০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকারীদের ৯৮ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:০৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১
  • / ১০৪০৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে যারা আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হওয়ার পর টিকা নিয়েছেন, তাদের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।

সোমবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রকাশিত টিকা সংক্রান্ত একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় বলা হয়, মূলত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত এবং সেরাম ইন্সটিটিউট, ভারতে প্রস্তুত করা কোভিশিল্ড দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে আরও কয়েক ধরনের টিকা এ কর্মসূচিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। টিকাদানের উদ্দেশ্য হলো মানবদেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করা, যা ভবিষ্যতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার এবং আক্রান্ত হলেও রোগের তীব্রতার সম্ভাবনা কমায় বলে আগের গবেষণায় জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘Haematological Parameters and Antibody Titre After Vaccination Against SARS-CoV-2’ শীর্ষক গবেষণায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ সহ-গবেষক হিসেবে প্রকল্পটিতে যুক্ত ছিলেন।

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয় চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। এর আগে জানুয়ারিতে এ টিকা দিয়ে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ সিরাম থেকে এ টিকা কেনে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তিন কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার কথা সিরামের।

তবে ভারতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এমন বাস্তবতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংকটে পড়ে দ্বিতীয় ডোজ নেয়া বন্ধ হয়ে যায় অনেকের।

তবে কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান দুই দফায় ১০ লাখের বেশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ পাঠানোয় সে সংকট অনেকটা কেটে গেছে। সোমবার থেকে ঢাকা বিভাগে শুরু হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া। সে ডোজ নিতে ভিড় দেখা গেছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন:

শেয়ার করুন

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকারীদের ৯৮ শতাংশের দেহে অ্যান্টিবডি

আপডেট: ০১:০৬:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অগাস্ট ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে ৯৮ শতাংশ মানুষের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে যারা আগে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হওয়ার পর টিকা নিয়েছেন, তাদের দেহে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।

সোমবার (২ আগস্ট) বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) প্রকাশিত টিকা সংক্রান্ত একটি গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গবেষণায় বলা হয়, মূলত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত এবং সেরাম ইন্সটিটিউট, ভারতে প্রস্তুত করা কোভিশিল্ড দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে আরও কয়েক ধরনের টিকা এ কর্মসূচিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। টিকাদানের উদ্দেশ্য হলো মানবদেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করা, যা ভবিষ্যতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার এবং আক্রান্ত হলেও রোগের তীব্রতার সম্ভাবনা কমায় বলে আগের গবেষণায় জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

‘Haematological Parameters and Antibody Titre After Vaccination Against SARS-CoV-2’ শীর্ষক গবেষণায় নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, প্রো-ভিসি (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাহউদ্দীন শাহ সহ-গবেষক হিসেবে প্রকল্পটিতে যুক্ত ছিলেন।

ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দিয়ে বাংলাদেশে গণটিকাদান শুরু হয় চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি। এর আগে জানুয়ারিতে এ টিকা দিয়ে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ সিরাম থেকে এ টিকা কেনে। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশকে তিন কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা দেয়ার কথা সিরামের।

তবে ভারতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কথা বলে প্রতিষ্ঠানটি টিকা রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এমন বাস্তবতায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সংকটে পড়ে দ্বিতীয় ডোজ নেয়া বন্ধ হয়ে যায় অনেকের।

তবে কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান দুই দফায় ১০ লাখের বেশি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ডোজ পাঠানোয় সে সংকট অনেকটা কেটে গেছে। সোমবার থেকে ঢাকা বিভাগে শুরু হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া। সে ডোজ নিতে ভিড় দেখা গেছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে।

ঢাকা/এনইউ

আরও পড়ুন: