তবে এই কাজের প্রাথমিক সময়সীমা ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর এ শেষ হয়েছে। এরপরে রিজেন্ট টেক্সটাইল প্রথমবারের জন্য সময়সীমা ৩১ অক্টোবর, ২০১৭, তারপরে দ্বিতীয়বারের জন্য ৩০ জুন ২০১৮, তৃতীয়বার ৩১ অক্টোবর ২০১৮ এবং শেষবারের মতো ৩০ জুন ২০১৯ এ বাড়িয়েছে।

কোম্পানিটি এই সময়ের মধ্যে মোট আইপিও অর্থের মোট ৭৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যবহার করেছে। যা মোট আইপিও ফান্ডের ৬৪ শতাংশ। বাকি টাকা কোম্পানিটি ব্যবহার করতে পারেনি। সেই টাকা ব্যাংকে রাখার ফলে গত পাঁচ বছরে লভ্যাংশসহ কোম্পানিটির মোট অর্থ দাড়ায় ৮০ কোটি টাকারও কিছু বেশি। সেই টাকা দিয়েই কোম্পানিটি তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান লিগ্যাসি ফ্যাশনকে কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটি যখন তার আইপিওর টাকা ব্যবহার করতে পারছে না। তখন কোম্পানিটিকে বিএসইসি থেকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয় ব্যাংকে রাখা আইপিওর ৪৫ কোটি টাকা ব্যবহার করতে পারবে। লভ্যাংশ ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু কোম্পানিটি ব্যাংকে থাকা সবগুলো টাকাকেই আইপিওর টাকা বলে তার সহযোগি কোম্পানি লিগ্যাসি ফ্যাশনকে কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

শেয়ার করুন

x
English Version

রিজেন্টের সহযোগী কোম্পানি কেনার বিষয় খতিয়ে দেখবে বিএসইসি

আপডেট: ০২:০০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২০

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) টাকায় সহযোগী কোম্পানি কিনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেড। আইপিওর টাকায় সহযোগী কোম্পানি ক্রয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন বিএসইসি। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত ৫ অক্টোবর রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ আইপিওর টাকা দিয়ে লিগ্যাসি ফ্যাশনকে কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিজেন্ট টেক্সটাইল মিলস লিগ্যাসি ফ্যাশনকে ৯৯ শতাংশ কিনে নিবে। এর জন্য টাকা দিতে হবে ৮৩ কোটি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এই টাকার মধ্যে ৮০ কোটি টাকা দিবে রিজেন্ট টেক্সটাইলের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) টাকা থেকে। বাকী টাকা পরিশোধ করা হবে কোম্পানির নিজস্ব ফান্ড থেকে।

কোম্পানিটি ২০১৫ সালে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করেছিল। ইতিমধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার থেকে অর্থ ব্যবহারের সময়সীমা চারবার বাড়িয়েছে কোম্পানিটি। এর আগে ২০১৫ সালে, ভারসাম্য, আধুনিকায়ন, পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ (বিএমআরই) বাস্তবায়নের জন্য এবং নতুন তৈরি পোশাক (আরএমজি) কারখানা গঠনের জন্য ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে। কোম্পানি বিএমআরই ১২ মাসের মধ্যে এবং আরএমজি প্রকল্পটি ১৮ মাসে সম্পূর্ণ করতে চেয়েছিল। তবে এই কাজের প্রাথমিক সময়সীমা ২০১৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর এ শেষ হয়েছে। এরপরে রিজেন্ট টেক্সটাইল প্রথমবারের জন্য সময়সীমা ৩১ অক্টোবর, ২০১৭, তারপরে দ্বিতীয়বারের জন্য ৩০ জুন ২০১৮, তৃতীয়বার ৩১ অক্টোবর ২০১৮ এবং শেষবারের মতো ৩০ জুন ২০১৯ এ বাড়িয়েছে।

কোম্পানিটি এই সময়ের মধ্যে মোট আইপিও অর্থের মোট ৭৯ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যবহার করেছে। যা মোট আইপিও ফান্ডের ৬৪ শতাংশ। বাকি টাকা কোম্পানিটি ব্যবহার করতে পারেনি। সেই টাকা ব্যাংকে রাখার ফলে গত পাঁচ বছরে লভ্যাংশসহ কোম্পানিটির মোট অর্থ দাড়ায় ৮০ কোটি টাকারও কিছু বেশি। সেই টাকা দিয়েই কোম্পানিটি তার সহযোগী প্রতিষ্ঠান লিগ্যাসি ফ্যাশনকে কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কোম্পানিটি যখন তার আইপিওর টাকা ব্যবহার করতে পারছে না। তখন কোম্পানিটিকে বিএসইসি থেকে চিঠির মাধ্যমে জানানো হয় ব্যাংকে রাখা আইপিওর ৪৫ কোটি টাকা ব্যবহার করতে পারবে। লভ্যাংশ ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু কোম্পানিটি ব্যাংকে থাকা সবগুলো টাকাকেই আইপিওর টাকা বলে তার সহযোগি কোম্পানি লিগ্যাসি ফ্যাশনকে কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।