০৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের চাহিদা বাড়ছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০১:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪
  • / ১০২৩৫ বার দেখা হয়েছে

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে ২ হাজার ১৬৪ কোটি ৮১ লাখ মার্কিন ডলারের তৈরী পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ২ হাজার ১২২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইপিবি’র তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড এবং ডেনমার্কে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক রপ্তানি যথাক্রমে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ, ১.০২ শতাংশ, ১৬.২৭ শতাংশ, ১৭.২৮ শতাংশ এবং ২৬.৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপরদিকে, ইইউ’র বৃহত্তম রপ্তানিবাজার জার্মানিতে রপ্তানি কমেছে ১০.১২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত বাংলাদেশ জার্মানিতে তৈরী পোশাক রপ্তানি করেছে ৫৪২ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬০৩ কোটি ৬১ লাখ ডলার।

আলোচ্য সময়ে ইতালিতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৬.১০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ইতালিতে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৯৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইতালিতে পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ২০৬ কোটি ডলারের।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাজারে তৈরী পোশাক রপ্তানি কমলেও যুক্তরাজ্যে বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭৪৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের এবং কানাডায় ১৩৮ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ৭৭৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের এবং কানাডায় ১৩৯ কোটি ডলারের। সে হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমেছে ৩.৪৩ শতাংশ এবং কানাডায় কমেছে শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যের বাজারে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে তৈরী পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫১৫ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছিল ৪৫৯ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক। যুক্তরাজ্যে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১২.৩৪ শতাংশ।

আরও পড়ুন: এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতির নেপথ্যে অর্থসঙ্কট

অপ্রচলিত বাজারেও বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের মে শেষে অপ্রচলিত বাজারগুলোতে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৮১৮ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারগুলোতে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭৬৮ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের। অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৬.৪৭ শতাংশ।

প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি যথাক্রমে ১.৮৩ শতাংশ, ১১.৭৬ শতাংশ এবং ১৪.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, ভারতে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২৩.১১ শতাংশ।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

x

ইউরোপীয় ইউনিয়নে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের চাহিদা বাড়ছে

আপডেট: ০১:৫৫:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০২৪

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোতে ২ হাজার ১৬৪ কোটি ৮১ লাখ মার্কিন ডলারের তৈরী পোশাক রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ২ হাজার ১২২ কোটি ৩০ লাখ ডলারের। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

ইপিবি’র তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশ স্পেন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড এবং ডেনমার্কে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক রপ্তানি যথাক্রমে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ, ১.০২ শতাংশ, ১৬.২৭ শতাংশ, ১৭.২৮ শতাংশ এবং ২৬.৯৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপরদিকে, ইইউ’র বৃহত্তম রপ্তানিবাজার জার্মানিতে রপ্তানি কমেছে ১০.১২ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মে পর্যন্ত বাংলাদেশ জার্মানিতে তৈরী পোশাক রপ্তানি করেছে ৫৪২ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬০৩ কোটি ৬১ লাখ ডলার।

আলোচ্য সময়ে ইতালিতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৬.১০ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ইতালিতে পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৯৩ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইতালিতে পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ২০৬ কোটি ডলারের।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার বাজারে তৈরী পোশাক রপ্তানি কমলেও যুক্তরাজ্যে বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭৪৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের এবং কানাডায় ১৩৮ কোটি ৬৫ লাখ মার্কিন ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ৭৭৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের এবং কানাডায় ১৩৯ কোটি ডলারের। সে হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি কমেছে ৩.৪৩ শতাংশ এবং কানাডায় কমেছে শূন্য দশমিক ৩১ শতাংশ।

যুক্তরাজ্যের বাজারে চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে তৈরী পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৫১৫ কোটি ৯৯ লাখ মার্কিন ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যুক্তরাজ্যে রপ্তানি হয়েছিল ৪৫৯ কোটি ২৯ লাখ মার্কিন ডলারের পোশাক। যুক্তরাজ্যে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ১২.৩৪ শতাংশ।

আরও পড়ুন: এডিপি বাস্তবায়নে ধীরগতির নেপথ্যে অর্থসঙ্কট

অপ্রচলিত বাজারেও বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের মে শেষে অপ্রচলিত বাজারগুলোতে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৮১৮ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারগুলোতে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭৬৮ কোটি ৯৯ লাখ ডলারের। অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৬.৪৭ শতাংশ।

প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি যথাক্রমে ১.৮৩ শতাংশ, ১১.৭৬ শতাংশ এবং ১৪.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে, ভারতে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২৩.১১ শতাংশ।

ঢাকা/এসএইচ