আগের গভর্নররা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন: অর্থ উপদেষ্টা

- আপডেট: ০৫:৩৩:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
- / ১০৩৮৮ বার দেখা হয়েছে
আমার পরে যারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হয়েছেন তারা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তিনি বলেন, আগে বাংলাদেশ ব্যাংক চলত সরকারি নির্দেশ ও আদেশে। একইসঙ্গে যারা গভর্নর ছিলেন, তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন না। ‘সরি টু সে’, তারা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। এখন কিন্তু সে অবস্থা নেই।
আজ সোমবার (৩০ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক নিয়ে বারবার প্রশ্ন হচ্ছে- আগের সরকারের আমলেও প্রশ্ন উঠেছিল, দুদক রাষ্ট্রের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে কি না। এনবিআরের যেসব কর্মকর্তা আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তাদের মধ্যে ৬ জনের বিরুদ্ধে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, প্রথমত, আমি দুদক সম্পর্কে কোনো উত্তর দেবো না। তাদের আলাদা ট্র্যাক আছে, সেটা তাদের কাছেই জিজ্ঞেস করবেন। এখন সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করা হয় না, সেটা আপনারা লক্ষ্য করবেন।
আরও পড়ুন: চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকা: এনবিআর চেয়ারম্যান
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে আপনারা দেখেছেন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু (নির্দেশ) করা হয়। আমার সময় সেটা পারত না, কারণ আমি তখন বাংলাদেশ ব্যাংকে ছিলাম। তারপর বাংলাদেশ ব্যাংক চলত সরকারি নির্দেশে-আদেশে। একইসঙ্গে যারা গভর্নর ছিলেন, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ছিলেন না। সরি টু সে, তারা সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। এখন কিন্তু সে অবস্থা নেই।
তিনি আরও বলেন, দুদক দেখবে- যদি কোনো ইস্যু থাকে। আপনারা ভাবতে পারেন, এ সময়েই কেন শুরু করল? শুধু এনবিআর নয়, আমার কাছে অনেক লোক আসছে, আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেছে, কত কিছু!
ঢাকা/এসএইচ