০৬:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জুন ২০২৪

আগামী অর্থবছরে বাড়তে পারে করের চাপ

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৭:১৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
  • / ১১০৬১ বার দেখা হয়েছে

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করের বোঝা চাপতে পারে। এরই মধ্যে ব্যক্তি খাতের করহার বাড়ানোর চিন্তা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তপূরণে রাজস্ব বাড়াতে আগামী অর্থবছরে বিভিন্ন খাতের ভ্যাট সুবিধা তুলে দিয়ে ভ্যাট আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের। একই সঙ্গে আয়কর খাতে উল্লেখযোগ্য হারে করারোপ না করা হলেও করের আওতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজস্ব আহরণকারী সংস্থাটির। এ ছাড়া যেসব খাতে কর ছাড় দেওয়া হয়েছিল, সেসব খাতে অব্যাহতি প্রত্যাহারের চিন্তা-ভাবনা চলছে। এতে সেবা পেতে আগের তুলনায় বেশি খরচ করতে হবে সাধারণ ভোক্তাদের। একই সঙ্গে বাড়বে জীবনযাত্রার ব্যয়।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আগামী অর্থবছরে বিভিন্ন খাত থেকে বাড়তি ২৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য স্থির করছে এনবিআর। সংস্থাটির আয়কর বিভাগ আগামী অর্থবছরে নতুন করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা নিয়েছে। এসব অর্থ আদায় হবে করের আওতা বাড়ানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতি তুলে দেওয়ার মাধ্যমে। এমনটা হলে বাড়তি চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ওপরে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হলে তা দিতে হবে যাত্রীকে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁ বা পণ্য পর্যায়ে ভ্যাট আরোপ করলে সেটিও ভোক্তার ঘাড়ে পড়বে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। এবার বাজেটের আগে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণের ঝুঁকি বাড়ছে। প্রবৃদ্ধির ধারা কমার কারণে কম কর সংগ্রহের মতো বিষয়গুলো মূল সংকট হিসেবে দেখছেন তারা। প্রবৃদ্ধির ধারা শ্লথ হওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রে যে শুল্ক ছাড় পাওয়া যেত, সেটা আগামী বাজেট থেকে তুলে নেওয়া হতে পারে। আবার আইএমএফের শর্তের কারণে অনেকে যে প্রণোদনা পাচ্ছিলেন, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে তুলে নিতে হবে। এতে চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বাড়তি ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা আদায় করার পরিকল্পনা করেছে এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ। এর মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা আদায় করা হবে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) মাধ্যমে। এ ছাড়া শুল্ক বিভাগ বাড়তি আদায় করবে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কিছু কিছু পণ্যের শুল্ক অব্যাহতি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে নির্ধারিত পরিমাণে রাজস্ব আহরণে আইএমএফের চাপ রয়েছে। যার কারণে বেশ কিছু খাতে রাজস্ব অব্যাহতি তুলে দেওয়া হতে পারে। কিছু কিছু ভ্যাট ও ট্যাক্সের হার পুনঃনির্ধারণ করা হতে পারে। এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি তুলে দিতে হবে।’

ঢাকা/এসএইচ

ট্যাগঃ

শেয়ার করুন

x

আগামী অর্থবছরে বাড়তে পারে করের চাপ

আপডেট: ০৭:১৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে করের বোঝা চাপতে পারে। এরই মধ্যে ব্যক্তি খাতের করহার বাড়ানোর চিন্তা করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্তপূরণে রাজস্ব বাড়াতে আগামী অর্থবছরে বিভিন্ন খাতের ভ্যাট সুবিধা তুলে দিয়ে ভ্যাট আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে এনবিআরের। একই সঙ্গে আয়কর খাতে উল্লেখযোগ্য হারে করারোপ না করা হলেও করের আওতা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজস্ব আহরণকারী সংস্থাটির। এ ছাড়া যেসব খাতে কর ছাড় দেওয়া হয়েছিল, সেসব খাতে অব্যাহতি প্রত্যাহারের চিন্তা-ভাবনা চলছে। এতে সেবা পেতে আগের তুলনায় বেশি খরচ করতে হবে সাধারণ ভোক্তাদের। একই সঙ্গে বাড়বে জীবনযাত্রার ব্যয়।

অর্থনীতি  শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আগামী অর্থবছরে বিভিন্ন খাত থেকে বাড়তি ২৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য স্থির করছে এনবিআর। সংস্থাটির আয়কর বিভাগ আগামী অর্থবছরে নতুন করে ১০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের পরিকল্পনা নিয়েছে। এসব অর্থ আদায় হবে করের আওতা বাড়ানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাতে কর অব্যাহতি তুলে দেওয়ার মাধ্যমে। এমনটা হলে বাড়তি চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ওপরে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হলে তা দিতে হবে যাত্রীকে। এ ছাড়া রেস্তোরাঁ বা পণ্য পর্যায়ে ভ্যাট আরোপ করলে সেটিও ভোক্তার ঘাড়ে পড়বে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি অর্থবছরে দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি আশঙ্কাজনকভাবে কমেছে। এবার বাজেটের আগে অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি ঋণের ঝুঁকি বাড়ছে। প্রবৃদ্ধির ধারা কমার কারণে কম কর সংগ্রহের মতো বিষয়গুলো মূল সংকট হিসেবে দেখছেন তারা। প্রবৃদ্ধির ধারা শ্লথ হওয়ার কারণে অনেক ক্ষেত্রে যে শুল্ক ছাড় পাওয়া যেত, সেটা আগামী বাজেট থেকে তুলে নেওয়া হতে পারে। আবার আইএমএফের শর্তের কারণে অনেকে যে প্রণোদনা পাচ্ছিলেন, সেগুলো অনেক ক্ষেত্রে তুলে নিতে হবে। এতে চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বাড়তি ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা আদায় করার পরিকল্পনা করেছে এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ। এর মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা আদায় করা হবে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) মাধ্যমে। এ ছাড়া শুল্ক বিভাগ বাড়তি আদায় করবে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। কিছু কিছু পণ্যের শুল্ক অব্যাহতি তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।

এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘আগামী অর্থবছরে নির্ধারিত পরিমাণে রাজস্ব আহরণে আইএমএফের চাপ রয়েছে। যার কারণে বেশ কিছু খাতে রাজস্ব অব্যাহতি তুলে দেওয়া হতে পারে। কিছু কিছু ভ্যাট ও ট্যাক্সের হার পুনঃনির্ধারণ করা হতে পারে। এ ছাড়া কিছু ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি তুলে দিতে হবে।’

ঢাকা/এসএইচ