০১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

আরও নতুন ৩ মামলা: ১টির প্রধান আসামি মামুনুল হক

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:২২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১
  • / ১০৩৯৮ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার পর হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

এর মধ্যে দুটি মামলা করেছেন স্থানীয় দুই যুবলীগ নেতা। অপর মামলাটি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনির বাবা।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দীন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামুনুল হককে প্রধান আসামি দেখিয়ে স্থানীয় হেফাজত ও বিএনপির ১১১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০০ জনকে মামলার আসামি করা হয়।

এদিকে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় আরেকটি মামলা করেছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২৫০ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়।

অপর মামলাটি করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনির বাবা শাহ জামাল তোতা। এ মামলায় বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হেফাজতের চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন খালেদ সাইফুল্লাহ (৩৪), কাজী সমির (৩২), অহিদুল ইসলাম (৩৬) ও আব্দুল আউয়াল (৩৯)। তাদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর দারুন নাজাত নুরানি মাদরাসা থেকে গ্রেফতার সাত হেফাজত কর্মীর সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার ঘটনার প্রতিবাদে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় প্রথমে তিনটি মামলা করা হয়।

ঢাকা/এসএ

এর মধ্যে এক মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও আহত এক সাংবাদিক বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন।

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

আরও নতুন ৩ মামলা: ১টির প্রধান আসামি মামুনুল হক

আপডেট: ১১:২২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদকঃ নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রয়েল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার পর হামলা চালিয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

এর মধ্যে দুটি মামলা করেছেন স্থানীয় দুই যুবলীগ নেতা। অপর মামলাটি করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনির বাবা।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক নাসির উদ্দীন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামুনুল হককে প্রধান আসামি দেখিয়ে স্থানীয় হেফাজত ও বিএনপির ১১১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০০ জনকে মামলার আসামি করা হয়।

এদিকে নিজের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনায় আরেকটি মামলা করেছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম। হেফাজতে ইসলাম ও বিএনপির ১১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ২৫০ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়।

অপর মামলাটি করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সোহাগ রনির বাবা শাহ জামাল তোতা। এ মামলায় বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের সাতজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) শুক্রবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হেফাজতের চার কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন খালেদ সাইফুল্লাহ (৩৪), কাজী সমির (৩২), অহিদুল ইসলাম (৩৬) ও আব্দুল আউয়াল (৩৯)। তাদের সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে পিরোজপুর ইউনিয়নের শান্তিনগর দারুন নাজাত নুরানি মাদরাসা থেকে গ্রেফতার সাত হেফাজত কর্মীর সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কারাগারে পাঠানো হয়।

গত ৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করার ঘটনার প্রতিবাদে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় প্রথমে তিনটি মামলা করা হয়।

ঢাকা/এসএ

এর মধ্যে এক মামলায় মামুনুল হককে প্রধান আসামি করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে দুটি ও আহত এক সাংবাদিক বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেন।