ইউক্রেনীয় বাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত রাশিয়ার তিন এলিট ইউনিট

- আপডেট: ০৬:৫১:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৪০৯৪ বার দেখা হয়েছে
ইউক্রেনের স্থল বাহিনীর জেনারেল ইন কমান্ড দাবি করেছেন, তাদের সেনাদের হামলায় পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর তিনটি এলিট ব্রিগেড। এই ব্রিগেডগুলো দোনেৎস্ক অঞ্চলে মোতায়েন ছিল।
জেনারেল ইন কমান্ড জেনারেল ওলেক্সান্ডার স্রাস্কি সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এমন দাবি করেছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, তাদের সেনারা ক্লিচচিভকা এবং আন্দ্রিভকা গ্রাম দখল করেছে। বিধ্বস্ত শহর বাখমুতের কাছে অবস্থিত এ গ্রাম দু’টি কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এগুলো তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু ছিল।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে এ জেনারেল বলেছেন, ‘বাখমুত সেকশনের লড়াইয়ে, শত্রুদের কিছু সেরা ইউনিট বিধ্বস্ত হয়েছে এবং সম্পূর্ণভাবে যুদ্ধ করার ক্ষমতা হারিয়েছে।’
ইউক্রেনীয় এ কমান্ডার যেসব ইউনিটের কথা বলছেন সেগুলো হলো— ৭২তম মোটর রাইফেল ব্রিগেড, ৩১তম ও ৮৩তম এয়ার অ্যাসাল্ট ব্রিগেড।
এ দু’টি গ্রাম দখল করা সেনাদের প্রশংসা করে জেনারেল স্রাস্কি জানিয়েছেন, তাদের সেনারা সামনে অগ্রসর হচ্ছে এবং কিছু জায়গায় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ভেদ করছে। তবে তিনি সঙ্গে এও জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর দখলকৃত এসব অঞ্চল পুনর্দখল করতে বিভিন্ন দিক থেকে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে রুশ বাহিনী।
চলতি বছরের মে মাসে প্রায় ১০ মাস যুদ্ধ করে বাখমুত শহর দখল করেছিল ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ ও রুশ সেনারা। কিন্তু দখলকৃতস্থানে অবস্থান দৃঢ় করার আগেই পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে সেগুলোর কিছু অংশ পুনর্দখল করে নিয়েছে কিয়েভের সেনারা।
তবে গত শনিবার আন্দ্রিভকা গ্রামটি হারানোর দাবি অস্বীকার করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন ও রাশিয়া কোনো দেশেরই এ দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএসডব্লিউ জানিয়েছে, ইউক্রেন বাখমুতের দিকে যে সাফল্য পাওয়ার দাবি করছে, সেটি ইঙ্গিত দিচ্ছে এদিকটায় অনেক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে রাশিয়া।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গুমের ৭০টি ঘটনার এখনো নিষ্পত্তি হয়নি: জাতিসংঘ
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ওই অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের পিছু হটাতে অভিযান চালিয়েছিল রাশিয়ার এয়ারবোর্ন ইউনিট। আর এ অভিযানে তারা বিধ্বস্ত হয়েছে।
সূত্র: আল জাজিরা
ঢাকা/এসএম