১০:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

৪ খাতের রথে চড়ে লেনদেনের পালে হাওয়া!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
  • / ৪৩৭৯ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের ১২তম দিনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। প্রকৌশল, বস্ত্র, টেলিযোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারের দাম বাড়ায় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৫ এপ্রিল) দেশের পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছে।

এদিন লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচক ও লেনদেন দুই বেড়েছে। এর ফলে টানা নয় কার্যদিবস পুঁজিবাজারে উত্থান হলো।

তার আগে চলতি মাসের ১১ এপ্রিল ‘লকডাউনে’ পুঁজিবাজার বন্ধ থাকতে পারে এমন খবরে দরপতন হয়েছিল। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছিল ৯০ পয়েন্ট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

তবে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পুঁজিবাজারও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৯ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এই নয়দিনই পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছে।

রোববার বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, টেলিযোগাযোগ খাতের তিন কোম্পানি গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে। তাতে সূচক বৃদ্ধিতে এই খাতের অবদান প্রায় ১৮ শতাংশ।

এছাড়াও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৫টির, আর অপরিবর্তীত রয়েছে পাঁচটির। লেনদেন হয়নি একটির। বস্ত্র খাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ১১টির, আর অপরিবর্তীত রয়েছে ছয়টির।
অন্যদিকে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২২টির, কমেছে ১১টির, আর অপরিবর্তীত ছিল ৯টির।

অর্থাৎ এই চার খাত রোববার সূচক বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে  প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি। আর তাতে বড় উত্থান হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৩ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৯৮ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৮ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩০ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৭ পয়েন্টে।

এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০১টির, কমেছে ৭৮টির, অপরিবর্তীত রয়েছে ৭৮টির। মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে ৩শ কোটি টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে ডিএসইতে।

রোববার ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল- বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, রেনেটা, বিডি ফাইন্যান্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, রবি আজিয়াটা, ঢাকা ও এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। 

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪৪ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৬৭ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ৬৩টির, আর অপরিবর্তীত রয়েছে ৪১টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৬২কোটি ৮৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x
English Version

৪ খাতের রথে চড়ে লেনদেনের পালে হাওয়া!

আপডেট: ০৩:২৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক লকডাউনের ১২তম দিনে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। প্রকৌশল, বস্ত্র, টেলিযোগাযোগ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের শেয়ারের দাম বাড়ায় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৫ এপ্রিল) দেশের পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছে।

এদিন লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় সূচক ও লেনদেন দুই বেড়েছে। এর ফলে টানা নয় কার্যদিবস পুঁজিবাজারে উত্থান হলো।

তার আগে চলতি মাসের ১১ এপ্রিল ‘লকডাউনে’ পুঁজিবাজার বন্ধ থাকতে পারে এমন খবরে দরপতন হয়েছিল। তাতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছিল ৯০ পয়েন্ট।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: বিজনেসজার্নালবিজনেসজার্নাল.বিডি

তবে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পুঁজিবাজারও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৯ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এই নয়দিনই পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছে।

রোববার বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, টেলিযোগাযোগ খাতের তিন কোম্পানি গ্রামীণফোন, রবি আজিয়াটা এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের শেয়ারের দাম বেড়েছে। তাতে সূচক বৃদ্ধিতে এই খাতের অবদান প্রায় ১৮ শতাংশ।

এছাড়াও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৫টির, আর অপরিবর্তীত রয়েছে পাঁচটির। লেনদেন হয়নি একটির। বস্ত্র খাতের ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৯টির, কমেছে ১১টির, আর অপরিবর্তীত রয়েছে ছয়টির।
অন্যদিকে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২২টির, কমেছে ১১টির, আর অপরিবর্তীত ছিল ৯টির।

অর্থাৎ এই চার খাত রোববার সূচক বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে  প্রায় ৬০ শতাংশের বেশি। আর তাতে বড় উত্থান হয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্যমতে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৩ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৯৮ পয়েন্টে। শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৮ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫৫ পয়েন্টে। বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩০ দশমিক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১১৭ পয়েন্টে।

এদিন লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০১টির, কমেছে ৭৮টির, অপরিবর্তীত রয়েছে ৭৮টির। মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৮৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে ৩শ কোটি টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে ডিএসইতে।

রোববার ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল- বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্স, রেনেটা, বিডি ফাইন্যান্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, রবি আজিয়াটা, ঢাকা ও এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। 

দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৪৪ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৮৬৭ পয়েন্টে। লেনদেন হওয়া কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৩২টির, কমেছে ৬৩টির, আর অপরিবর্তীত রয়েছে ৪১টির। লেনদেন হয়েছে মোট ৬২কোটি ৮৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা।

ঢাকা/এসএ