০৯:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স: ওবায়দুল কাদের

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৫:০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪
  • / ১০২১২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতি করলে কি ব্যবসা করার অধিকার থাকবে না? রাজনীতিবিদরা চাঁদা তুলে ভাত খাবে? চাঁদা তুলে পরিবার চালাবে? ব্যবসা করলে তো আপত্তি নেই। সৎ ব্যবসা করলে আপত্তি নেই। অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ শনিবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠেয় সভার স্থান পরিদর্শনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আমরা প্রস্তুত, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন সম্পন্ন। আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা আনন্দঘন ও উৎসবমুখর হয়েছে। আগামীকাল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও স্বতঃস্ফূর্ত, সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন উপস্থিতি হবে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। নির্দ্বিধায় বলতে পারি, বাঙালির জীবনে দুটি শ্রেষ্ঠ অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরে।

৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের কোনো অপ্রাপ্তি রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অপ্রাপ্তির বিষয় সেভাবে দেখছি না। প্রাপ্তির খাতায় হিসেব করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাপ্তিটা রাজনৈতিক। আমাদের অসমাপ্ত কাজ বিজয়কে সুসংহত করতে পারিনি৷ সাম্প্রদায়িকতা বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় হয়ে আছে। এই সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করা ও পরাভূত করা আমাদের বিজয়কে সুসংহত করবে।

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টন, নিরাপত্তা ও বাণিজ্য নিয়ে উল্লেখযোগ্য আলোচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

আগামীর জন্য আওয়ামী লীগের নতুন বার্তা কী? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বার্তা নতুন কিছু না। আমরা আমাদের পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছি, সেই ইশতেহার বাস্তবায়ন… আমরা একদিক থেকে বলতে পারি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান, যেমন আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো, এমআরটি লাইন ১ ও ৫, মাতারবাড়ি, পায়রা, রূপপুর এই কাজগুলো সুসম্পন্ন করতে হবে। এটাই দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি ও থাকব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে ওয়ান ইলেভেনে যেটা দেখেছি দেশের রাজনীতিবিদদের নিন্দিত করা, কুৎসা রটানো… এ দেশ স্বাধীন করেছে, দেশের উন্নয়ন করছে রাজনীতিবিদেরা। সেই রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে ও তাদের ব্যর্থ এটা প্রমাণ করতে কিছু লোক তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা সেটা বুঝি, এর বিরুদ্ধে প্রস্তুতও আছি।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুল ইসলাম, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স: ওবায়দুল কাদের

আপডেট: ০৫:০২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনীতি করলে কি ব্যবসা করার অধিকার থাকবে না? রাজনীতিবিদরা চাঁদা তুলে ভাত খাবে? চাঁদা তুলে পরিবার চালাবে? ব্যবসা করলে তো আপত্তি নেই। সৎ ব্যবসা করলে আপত্তি নেই। অসৎ ব্যবসায়ী ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। আমাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ শনিবার সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠেয় সভার স্থান পরিদর্শনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়েছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত আমরা প্রস্তুত, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন সম্পন্ন। আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রা আনন্দঘন ও উৎসবমুখর হয়েছে। আগামীকাল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও স্বতঃস্ফূর্ত, সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন উপস্থিতি হবে এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। নির্দ্বিধায় বলতে পারি, বাঙালির জীবনে দুটি শ্রেষ্ঠ অর্জন তা আওয়ামী লীগের হাত ধরে।

৭৫ বছরে আওয়ামী লীগের কোনো অপ্রাপ্তি রয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অপ্রাপ্তির বিষয় সেভাবে দেখছি না। প্রাপ্তির খাতায় হিসেব করে এগিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাপ্তিটা রাজনৈতিক। আমাদের অসমাপ্ত কাজ বিজয়কে সুসংহত করতে পারিনি৷ সাম্প্রদায়িকতা বিজয়কে সুসংহত করার পথে অন্তরায় হয়ে আছে। এই সাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদী শক্তিকে পরাজিত করা ও পরাভূত করা আমাদের বিজয়কে সুসংহত করবে।

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টন, নিরাপত্তা ও বাণিজ্য নিয়ে উল্লেখযোগ্য আলোচনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

আগামীর জন্য আওয়ামী লীগের নতুন বার্তা কী? জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের বার্তা নতুন কিছু না। আমরা আমাদের পার্টির নির্বাচনী ইশতেহার দিয়েছি, সেই ইশতেহার বাস্তবায়ন… আমরা একদিক থেকে বলতে পারি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি, এটা আমাদের অঙ্গীকার। আমাদের অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান, যেমন আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো, এমআরটি লাইন ১ ও ৫, মাতারবাড়ি, পায়রা, রূপপুর এই কাজগুলো সুসম্পন্ন করতে হবে। এটাই দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা রাজনীতি করি মানুষের জন্য। মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি ও থাকব।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সুপরিকল্পিতভাবে ওয়ান ইলেভেনে যেটা দেখেছি দেশের রাজনীতিবিদদের নিন্দিত করা, কুৎসা রটানো… এ দেশ স্বাধীন করেছে, দেশের উন্নয়ন করছে রাজনীতিবিদেরা। সেই রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিবাজ প্রমাণ করতে ও তাদের ব্যর্থ এটা প্রমাণ করতে কিছু লোক তৎপরতা চালাচ্ছে। আমরা সেটা বুঝি, এর বিরুদ্ধে প্রস্তুতও আছি।

এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য আনিসুল ইসলাম, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এসএইচ