০২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্পের খসড়া অনুমোদন ইসির

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৩:২৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  • / ১০৩৪৪ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: নতুন করে ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্পের খসড়া অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনের এক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ দুপুরে কমিশনের সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সরকারের অনুমোদনের জন্য এ প্রকল্প এখন পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। পরিকল্পনা কমিশন যাচাইবাছাইয়ের পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা হবে। এ ছাড়া ইভিএম সংরক্ষণ, জনবল তৈরি ও প্রশিক্ষণের জন্য এখানে ব্যয় রাখা হয়েছে।

সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ অধিকাংশ দলের বিরোধিতার মধ্যেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হলে ইসিকে নতুন করে আরও ইভিএম কিনতে হবে। এখন সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে ইসির। তাদের হাতে এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে।

গত আগস্টে ইসির সংলাপে ২২টি রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে মতামত দিয়েছিল। এর মধ্যে নয়টি দল সরাসরি ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে। আরও পাঁচটি দল ইভিএম নিয়ে সংশয় ও সন্দেহের কথা বলেছে। কেবল আওয়ামী লীগসহ চারটি দল ইভিএমে ভোট চেয়েছে। আর কয়েকটি দল শর্তসাপেক্ষে ইভিএমের পক্ষে বলেছে। 

রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি উপেক্ষা করে ২০১০ সালের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন। পরে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন আগের কমিশনের চালু করা ম্যানুয়াল ইভিএম বাতিল করে নিজেরাই ফিঙ্গারপ্রিন্টযুক্ত ইভিএম তৈরি করে। ব্যালটের চেয়ে ইভিএমের খরচ একটু বেশি হলেও নির্বাচনী অনিয়ম দূর করা সম্ভব বলে ইসি মনে করছে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বাস্তব চিত্র ভিন্ন। বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইভিএমও অরক্ষিত। ভোটকেন্দ্র দখল হলে ইভিএমেও জাল ভোট দেওয়া সম্ভব। 

এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছিল নূরুল হুদা কমিশন। তখন আলোচনায় ইভিএমের ব্যবহারের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছিল। সে সময় সংলাপে ৩৯টি দলের মধ্যে ২৩টি দল ইভিএম নিয়ে তাদের মত দিয়েছিল। এর মধ্যে বিএনপিসহ ১২টি দল ছিল ইভিএমের বিপক্ষে। আর আওয়ামী লীগসহ ১১টি দল ছিল পক্ষে। পক্ষে থাকা দলগুলোর মধ্যেও কয়েকটি দল পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহারের কথা বলেছিল। শেষ পর্যন্ত গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়।

ইসি-সংশ্লিষ্টরা জানান, গত পাঁচ বছরে মোট ৭৯১টি নির্বাচন হয়েছে ইভিএমে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি জাতীয় সংসদের বিভিন্ন আসনের উপনির্বাচনও ভোট হয়েছে ইভিএমে। জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের যেসব নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব মূলত শহর এলাকায়।

আরো পড়ুন: আজ ঢাকা আসছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

ঢাকা/এসএ 

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্পের খসড়া অনুমোদন ইসির

আপডেট: ০৩:২৮:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: নতুন করে ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্পের খসড়া অনুমোদন করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার নির্বাচন কমিশনের এক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আজ দুপুরে কমিশনের সভা শেষে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সরকারের অনুমোদনের জন্য এ প্রকল্প এখন পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। পরিকল্পনা কমিশন যাচাইবাছাইয়ের পর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই লাখ ইভিএম কেনা হবে। এ ছাড়া ইভিএম সংরক্ষণ, জনবল তৈরি ও প্রশিক্ষণের জন্য এখানে ব্যয় রাখা হয়েছে।

সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ অধিকাংশ দলের বিরোধিতার মধ্যেই আগামী জাতীয় নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হলে ইসিকে নতুন করে আরও ইভিএম কিনতে হবে। এখন সর্বোচ্চ ৭০ থেকে ৭৫টি আসনে ভোট নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে ইসির। তাদের হাতে এখন দেড় লাখ ইভিএম আছে।

গত আগস্টে ইসির সংলাপে ২২টি রাজনৈতিক দল ইভিএম নিয়ে মতামত দিয়েছিল। এর মধ্যে নয়টি দল সরাসরি ইভিএমের বিপক্ষে মত দিয়েছে। আরও পাঁচটি দল ইভিএম নিয়ে সংশয় ও সন্দেহের কথা বলেছে। কেবল আওয়ামী লীগসহ চারটি দল ইভিএমে ভোট চেয়েছে। আর কয়েকটি দল শর্তসাপেক্ষে ইভিএমের পক্ষে বলেছে। 

রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি উপেক্ষা করে ২০১০ সালের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করে এ টি এম শামসুল হুদা কমিশন। পরে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কমিশন আগের কমিশনের চালু করা ম্যানুয়াল ইভিএম বাতিল করে নিজেরাই ফিঙ্গারপ্রিন্টযুক্ত ইভিএম তৈরি করে। ব্যালটের চেয়ে ইভিএমের খরচ একটু বেশি হলেও নির্বাচনী অনিয়ম দূর করা সম্ভব বলে ইসি মনে করছে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বাস্তব চিত্র ভিন্ন। বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইভিএমও অরক্ষিত। ভোটকেন্দ্র দখল হলে ইভিএমেও জাল ভোট দেওয়া সম্ভব। 

এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছিল নূরুল হুদা কমিশন। তখন আলোচনায় ইভিএমের ব্যবহারের বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছিল। সে সময় সংলাপে ৩৯টি দলের মধ্যে ২৩টি দল ইভিএম নিয়ে তাদের মত দিয়েছিল। এর মধ্যে বিএনপিসহ ১২টি দল ছিল ইভিএমের বিপক্ষে। আর আওয়ামী লীগসহ ১১টি দল ছিল পক্ষে। পক্ষে থাকা দলগুলোর মধ্যেও কয়েকটি দল পরীক্ষামূলকভাবে ইভিএম ব্যবহারের কথা বলেছিল। শেষ পর্যন্ত গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়।

ইসি-সংশ্লিষ্টরা জানান, গত পাঁচ বছরে মোট ৭৯১টি নির্বাচন হয়েছে ইভিএমে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের পাশাপাশি জাতীয় সংসদের বিভিন্ন আসনের উপনির্বাচনও ভোট হয়েছে ইভিএমে। জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের যেসব নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার করা হয়েছে, সেসব মূলত শহর এলাকায়।

আরো পড়ুন: আজ ঢাকা আসছেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট

ঢাকা/এসএ