১২:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অনিশ্চিত গন্তব্যে চীন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:১৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২
  • / ১০৪৩৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: তৃতীয় মেয়াদে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) প্রধান নেতা নির্বাচিত হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বেইজিংয়ে সিসিপির সপ্তাহব্যাপী কংগ্রেসে নিজেকে আরও পোক্ত অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিজের অবস্থান মজবুত করলেও আগামীর নেতৃত্ব ও চীনের ভবিষ্যৎ গন্তব্য অনিশ্চিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শনিবার ‘শি জিনপিং এখন আরও শক্তিশালী, কিন্তু চীনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত’ শিরোনামে আলজাজিরায় একটি নিবন্ধে এমন দাবি করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব এশিয়ান ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ড. চেন গ্যাং নিবন্ধটি লিখেছেন।

এতে বলা হয়, চলতি কংগ্রেসে নেতা নির্বাচনের সর্বোচ্চ সংস্থা পলিটব্যুরো এবং স্থায়ী কমিটিতে দলের সাধারণ সম্পাদক জিনপিং আরও বেশি সংখ্যক নিজের অনুগত নেতা যুক্ত করবেন। ফলে কংগ্রেসে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে জিনপিং ও দল প্রশ্নের মুখে পড়লেও কোনো জবাব মিলবে না। তাঁর অবসরের পর দল ও রাষ্ট্রের হাল কে ধরবেন সেই উত্তরাধিকারীকেও চিহ্নিত করা হবে না এই কংগ্রেসে। এ ধরনের নেতা-শূন্যতা ভবিষ্যতের ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য অনিশ্চয়তা বাড়াতে পারে।

দলীয় কংগ্রেসের পর কঠোর মতাদর্শিক নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে। বিশেষভাবে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করতে পারেন জিনপিং। এ ছাড়া আবাসন, অর্থ ও প্রযুক্তি খাতের ওপর কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হতে পারে। জিনপিংয়ের স্বাক্ষরিত কূটনৈতিক কৌশল বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) অব্যাহত থাকবে। দলীয় কংগ্রেসে জিনপিংয়ের অভূতপূর্ব ক্ষমতা থাকার পরও চীনের ভবিষ্যৎ আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কারণ, দেশটিতে প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতি ও অর্থনীতি ইতোমধ্যেই রসাতলে গেছে। এদিকে, গতকাল বেইজিংয়ে শুরু হওয়া কংগ্রেসের উদ্বোধনী দীর্ঘ ভাষণে তাইওয়ান, হংকং ইস্যুসহ দেশ পরিচালনায় নিজের কর্মকৌশলের বিস্তর বিবরণ দিয়েছেন জিনপিং।

জিনপিং বলেন, ‘ভূখণ্ডটি বিচ্ছিন্ন হতে চাইলেও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ চীন। আমরা সব সময় তাইওয়ানের জনগণকে সম্মান করি। সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও চেষ্টার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন চাই।’ তবে বলপ্রয়োগের প্রয়োজন হলে সেটি থেকে চীন পিছপা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন জিনপিং। এদিকে, তাঁর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান বলেছে, তারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বিষয়ে কোনো আপস করবে না।

এদিকে চীনের সামরিক সক্ষমতা জোরদারের বিষয়ও ছিল জিনপিংয়ের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘আমরা সামরিক কৌশল, জনবল বৃদ্ধি ও অস্ত্রের আধুনিকীকরণে দ্রুত কাজ করব।’ জিনপিং বলেন, “বিশ্বে চীনের শক্তি বাড়লেও গত পাঁচ বছরে ‘বিপজ্জনক ঝড়ে’র মুখোমুখি হতে হয়েছে। চীনা নাগরিকদের ব্যাপক বিরোধিতার মাঝেও শূন্য-কভিড নীতির প্রতি নিজের শক্ত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, চীনের মানুষের জীবন রক্ষা করাই তাঁর প্রথম দায়িত্ব। যদিও সম্মেলনের আগে বেইজিংয়ে এই শূন্য-কভিড নীতি তুলে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন দেশটির নাগরিকরা।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ ৪০ লাখ শিশুকে দারিদ্রে ঠেলে দিয়েছে: জাতিসংঘ

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

অনিশ্চিত গন্তব্যে চীন

আপডেট: ০১:১৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২

বিজনেস জার্নাল ডেস্ক: তৃতীয় মেয়াদে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিসিপি) প্রধান নেতা নির্বাচিত হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বেইজিংয়ে সিসিপির সপ্তাহব্যাপী কংগ্রেসে নিজেকে আরও পোক্ত অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলীয় ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নিজের অবস্থান মজবুত করলেও আগামীর নেতৃত্ব ও চীনের ভবিষ্যৎ গন্তব্য অনিশ্চিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

শনিবার ‘শি জিনপিং এখন আরও শক্তিশালী, কিন্তু চীনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত’ শিরোনামে আলজাজিরায় একটি নিবন্ধে এমন দাবি করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব এশিয়ান ইনস্টিটিউটের সহকারী পরিচালক ড. চেন গ্যাং নিবন্ধটি লিখেছেন।

এতে বলা হয়, চলতি কংগ্রেসে নেতা নির্বাচনের সর্বোচ্চ সংস্থা পলিটব্যুরো এবং স্থায়ী কমিটিতে দলের সাধারণ সম্পাদক জিনপিং আরও বেশি সংখ্যক নিজের অনুগত নেতা যুক্ত করবেন। ফলে কংগ্রেসে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন তিনি। এ ক্ষেত্রে জিনপিং ও দল প্রশ্নের মুখে পড়লেও কোনো জবাব মিলবে না। তাঁর অবসরের পর দল ও রাষ্ট্রের হাল কে ধরবেন সেই উত্তরাধিকারীকেও চিহ্নিত করা হবে না এই কংগ্রেসে। এ ধরনের নেতা-শূন্যতা ভবিষ্যতের ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য অনিশ্চয়তা বাড়াতে পারে।

দলীয় কংগ্রেসের পর কঠোর মতাদর্শিক নিয়ন্ত্রণ অব্যাহত থাকবে। বিশেষভাবে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে ব্যবসা-বাণিজ্যে বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করতে পারেন জিনপিং। এ ছাড়া আবাসন, অর্থ ও প্রযুক্তি খাতের ওপর কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করা হতে পারে। জিনপিংয়ের স্বাক্ষরিত কূটনৈতিক কৌশল বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) অব্যাহত থাকবে। দলীয় কংগ্রেসে জিনপিংয়ের অভূতপূর্ব ক্ষমতা থাকার পরও চীনের ভবিষ্যৎ আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কারণ, দেশটিতে প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতি ও অর্থনীতি ইতোমধ্যেই রসাতলে গেছে। এদিকে, গতকাল বেইজিংয়ে শুরু হওয়া কংগ্রেসের উদ্বোধনী দীর্ঘ ভাষণে তাইওয়ান, হংকং ইস্যুসহ দেশ পরিচালনায় নিজের কর্মকৌশলের বিস্তর বিবরণ দিয়েছেন জিনপিং।

জিনপিং বলেন, ‘ভূখণ্ডটি বিচ্ছিন্ন হতে চাইলেও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ চীন। আমরা সব সময় তাইওয়ানের জনগণকে সম্মান করি। সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও চেষ্টার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পুনর্মিলন চাই।’ তবে বলপ্রয়োগের প্রয়োজন হলে সেটি থেকে চীন পিছপা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন জিনপিং। এদিকে, তাঁর এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ান বলেছে, তারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের বিষয়ে কোনো আপস করবে না।

এদিকে চীনের সামরিক সক্ষমতা জোরদারের বিষয়ও ছিল জিনপিংয়ের বক্তব্যে। তিনি বলেন, ‘আমরা সামরিক কৌশল, জনবল বৃদ্ধি ও অস্ত্রের আধুনিকীকরণে দ্রুত কাজ করব।’ জিনপিং বলেন, “বিশ্বে চীনের শক্তি বাড়লেও গত পাঁচ বছরে ‘বিপজ্জনক ঝড়ে’র মুখোমুখি হতে হয়েছে। চীনা নাগরিকদের ব্যাপক বিরোধিতার মাঝেও শূন্য-কভিড নীতির প্রতি নিজের শক্ত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন চীনা প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, চীনের মানুষের জীবন রক্ষা করাই তাঁর প্রথম দায়িত্ব। যদিও সম্মেলনের আগে বেইজিংয়ে এই শূন্য-কভিড নীতি তুলে নেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন দেশটির নাগরিকরা।

আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধ ৪০ লাখ শিশুকে দারিদ্রে ঠেলে দিয়েছে: জাতিসংঘ

ঢাকা/এসএ