১২:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ অক্টোবর ২০২৫

আট মাসে পুঁজিবাজারে এসেছে ৪৩ হাজারের বেশি নতুন বিনিয়োগকারী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / ১০৪৪৯ বার দেখা হয়েছে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেও দেশের পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহন বেড়েছে। গত ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত দেশের পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগকারী এসেছে ৪৩ হাজার ৩৮২ জন। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুসারে, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩৪টিতে। যা ২০২৩ সালের ০১ আগস্ট ছিল ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ২৫২টি।

সিডিবিএল জানায়, ২০২৩ সালের জুনের শেষে সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৪টি। যা ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই নেমে এসেছিল ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ২৫২টিতে।

এর আগে ২০১৯ সালের জুন মাসে মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৯ হাজার ৮৫০টি। এই সময়ে আইপিও শেয়ারে আবেদন প্রক্রিয়া পরিবর্তন আসায় বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্ট বড় আকারে কমে যায়।

গত ৮ মাসে নতুন বিও অ্যাকাউন্ট ৪৩ হাজার ৩৮২টি বেড়ে দাঁড়ানো ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩৪টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে দেখা যায়, একক ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৫টি এবং যৌথ বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৫ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৫টি। এছাড়া, দেশি-বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে ১৭ হাজার ৩৮৪টি।

ব্যক্তি বিনিয়োগকারী ১৭ লাখ ১৩ হজাার ৮৯৯টি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ৫৫ হাজার ৩৫১টি অনাবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৪ জন পুরুষ বিনিয়োগকারী এবং ৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৬ জন মহিলা বিনিয়োগকারী রয়েছে।

আরও পড়ুন: ফের ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একটি শীর্ষ স্থানীয় ব্রোকারেজ হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, গত বছর নির্বাচনের কারণে শেয়ারবাজারে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া ছিল ধীর গতির। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বাজারে নতুন বিনিয়োগকারীদের আসার প্রক্রিয়া কিছুটা বেড়েছে। তারপরও অস্থির বাজারের কারণে তা আশাব্যঞ্জক হচ্ছে না।

তিনি বলেন, সামনে বাজার অনেক ভালো হবে। বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে বাজার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলেই নতুন বিনিয়োগকারীদের আসার প্রক্রিয়া জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১০-১১ অর্থবছরে শেয়ারবাজারে প্রায় ৩৪ লাখ বিও অ্যাকাউন্ট ছিল। তখন আইপিও শেয়ারে আবদেন করার জন্য বিনিয়োগকারীরা এক নামে বহু অ্যাকাউন্ট খুলতে পারতো। এরপর যখন আইডি কার্ডের প্রচলন করা হয়, তখন বিও অ্যাকাউন্ট বড় আকারে কমে যায়। তারপর আইপিও আবেদনে যখন পর্যায়ক্রমে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়, তখন বিও অ্যাকাউন্টও পর্যায়ক্রমে অনেক কমে যায়।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

আট মাসে পুঁজিবাজারে এসেছে ৪৩ হাজারের বেশি নতুন বিনিয়োগকারী

আপডেট: ১০:৫৯:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মাঝেও দেশের পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহন বেড়েছে। গত ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত দেশের পুঁজিবাজারে নতুন বিনিয়োগকারী এসেছে ৪৩ হাজার ৩৮২ জন। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুসারে, গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩৪টিতে। যা ২০২৩ সালের ০১ আগস্ট ছিল ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ২৫২টি।

সিডিবিএল জানায়, ২০২৩ সালের জুনের শেষে সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৬০ হাজার ৭৭৪টি। যা ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই নেমে এসেছিল ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ২৫২টিতে।

এর আগে ২০১৯ সালের জুন মাসে মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৯ হাজার ৮৫০টি। এই সময়ে আইপিও শেয়ারে আবেদন প্রক্রিয়া পরিবর্তন আসায় বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্ট বড় আকারে কমে যায়।

গত ৮ মাসে নতুন বিও অ্যাকাউন্ট ৪৩ হাজার ৩৮২টি বেড়ে দাঁড়ানো ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৩৪টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে দেখা যায়, একক ব্যক্তি বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৫৬৫টি এবং যৌথ বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৫ লাখ ১৪ হাজার ৬৮৫টি। এছাড়া, দেশি-বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অ্যাকাউন্ট রয়েছে ১৭ হাজার ৩৮৪টি।

ব্যক্তি বিনিয়োগকারী ১৭ লাখ ১৩ হজাার ৮৯৯টি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ৫৫ হাজার ৩৫১টি অনাবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৪ জন পুরুষ বিনিয়োগকারী এবং ৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৯৬ জন মহিলা বিনিয়োগকারী রয়েছে।

আরও পড়ুন: ফের ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একটি শীর্ষ স্থানীয় ব্রোকারেজ হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, গত বছর নির্বাচনের কারণে শেয়ারবাজারে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া ছিল ধীর গতির। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বাজারে নতুন বিনিয়োগকারীদের আসার প্রক্রিয়া কিছুটা বেড়েছে। তারপরও অস্থির বাজারের কারণে তা আশাব্যঞ্জক হচ্ছে না।

তিনি বলেন, সামনে বাজার অনেক ভালো হবে। বিনিয়োগকারীরা বর্তমানে বাজার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। বাজার ঊর্ধ্বমুখী হলেই নতুন বিনিয়োগকারীদের আসার প্রক্রিয়া জোরদার হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০১০-১১ অর্থবছরে শেয়ারবাজারে প্রায় ৩৪ লাখ বিও অ্যাকাউন্ট ছিল। তখন আইপিও শেয়ারে আবদেন করার জন্য বিনিয়োগকারীরা এক নামে বহু অ্যাকাউন্ট খুলতে পারতো। এরপর যখন আইডি কার্ডের প্রচলন করা হয়, তখন বিও অ্যাকাউন্ট বড় আকারে কমে যায়। তারপর আইপিও আবেদনে যখন পর্যায়ক্রমে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়, তখন বিও অ্যাকাউন্টও পর্যায়ক্রমে অনেক কমে যায়।

ঢাকা/এসএ