১০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অপ্রদর্শিত অর্থে পুঁজিবাজারে গতিশীলতা বাড়বে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
  • / ১০৩২৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সহজ শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুবিধা বহাল রাখা, দ্বৈত করহার প্রত্যাহার করা এবং তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করপোরেট করহারের ব্যবধান বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

আসন্ন বাজেটে এসব সুবিধা দেওয়া হলে পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। আস্থা বাড়লে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে। এতে লেনদেন বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সাম্প্রতি কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে পুঁজিবাজারে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেওয়া নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পরেও বাজারকে স্থিতিশীল রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আসন্ন বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব করার লক্ষ্যে এসব  দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

সংগঠনটির দাবি, অপ্রদর্শিত অর্থ সহজ শর্তে অর্থাৎ ১০ শতাংশ কর প্রদানের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ বহাল রাখতে হবে। 

সংগঠনটি জানায়, ১০ শতাংশ কর প্রদান করার শর্তে এ অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিলে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি সরকার ও প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব অর্জন করবে। অর্থপাচারও কমবে।

এদিকে, সংগঠনটি দ্বৈত কর প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে। তারা মনে করে, করপোরেট কর কর্তনের পর ডিভিডেন্ড দেওয়া হয়। ডিভিডেন্ড দেওয়ার সময় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে অগ্রিম কর কর্তন করা হয়। পরবর্তী সময়ে আবার ডিভিডেন্ড গ্রহীতার ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্নের সময় তার ওপর প্রযোজ্য হারে কর দিতে হয়। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ড গ্রহণ না করে রেকর্ড তারিখের আগেই শেয়ার বিক্রয় করে দেয়, যা পুঁজিবাজারকে অস্থির করে তুলে। এভাবে কর প্রদান দ্বৈত কর নীতির আওতায় পড়ে। এক্ষেত্রে অগ্রিম করকে চূড়ান্ত কর হিসাবে বিবেচনা করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিদ্যমান করপোরেট করহার কমপক্ষে আরও ৫ শতাংশ কমাতে হবে। তাই, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার দাবি জানানো হচ্ছে। এতে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। ফলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে এবং গভীরতা বাড়বে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আসন্ন বাজেটে বিনা শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। করোনা পরিস্থিতিতে অপ্রদর্শিত অর্থ প্রবেশের সুযোগ দিলে পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। এছাড়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট করহার কমানোসহ দ্বৈত কর প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

অপ্রদর্শিত অর্থে পুঁজিবাজারে গতিশীলতা বাড়বে

আপডেট: ০৩:২৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সহজ শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুবিধা বহাল রাখা, দ্বৈত করহার প্রত্যাহার করা এবং তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করপোরেট করহারের ব্যবধান বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

আসন্ন বাজেটে এসব সুবিধা দেওয়া হলে পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। আস্থা বাড়লে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে আরো আগ্রহী হয়ে উঠবে। এতে লেনদেন বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সাম্প্রতি কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে পুঁজিবাজারে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেওয়া নানা পদক্ষেপ গ্রহণের পরেও বাজারকে স্থিতিশীল রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই আসন্ন বাজেট পুঁজিবাজারবান্ধব করার লক্ষ্যে এসব  দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।

সংগঠনটির দাবি, অপ্রদর্শিত অর্থ সহজ শর্তে অর্থাৎ ১০ শতাংশ কর প্রদানের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ বহাল রাখতে হবে। 

সংগঠনটি জানায়, ১০ শতাংশ কর প্রদান করার শর্তে এ অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ দিলে পুঁজিবাজারের উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি সরকার ও প্রচুর পরিমাণ রাজস্ব অর্জন করবে। অর্থপাচারও কমবে।

এদিকে, সংগঠনটি দ্বৈত কর প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে। তারা মনে করে, করপোরেট কর কর্তনের পর ডিভিডেন্ড দেওয়া হয়। ডিভিডেন্ড দেওয়ার সময় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে অগ্রিম কর কর্তন করা হয়। পরবর্তী সময়ে আবার ডিভিডেন্ড গ্রহীতার ব্যক্তিগত আয়কর রিটার্নের সময় তার ওপর প্রযোজ্য হারে কর দিতে হয়। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা ডিভিডেন্ড গ্রহণ না করে রেকর্ড তারিখের আগেই শেয়ার বিক্রয় করে দেয়, যা পুঁজিবাজারকে অস্থির করে তুলে। এভাবে কর প্রদান দ্বৈত কর নীতির আওতায় পড়ে। এক্ষেত্রে অগ্রিম করকে চূড়ান্ত কর হিসাবে বিবেচনা করার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিদ্যমান করপোরেট করহার কমপক্ষে আরও ৫ শতাংশ কমাতে হবে। তাই, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার দাবি জানানো হচ্ছে। এতে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠিত শিল্প প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। ফলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে এবং গভীরতা বাড়বে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আসন্ন বাজেটে বিনা শর্তে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। করোনা পরিস্থিতিতে অপ্রদর্শিত অর্থ প্রবেশের সুযোগ দিলে পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে। এছাড়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট করহার কমানোসহ দ্বৈত কর প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।’

ঢাকা/টিএ