‘মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব নয়’
- আপডেট: ০৬:৪২:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
- / ১০৩১২ বার দেখা হয়েছে
আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। তবে বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এই লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
সোমবার (১০ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের আয়োজিত ‘ জাতীয় বাজেট পর্যালোচনা ২০২৪-২৫’ এ সেলিম রায়হান এসব কথা বলেন।
সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি কমানো সম্ভব হবে না। সুদের হারও অনেকটা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বেসরকারি খাতও নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের প্রস্তবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী অর্থবছর শেষে রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলার হওয়ার প্রস্তাব তুলে ধরা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে কিভাবে রিজার্ভ এত পরিমাণ বাড়বে সেটাও চিন্তার বিষয়। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে রিজার্ভ বাড়াতে চাইলে অবশ্যই বড় ধরনের রপ্তানির সম্প্রসারণ করতে হবে। পাশাপাশি প্রবাসী আয় বাড়ানোর দিকে মনযোগ দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস
বাংলাদেশ ব্যাংক এর আগে ডলারের দর ধরে রেখেছিলো। ডলারের দর বাজারে ছেড়ে না দিলে বিনিময় হারের জন্য যে লক্ষ্যে ক্রলিং পেগ চালু হয়েছে তা কিন্ত বাস্তবায়ন হবেনা। এছাড়া ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বাড়াতে হবে। ধনীদের কিভাবে ট্যাক্সের আওতায় আনা যায় সেই চেষ্টা করা উচিত বলেও মনে করছেন সেলিম রায়হান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মাকসুদ কামাল বলেন, বাজেটের সব টাকা মন্ত্রণালয়গুলোর খরচ করা দক্ষতা আছে কি না? এই দক্ষতা যদি থাকে তাহলে অপচয়ও কমে। দক্ষতা যদি না থাকে তখন অপচয় বাড়ে। বিভিন্ন খাতে যে পরিমাণ বরাদ্দ হয়, দক্ষতার অভাবে সেসব খাতে অপচয় বাড়ছে। বাজেটে যদি অপচয় কমিয়ে নিয়ে আসা যায় তাহলে আমরা আরও বেশি সুফল পাবো।
তিনি আরও বলেন, বাজেটে অপচয় কমাতে দরকার দক্ষতার বিকাশ ঘটানো। জাপানে একসময় প্রতি বছরে ৫ থেকে ৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন। আর এই পদত্যাগ করার মূল কারণ ছিলো দুর্নীতি। তবে জাপানের অর্থনীতি এখন স্থিতীশিল রয়েছে। আমাদের দেশের অর্থনীতিও ঠান্ডা করতে বিভিন্ন ইনস্ট্রুমেন্ট নিয়ে প্রশাসনকে কাজ করতে হবে। ব্যাংক খাতের সংস্কার, মানি মার্কটের সংস্থার সহ যেসব খাতে সংস্কার করতে হবে তার সবই যারা দায়িত্বে রয়েছে তাদেরকে করতে হবে। কারণ এর বাইরের আর কেউতো এগুলো করবে না।
ঢাকা/এসএইচ