১২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

অ্যাক্টিভ ফাইনের অনিয়ম তদন্তে বিএসইসির কমিটি গঠন

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৫৭০ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রাসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেডের আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করা, কোম্পানির আর্থিক বিবরণীতে নিরীক্ষকের মতামত না নেওয়া, নির্ধারিত সময়ে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করা, বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন না করা এবং আর্থিক কর্মক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য পতন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন-বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আল মাসুম মৃধা, উপ-পরিচালক মোঃ নানু ভূঁইয়া এবং সহকারী পরিচালক একেএম ফারুক আলম। কমিটিকে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে বিএসইসির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে র্নিদেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটি কোম্পানিটির গত পাঁচ বছরে আর্থিক প্রতিবেদন পরীক্ষা করবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড কম দেওয়ার কারণ অনুসন্ধান করবে।

আরও পড়ুন: কর্ণফুলীর শেয়ার কারসাজি: লুৎফুল গংদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা

অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে কোনো আর্থিক প্রকাশ প্রকাশ করছে না। ফলে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অন্ধকারে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস। ২৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ‘জেড’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৮০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ১২.০৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১.০৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.২৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৬.৬৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ০.২৫ শতাংশ ক্যাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ২০২১ সালে দিয়েছিল ০.৫০ শতাংশ ক্যাংশ ডিভিডেন্ড। এর আগে ২০১৯ সালে দিয়েছিল ২ শতাংশ ক্যাশ, ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ বোনাস, ২০১৭ সালে ২৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

অ্যাক্টিভ ফাইনের অনিয়ম তদন্তে বিএসইসির কমিটি গঠন

আপডেট: ০৭:১২:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রাসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেডের আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

জানা গেছে, অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করা, কোম্পানির আর্থিক বিবরণীতে নিরীক্ষকের মতামত না নেওয়া, নির্ধারিত সময়ে আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করা, বার্ষিক সাধারণ সভার আয়োজন না করা এবং আর্থিক কর্মক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য পতন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন-বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মদ আল মাসুম মৃধা, উপ-পরিচালক মোঃ নানু ভূঁইয়া এবং সহকারী পরিচালক একেএম ফারুক আলম। কমিটিকে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে বিএসইসির কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে র্নিদেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটি কোম্পানিটির গত পাঁচ বছরে আর্থিক প্রতিবেদন পরীক্ষা করবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড কম দেওয়ার কারণ অনুসন্ধান করবে।

আরও পড়ুন: কর্ণফুলীর শেয়ার কারসাজি: লুৎফুল গংদের ২০ লাখ টাকা জরিমানা

অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে কোনো আর্থিক প্রকাশ প্রকাশ করছে না। ফলে বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির সার্বিক আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অন্ধকারে রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয় অ্যাক্টিভ ফাইন কেমিক্যালস। ২৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের ‘জেড’ ক্যাটাগরির এ কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৯৯ লাখ ৩৬ হাজার ৫৮০টি। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ১২.০৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২১.০৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ০.২৭ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৬.৬৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

সর্বশেষ ২০২২ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ০.২৫ শতাংশ ক্যাংশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আগের বছর ২০২১ সালে দিয়েছিল ০.৫০ শতাংশ ক্যাংশ ডিভিডেন্ড। এর আগে ২০১৯ সালে দিয়েছিল ২ শতাংশ ক্যাশ, ২০১৮ সালে ২০ শতাংশ বোনাস, ২০১৭ সালে ২৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

ঢাকা/এসএইচ