০৩:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও আমানত বেড়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১১:০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪
  • / ৪২০০ বার দেখা হয়েছে

দেশের নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে টাকার সংকট নিয়ে চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত ডিসেম্বর শেষে প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ও ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত বেড়েছে এক হাজার ৭৭ কোটি টাকা বা দুই দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর ঋণ বেড়েছে তিন হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এর এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে এ খাতে আমানতের পরিমাণ ছিলো ৪৩ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে খাতটিতে আমানত বেড়েছে এক হাজার ৭৭ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

অপরদিকে গত ডিসেম্বর শেষে এ খাতে ঋণ স্থিতি ছিল ৭৩ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। আগের বছরের চেয়ে যা তিন হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। গত ২০২২ সালে এনবিএফআই খাতে ঋণ স্থিতি ছিল ৭০ হাজার ৩২১ কোটি টাকা।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে স্থায়ী আমানতের পরিমাণ টাকার অঙ্কে বাড়লেও মোট আমানতের অংশ কমেছে। মোট আমানতের মধ্যে স্থায়ী বা ফিক্সড আমানতের অংশ ২০২৩ সাল শেষে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক শূণ্য ৬ শতাংশ। ২০২২ সাল শেষে তা ছিল ৯৭ দশামিক ৩৯ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে স্থায়ী আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা।

আমানতের ৪১ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা বা ৯২ দশমিক ৪৫ শতাংশ ঢাকা বিভাগের। আর সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ বা ৫৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকার আমানত রয়েছে বরিশাল বিভাগে।

আমানতের মতো ঋণের সিংহভাগই ঢাকা বিভাগে। গত ডিসেম্বর শেষে মোট ঋণে ৮৩ দশমিক ৩১ শতাংশ বা ৬১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা ঢাকা বিভাগেই দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর সবচেয়ে কম ঋণ স্থিতি ছিল বরিশাল বিভাগে ৩৭১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহযোগিতায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে আগ্রহী বাংলাদেশ-ঘানা

জানা যায়, সরকারি-বেসরকারি মিলয়ে ৩৫টি এনবিএফআইয়ের সারা দেশে মোট শাখা সংখ্যা ছিল গত ডিসেম্বর শেষে ৩০৮টি, যার মধ্যে শহর এলাকায় ২৮৬টি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে এ খাতে গড় সুদহার ছিল আট দশমিক ৫৩ শতাংশ। অন্যদিকে গড় ঋণ সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর মধ্যে ভোক্তা ঋণে সর্বোচ্চ ঋণ সুদ হার দেখা যায়। এ সময়ে তা ছিল ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল- স্মার্ট) সুদহার এর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ মার্জিন যোগ করে আমানত ও সাড়ে পাঁচ শতাশং যোগ করে সুদে ঋণ দিতে পারবে এনবিএফআই।

এতে চলতি মার্চ মাসে নতুন আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ হবে ১২ দশমিক ১১ শতাংশ আর ঋণ সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ।

অধিকাংশ সময়ে এ খাতটির আমানতের পরিমাণ কমে যাওয়া, ঋণ আদায় কম হওয়ায় খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া এবং ব্যবসায়িক মন্দায় প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় কমে যায়। এ কারণে এখন প্রতিষ্ঠানগুলো তীব্র আর্থিক সংকট মোকাবেলা করছে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

x

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও আমানত বেড়েছে

আপডেট: ১১:০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

দেশের নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো দীর্ঘদিন ধরে টাকার সংকট নিয়ে চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে গত ডিসেম্বর শেষে প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ও ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। এক বছরের ব্যবধানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত বেড়েছে এক হাজার ৭৭ কোটি টাকা বা দুই দশমিক ৪৬ শতাংশ। আর ঋণ বেড়েছে তিন হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত ২০২৩ সালের ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত দাঁড়িয়েছে ৪৪ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এর এক বছর আগে অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর শেষে এ খাতে আমানতের পরিমাণ ছিলো ৪৩ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। বছরের ব্যবধানে খাতটিতে আমানত বেড়েছে এক হাজার ৭৭ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

অপরদিকে গত ডিসেম্বর শেষে এ খাতে ঋণ স্থিতি ছিল ৭৩ হাজার ৭৫৯ কোটি টাকা। আগের বছরের চেয়ে যা তিন হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ বেশি। গত ২০২২ সালে এনবিএফআই খাতে ঋণ স্থিতি ছিল ৭০ হাজার ৩২১ কোটি টাকা।

তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে স্থায়ী আমানতের পরিমাণ টাকার অঙ্কে বাড়লেও মোট আমানতের অংশ কমেছে। মোট আমানতের মধ্যে স্থায়ী বা ফিক্সড আমানতের অংশ ২০২৩ সাল শেষে দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক শূণ্য ৬ শতাংশ। ২০২২ সাল শেষে তা ছিল ৯৭ দশামিক ৩৯ শতাংশ। গত ডিসেম্বর শেষে স্থায়ী আমানতের পরিমাণ ছিল ৪৩ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা।

আমানতের ৪১ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা বা ৯২ দশমিক ৪৫ শতাংশ ঢাকা বিভাগের। আর সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক ১২ শতাংশ বা ৫৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকার আমানত রয়েছে বরিশাল বিভাগে।

আমানতের মতো ঋণের সিংহভাগই ঢাকা বিভাগে। গত ডিসেম্বর শেষে মোট ঋণে ৮৩ দশমিক ৩১ শতাংশ বা ৬১ হাজার ৫৪৮ কোটি টাকা ঢাকা বিভাগেই দিয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। আর সবচেয়ে কম ঋণ স্থিতি ছিল বরিশাল বিভাগে ৩৭১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।

আরও পড়ুন: পারস্পরিক সহযোগিতায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে আগ্রহী বাংলাদেশ-ঘানা

জানা যায়, সরকারি-বেসরকারি মিলয়ে ৩৫টি এনবিএফআইয়ের সারা দেশে মোট শাখা সংখ্যা ছিল গত ডিসেম্বর শেষে ৩০৮টি, যার মধ্যে শহর এলাকায় ২৮৬টি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর শেষে এ খাতে গড় সুদহার ছিল আট দশমিক ৫৩ শতাংশ। অন্যদিকে গড় ঋণ সুদহার ছিল ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এর মধ্যে ভোক্তা ঋণে সর্বোচ্চ ঋণ সুদ হার দেখা যায়। এ সময়ে তা ছিল ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ‘স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল- স্মার্ট) সুদহার এর সঙ্গে সর্বোচ্চ দুই দশমিক পাঁচ শতাংশ মার্জিন যোগ করে আমানত ও সাড়ে পাঁচ শতাশং যোগ করে সুদে ঋণ দিতে পারবে এনবিএফআই।

এতে চলতি মার্চ মাসে নতুন আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ হবে ১২ দশমিক ১১ শতাংশ আর ঋণ সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ।

অধিকাংশ সময়ে এ খাতটির আমানতের পরিমাণ কমে যাওয়া, ঋণ আদায় কম হওয়ায় খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়া এবং ব্যবসায়িক মন্দায় প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় কমে যায়। এ কারণে এখন প্রতিষ্ঠানগুলো তীব্র আর্থিক সংকট মোকাবেলা করছে।

ঢাকা/এসএ