নন-লাইফ বীমা শিল্প বিকাশে কিছু বাস্তব ভাবনা
- আপডেট: ০৪:৪৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অগাস্ট ২০২৩
- / ১০৬৪৪ বার দেখা হয়েছে
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
২. বিশ্ব বীমা বাজারের সাথে আমাদের বীমার প্রিমিয়াম হার অনেক বেশী।
৩. নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ক্ষেত্রে এজেন্ট প্রথা বিলুপ্ত করা প্রয়োজন।
৪. নন-লাইফ বীমা খাতে পণ্যের স্বল্পতা রয়েছে।
৫. নন-লাইফ বীমার ক্ষেত্র বা পরিধি বিস্তারের জন্য বীমাকৃত খাত সমূহ চিহ্নিত করে তাহা বাধ্যতামূলক করা একান্ত প্রয়োজন।
৬. নন-লাইফ বীমা আইনের কিছু ধারা সংশোধনপূর্বক নন-লাইফ বীমা শিল্পের উন্নয়নের জন্য বাস্তবমূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
উপরোক্ত সমস্যা সমাধান এবং নন-লাইফ বীমা শিল্পের বিকাশের জন্য নিম্নে আমার কিছু ব্যক্তিগত মতামত উপস্থাপন করছি-
১. বে-সরকারী খাতের নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স শিল্প বিকাশের জন্য সরকারী সম্পত্তির বীমা শুধুমাত্র সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের উপর অর্পিত করা একান্ত প্রয়োজন। এতে বীমা ক্ষেত্রে সুষ্ঠ শৃঙ্খলার সৃষ্টি হবে।
২. সরকারী সম্পত্তির বীমার প্রিমিয়াম অর্থাৎ ৫০ শতাংশ সকল বে-সরকারী নন-লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর মধ্যে সমহারে বিতরণ করার যে প্রচলন রয়েছে তা বিলুপ্ত করা প্রয়োজন।
৩. নন-লাইফ বীমা শিল্পের সুষ্ঠ এবং স্বচ্ছ বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে বাংলাদেশে নন-ট্যারিফ মার্কেট বিবেচনা করা সময়োপযোগী হবে। কারণ বাংলাদেশে ট্যারিফ মার্কেট এর হার বিশ্ব বাজার থেকে অনেক বেশী। যার ফলে অতিরিক্ত কমিশন প্রদানের প্রবনতার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া নন-ট্যারিফ মার্কেট এর ফলে আমরা বিশ্বের বীমা সেবার সহিত প্রতিযোগিতামূলক বীমা সেবা প্রদানে সক্ষম হবো।
৪. পুন:বীমা এর ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রচলিত আইন অর্থাৎ ৫০% বাধ্যতামূলক সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের সাথে পুন:বীমা করতে হবে বাকি ৫০% ওভারসিস মার্কেট এ করা যায়, তা হ্রাস করে ৩০% সাধারণ বীমা কর্পোরেশন এর সাথে এবং ৭০% ওভারসিস মার্কেট এ করার বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে ৭০% এর ক্ষেত্রে বিকল্প থাকতে পারে যে কোন কোম্পানী তাহা সাধারণ বীমা কর্পোরেশন অথবা বিদেশী পুন:বীমাকারীদের সাথে পুন:বীমা করতে পারবে।
৫. যে কোন নন-লাইফ বীমার নতুন পণ্য যে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী উদ্ভাবন করবে তাকে প্রথমে বাজারজাত করার সুযোগ দিতে হবে এবং যদি সফলতা আসে তবে বীমা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ থেকে উক্ত কোম্পানী নতুন উদ্ভাবিত পণ্য এর অনুমোদন নিবে। এতে যেমন নিয়ম-নীতির বাধ্য বাধকতা হ্রাস পাবে, তেমনই বিভিন্ন কোম্পানী নতুন পণ্য উদ্ভাবনে উৎসাহ পাবে।
আরও পড়ুন: মূলধন বাড়ানোর অনুমতি পেলো ব্রাক ব্যাংক