০৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকের সংযোগে ভয় নেই: এনবিআর

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:১৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১০২৩৩ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, অনলাইন রিটার্ন দাখিলের সময় সরাসরি ব্যাংকের সংযোগ স্থাপন করা হলে করদাতাদের সুবিধা হবে। এছাড়া কোনো এনবিআর কর্মকর্তা গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে পারবেন না।

আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এনবিআরের প্রধান কার্যালয় মিট দা বিজনেস শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকের তথ্য এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা দেখতে পাবেন না। এই সুবিধা করদাতার জন্য। এতে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহে কিংবা করদাতাদের কোনো সমস্যা হবে না। করদাতার যাতে হিসাব বিবরণী বারবার আনতে না হয়, সে কারণে আমরা বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।

অন্যদিকে করপোরেট কর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করপোরেট কর কমতে কমতে ২০ ভাগ হয়েছে। আগামীতেও করপোরেট কর রিটার্নও অনলাইন করা হবে। আমাদের লক্ষ্য ব্যবসায়ীরা যাতে পেইন না পায়। ব্যবসায়ীরা যাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ করদাতা রিটার্ন দেন না। টিআইএনধারীদের নোটিশ দেওয়াকে হয়রানি বলা ঠিক না। রিটার্ন জমা দিলেই সমস্যার সমাধান। আয়করে অটোমেশন করা হয়েছে। আমরা র‌্যানডম বেসিসে অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোম্পানির ক্ষেত্রে এমনভাবে অডিট হবে। যাতে তিনটির মধ্যে অন্তত একটি নতুন ফাইল হয়।

ভ্যাট রেট নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাট রেট নিয়ে অনেক আপত্তি দেখলাম। আমিও প্রয়োজনে ভ্যাট রেট কমাবো। ভ্যাট রেট হবে একক রেট। আমরা চাই ডিজিটালাইজেশন। আমরা সফটওয়্যার করতে চাই। ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দেয় না। ভ্যাট দেয় চূড়ান্ত ভোক্তা। তাহলে ওটা লুকাতে এতো চেষ্টা কেন?

টোব্যাকো খাতে ৮৩ শতাংশ ভ্যাট থাকলেও আদায় হয় না এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, টোব্যাকো খাতে বড় অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি হয়। গত এক বছরে ৩ হাজার অডিট হয়েছে। সেখানে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ভ্যাট পাই না। আমরা কিউআর কোড কেন্দ্রিক সিস্টেম করতে চাচ্ছি। যাতে অটোমেটিকভাবে ভ্যাট জমা হয়। ব্যবসায়ীদের অটোমেশনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাবো।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট এনবিআর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়, করদাতাদের অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকের সংযোগ থাকবে। যার মাধ্যমে করদাতার অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স, সুদের আয় এবং উৎসে কর্তনকৃত কর—রিয়েল-টাইমে জানা যাবে। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠে যে, গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে তথ্য এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছে চলে যাবে। তাতে ব্যাংকের আমানত কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকের সংযোগে ভয় নেই: এনবিআর

আপডেট: ০৬:১৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, অনলাইন রিটার্ন দাখিলের সময় সরাসরি ব্যাংকের সংযোগ স্থাপন করা হলে করদাতাদের সুবিধা হবে। এছাড়া কোনো এনবিআর কর্মকর্তা গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে পারবেন না।

আজ বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এনবিআরের প্রধান কার্যালয় মিট দা বিজনেস শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকের তথ্য এনবিআরের কোনো কর্মকর্তা দেখতে পাবেন না। এই সুবিধা করদাতার জন্য। এতে ব্যাংকের আমানত সংগ্রহে কিংবা করদাতাদের কোনো সমস্যা হবে না। করদাতার যাতে হিসাব বিবরণী বারবার আনতে না হয়, সে কারণে আমরা বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সমন্বয় করার চেষ্টা করছি।

অন্যদিকে করপোরেট কর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করপোরেট কর কমতে কমতে ২০ ভাগ হয়েছে। আগামীতেও করপোরেট কর রিটার্নও অনলাইন করা হবে। আমাদের লক্ষ্য ব্যবসায়ীরা যাতে পেইন না পায়। ব্যবসায়ীরা যাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে।

তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ করদাতা রিটার্ন দেন না। টিআইএনধারীদের নোটিশ দেওয়াকে হয়রানি বলা ঠিক না। রিটার্ন জমা দিলেই সমস্যার সমাধান। আয়করে অটোমেশন করা হয়েছে। আমরা র‌্যানডম বেসিসে অডিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোম্পানির ক্ষেত্রে এমনভাবে অডিট হবে। যাতে তিনটির মধ্যে অন্তত একটি নতুন ফাইল হয়।

ভ্যাট রেট নিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ভ্যাট রেট নিয়ে অনেক আপত্তি দেখলাম। আমিও প্রয়োজনে ভ্যাট রেট কমাবো। ভ্যাট রেট হবে একক রেট। আমরা চাই ডিজিটালাইজেশন। আমরা সফটওয়্যার করতে চাই। ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দেয় না। ভ্যাট দেয় চূড়ান্ত ভোক্তা। তাহলে ওটা লুকাতে এতো চেষ্টা কেন?

টোব্যাকো খাতে ৮৩ শতাংশ ভ্যাট থাকলেও আদায় হয় না এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, টোব্যাকো খাতে বড় অঙ্কের ভ্যাট ফাঁকি হয়। গত এক বছরে ৩ হাজার অডিট হয়েছে। সেখানে ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। অধিকাংশ ভ্যাট পাই না। আমরা কিউআর কোড কেন্দ্রিক সিস্টেম করতে চাচ্ছি। যাতে অটোমেটিকভাবে ভ্যাট জমা হয়। ব্যবসায়ীদের অটোমেশনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাবো।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ আগস্ট এনবিআর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়। যেখানে বলা হয়, করদাতাদের অনলাইন রিটার্নের সঙ্গে সরাসরি ব্যাংকের সংযোগ থাকবে। যার মাধ্যমে করদাতার অ্যাকাউন্টের ব্যালান্স, সুদের আয় এবং উৎসে কর্তনকৃত কর—রিয়েল-টাইমে জানা যাবে। এরপর বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উঠে যে, গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে তথ্য এনবিআর কর্মকর্তাদের কাছে চলে যাবে। তাতে ব্যাংকের আমানত কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঢাকা/এসএইচ