আটক হওয়া বাংলাদেশিদের কেউ কেউ আইএসের সঙ্গে যুক্ত: মালয়েশিয়া পুলিশ

- আপডেট: ০৬:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
- / ১০৪১৪ বার দেখা হয়েছে
মালয়েশিয়ায় আটক হওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছেন দেশটির পুলিশ মহাপরিদর্শক দাতুক সেরি মোহাম্মদ খালিদ ইসমাইল।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
তিনি বলেছেন, আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতোমধ্যে ফেরত পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইট টাইমস।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মালয়েশিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) চরমপন্থি মতাদর্শে প্রভাবিত হয়ে উগ্রপন্থি কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত কিছু বাংলাদেশিকে সিকিউরিটি অফেন্সেস (স্পেশাল মেজারস) অ্যাক্ট ২০১২-এর আওতায় আটক করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ার পুলিশ মহাপরিদর্শক দাতুক সেরি মোহদ খালিদ ইসমাইল এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজনকে ‘সোসমা’ আইনে (সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত) আটক রাখা হয়েছে এবং কয়েকজনকে ইতোমধ্যে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, কয়েকজন এখনো পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন এবং তদন্তের স্বার্থে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। খালিদ জানান, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো হবে।
এর আগে সম্প্রতি দেশটির পুলিশ ৩৬ জন বাংলাদেশিকে আটক করে, যাদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ— তারা আইএস-এর মতাদর্শ ও সহিংস চরমপন্থায় প্রভাবিত হয়ে একটি চরমপন্থি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছিলেন।
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসুতিওন ইসমাইল জানান, এই সমন্বিত নিরাপত্তা অভিযানটি ২৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়। সেলাঙ্গর ও জোহর প্রদেশে তিনটি ধাপে এই অভিযান চালানো হয়। আটককৃত ৩৬ জনের মধ্যে ৫ জনকে সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত অপরাধে মালয়েশিয়ার শাহ আলম ও জোহর বারু সেশন কোর্টে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সার্কের বিকল্প নতুন জোট গড়ছে চীন-পাকিস্তান, যুক্ত আছে বাংলাদেশও
১৫ জনকে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৬ জন এখনো তদন্তাধীন রয়েছেন। মালয়েশিয়া পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, এই বাংলাদেশি গোষ্ঠীটি দেশে আইএস-এর আদলে নতুন সেল তৈরি করছিল।
তাদের উদ্দেশ্য ছিল নিজ সম্প্রদায়ের মধ্যে চরমপন্থি মতাদর্শ প্রচার করা। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা এবং নিজ দেশে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনা করা।
ঢাকা/এসএইচ