অঙ্কুরিত আলু খেলে কী হয়?
- আপডেট: ১২:০৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
- / ১০১৮১ বার দেখা হয়েছে
আলু ছাড়া আমাদের সবজির ঝুড়ি অসম্পূর্ণ। এই সবজি কেবল সাশ্রয়ী মূল্যেরই নয়, বরং আলু পরোটা, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আলু ভর্তা, যেকোনো ঝোলের তরকারি থেকে শুরু করে এবং অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। অনেকেই একসঙ্গে অনেক আলু কিনে সংরক্ষণ করে থাকেন। কিন্তু আপনি কি লক্ষ্য করেছেন যে আলু সংরক্ষণ করলে অনেক সময় এর গায়ে অঙ্কুর জন্মে? এখন প্রশ্ন হলো, অঙ্কুরিত আলু খাওয়া নিরাপদ কি না? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
অঙ্কুরিত আলু খাওয়া যাবে?
হেলথলাইনের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, অঙ্কুরিত আলুতে দুটি গ্লাইকোঅ্যালকালয়েড যৌগ থাকে, সোলানিন এবং চ্যাকোনিন, যা অল্প পরিমাণে গ্রহণ করলে কোলেস্টেরল এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে গ্রহণ করলে এই দুটি যৌগ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
হেলথলাইনের দাবি, কম মাত্রায় গ্লাইকোঅ্যালকালয়েড বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে বমি, ডায়রিয়া এবং পেটে ব্যথা হতে পারে। এদিকে, বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে এটি মাথাব্যথা, জ্বর, দ্রুত স্পন্দন, নিম্ন রক্তচাপ এবং অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
কেন অঙ্কুরিত আলু এড়িয়ে চলতে হবে
বিষাক্ত হয়ে ওঠে: আলুর পাতা, ফুল, চোখ এবং অঙ্কুরিত বীজে ঘনীভূত গাইকোঅ্যালকালয়েড মানুষের জন্য বিষাক্ত, যা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং স্নায়বিক ব্যাধি সৃষ্টি করে। বমি বমি ভাব, মাথাব্যথা, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া, বমি এবং আরও গুরুতর সমস্যা হল গ্লাইকোঅ্যালকালয়েড বিষক্রিয়ার কিছু লক্ষণ।
তিক্ত স্বাদ: অঙ্কুরিত আলুতে গ্লাইকোঅ্যালকালয়েডের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে তিক্ত স্বাদ থাকতে পারে, যা খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
পুষ্টির মান হ্রাস করে: আলুতে সঞ্চিত পুষ্টিগুণ অঙ্কুরিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হ্রাস পায়, যার ফলে তাদের পুষ্টির মান কমে যায়।
অঙ্কুরিত আলু থেকে বিষাক্ততা কমানো কি সম্ভব?
আলুর চোখ, সবুজ খোসা, অঙ্কুরোদগম এবং থেঁতলে যাওয়া অংশ ফেলে দিলে বিষাক্ততা কমতে পারে, তবে তা এরপরও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। অঙ্কুরিত অংশসহ খোসা ছাড়িয়ে আলু ভেজে খেলেও তা গ্লাইকোঅ্যালকালয়েডের মাত্রা কমাতে পারে। তবে, ফুটন্ত, বেকিং এবং মাইক্রোওয়েভিং এই বিষাক্ত পদার্থগুলো খুব একটা কমাতে পারে না।
সবচেয়ে ভালো হলো অঙ্কুরোদগম বা সবুজ হয়ে যাওয়া আলু ফেলে দেওয়া। আপনি যদি আলুতে অঙ্কুরোদগম কমাতে চান, তাহলে এগুলো মজুদ করা এড়িয়ে চলাই ভালো। এক বা দুই সপ্তাহের জন্য পর্যাপ্ত হয়, এমন পরিমাণ কিনতে পারেন। এরপর ঠান্ডা, অন্ধকার এবং শুষ্ক জায়গায় সংরক্ষণ করতে হবে। তবে, কেনার কয়েক দিনের মধ্যেই রান্না করে খেয়ে নেওয়া ভালো।
ঢাকা/এসএইচ





































