০২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত আন্তরিক: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৩০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • / ১০৩৪৯ বার দেখা হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তার সাথে সাথে জঙ্গিবাদ দমন, মাদক উদ্ধার, ভেজাল বিরোধী অভিযান, সাইবার ক্রাইম, প্রাকৃতি দুযোর্গ, ঝড়, বন্যা, ভূমিধস, মানুষের সৃষ্ট দুঘর্টনা ইত্যাদি নিয়েও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে র‌্যাব।

আজ রোববার (১৯ মার্চ) সকালে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাব সদর দপ্তরে এ দরবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছি, উন্নত হচ্ছি, আবার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে মাদকের প্রভাব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। মাদকাসক্ত হচ্ছে অনেকেই। এটা ধনী শ্রেণি থেকে একেবারে নিম্ন শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা পরিবারে কেউ মাদকাসক্ত থাকলে সেই পরিবারের কষ্টের সীমা থাকে না। এমনটাও দেখা যাচ্ছে, মাদকাসক্ত সন্তান তার বাবা-মাকে মেরে ফেলে। মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান র‌্যাব চালাচ্ছে, এটা একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। এই ক্ষেত্রে সবাইকে আরও সক্রিয় হতে হবে।ৎ

আরও পড়ুন: গণমানুষের আস্থার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে র‌্যাব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আজ সারা বাংলাদেশে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করেছি। এটা সুযোগও যেমন সৃষ্টি করে আবার সাইবার ক্রাইমও বৃদ্ধি করেছে। সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধেও আমাদের যথাযথ সতর্ক থাকতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে। র‌্যাবসহ আমাদের সকল গোয়েন্দা সংস্থাকে যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে। এটা অনেক মানুষের ক্ষতি করে ফেলে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি মানুষের কল্যাণের জন্য, অকল্যাণের জন্য নয়। এই কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনাকালীন যখন স্কুল কলেজ সীমিত আকারে চলছিল, তখন আমরা লক্ষ্য করি, কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান। এটা ভয়ংকর ব্যাপার। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে এখানে এক হলি আর্টিজেন ছাড়া আর তেমন কোনো ঘটনা ঘটতে পারেনি। এখনও কিছু কিছু ছেলেদের উসকানি দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রেও র‌্যাব অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়ে যাচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ওপর আরেকটা বোঝা, সেটা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা। প্রতিনিয়ত সেখানে নানা ধরনের অপরাধ ঘটছে। এ ব্যাপারেও সকলের আরও নজর দিতে হবে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত আন্তরিক: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ১২:৩০:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র‌্যাবের প্রতিটি সদস্য অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। তার সাথে সাথে জঙ্গিবাদ দমন, মাদক উদ্ধার, ভেজাল বিরোধী অভিযান, সাইবার ক্রাইম, প্রাকৃতি দুযোর্গ, ঝড়, বন্যা, ভূমিধস, মানুষের সৃষ্ট দুঘর্টনা ইত্যাদি নিয়েও সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে র‌্যাব।

আজ রোববার (১৯ মার্চ) সকালে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত দরবারে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর কুর্মিটোলায় র‌্যাব সদর দপ্তরে এ দরবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমরা যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছি, উন্নত হচ্ছি, আবার পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে মাদকের প্রভাব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। মাদকাসক্ত হচ্ছে অনেকেই। এটা ধনী শ্রেণি থেকে একেবারে নিম্ন শ্রেণি পর্যন্ত বিস্তৃত।

শেখ হাসিনা বলেন, একটা পরিবারে কেউ মাদকাসক্ত থাকলে সেই পরিবারের কষ্টের সীমা থাকে না। এমনটাও দেখা যাচ্ছে, মাদকাসক্ত সন্তান তার বাবা-মাকে মেরে ফেলে। মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান র‌্যাব চালাচ্ছে, এটা একটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমরা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। এই ক্ষেত্রে সবাইকে আরও সক্রিয় হতে হবে।ৎ

আরও পড়ুন: গণমানুষের আস্থার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে র‌্যাব: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। আজ সারা বাংলাদেশে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা করেছি। এটা সুযোগও যেমন সৃষ্টি করে আবার সাইবার ক্রাইমও বৃদ্ধি করেছে। সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধেও আমাদের যথাযথ সতর্ক থাকতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে। র‌্যাবসহ আমাদের সকল গোয়েন্দা সংস্থাকে যথাযথ ভূমিকা নিতে হবে। এটা অনেক মানুষের ক্ষতি করে ফেলে। ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি মানুষের কল্যাণের জন্য, অকল্যাণের জন্য নয়। এই কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনাকালীন যখন স্কুল কলেজ সীমিত আকারে চলছিল, তখন আমরা লক্ষ্য করি, কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান। এটা ভয়ংকর ব্যাপার। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বলিষ্ঠ ভূমিকার কারণে এখানে এক হলি আর্টিজেন ছাড়া আর তেমন কোনো ঘটনা ঘটতে পারেনি। এখনও কিছু কিছু ছেলেদের উসকানি দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রেও র‌্যাব অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়ে যাচ্ছে।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের ওপর আরেকটা বোঝা, সেটা হচ্ছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা। প্রতিনিয়ত সেখানে নানা ধরনের অপরাধ ঘটছে। এ ব্যাপারেও সকলের আরও নজর দিতে হবে যেন কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটতে পারে।

ঢাকা/এসএ