০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসরাইলি বাহিনীর অনুকরণে হাসপাতালে বিএনপির হামলা ন্যাক্কারজনক: তথ্যমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৬:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১০৩৭৫ বার দেখা হয়েছে

বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের নামে হাসপাতাল, পথচারী, সাংবাদিক, পুলিশ এবং বিভিন্ন স্থাপনার ওপরে হামলাকে ইসরাইলি বাহিনী ও একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতার সাথে তুলনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়ে প্রায় আটশ’ মানুষকে হত্যা করার পরও বিএনপি এবং জামাত এই বর্বরতার বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি বরং ইসরাইলি বাহিনীর অনুকরণে তারা শনিবার হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাজারবাগে হামলা চালিয়েছিলো, শনিবার বিএনপি-জামাতও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, বিশটির বেশি এম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিয়েছে। দেশের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল এ রকম হাসপাতালে হামলা করেছে বলে আমার জানা নেই।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির তারা সমাবেশের নামে নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল, বিজয়নগর, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। তাদের হামলায় আরো একশ’র বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুইজনের অবস্থা গুরুতর, আনসারের ২৫জন এবং ২১জন সাংবাদিক আহত হয়েছে, তারা প্রায় শতাধিক গাড়ি পুড়িয়েছে। শনিবার রাতে আমরা ঢাকা মেডিকেল ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে গেছি। দেখেছি বহু পুলিশ সদস্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বিএনপির তারা বেশিরভাগ পুলিশের মাথায় আঘাত করেছে যাতে মৃত্যু হয় এবং যে পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার খুলি নামিয়ে ফেলা হয়েছে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য।’

দেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কখনো এর আগে হামলা হয়নি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের কথা বলে বিএনপি সমাবেশ শুরুর আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, প্রধান বিচারপতি একটি প্রতিষ্ঠান, বিচার বিভাগের প্রধান, তার বাসভবনে তারা হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে ঢুকে পড়েছে যা। তবে ইতিপূর্বে বিএনপির আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় লাথি মেরেছিলো, সেটিও বিচার বিভাগকে তাদের তোয়াক্কা না করার প্রমাণ।’

আরও পড়ুন: সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আ.লীগ

এ দিন সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে হামলা বিএনপি জামাত চালিয়েছে আমি সেটির তীব্র নিন্দা জানাই। গণমাধ্যমকর্মীরা কোনো দলের পক্ষ হয়ে সেখানে যায়নি, নিউজ কাভার করতে গেছে এবং তারা বিএনপি বিটের সাংবাদিক, তাদের ওপর কেন হামলা হলো? গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এগুলোর বিচার হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব গতকাল নিহত শামীম মিয়াকে যুবদল নেতা বলে দাবি করেছেন, অথচ নিহতের পরিবার বলছে তিনি কোনো রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না এবং তার গায়ে কোনো আঘাত নাই এবং হাসপাতাল বলছে তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অর্থাৎ হত্যার দায় এড়ানোর জন্য বিএনপি আবারও মিথ্যাচার করছে।’

হাছান বলেন, ‘বিএনপি এইভাবে যখন তান্ডব শুরু করে তখন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এই তান্ডব বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। তখন বিএনপির নেতারা প্রথমে মঞ্চ ত্যাগ করে চলে যায়, তার সাথে সাথে তাদের কর্মী-সমর্থকরাও চলে যায়। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চা করার স্বার্থেই তারা যেখানে চেয়েছে সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সার্বিকভাবে সহায়তাও করা হয়েছে। কিন্তু কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, বিএনপিরও চরিত্র কখনো বদলায় না। এটিই প্রমাণিত হলো।’

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

ইসরাইলি বাহিনীর অনুকরণে হাসপাতালে বিএনপির হামলা ন্যাক্কারজনক: তথ্যমন্ত্রী

আপডেট: ০৬:৩৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩

বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের নামে হাসপাতাল, পথচারী, সাংবাদিক, পুলিশ এবং বিভিন্ন স্থাপনার ওপরে হামলাকে ইসরাইলি বাহিনী ও একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতার সাথে তুলনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘ইসরাইলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়ে প্রায় আটশ’ মানুষকে হত্যা করার পরও বিএনপি এবং জামাত এই বর্বরতার বিরুদ্ধে একটি শব্দ উচ্চারণ করেনি বরং ইসরাইলি বাহিনীর অনুকরণে তারা শনিবার হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাজারবাগে হামলা চালিয়েছিলো, শনিবার বিএনপি-জামাতও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, বিশটির বেশি এম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিয়েছে। দেশের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল এ রকম হাসপাতালে হামলা করেছে বলে আমার জানা নেই।’

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির তারা সমাবেশের নামে নাইটিঙ্গেল মোড়, কাকরাইল, বিজয়নগর, ফকিরাপুলসহ বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। তাদের হামলায় আরো একশ’র বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুইজনের অবস্থা গুরুতর, আনসারের ২৫জন এবং ২১জন সাংবাদিক আহত হয়েছে, তারা প্রায় শতাধিক গাড়ি পুড়িয়েছে। শনিবার রাতে আমরা ঢাকা মেডিকেল ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে গেছি। দেখেছি বহু পুলিশ সদস্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বিএনপির তারা বেশিরভাগ পুলিশের মাথায় আঘাত করেছে যাতে মৃত্যু হয় এবং যে পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার খুলি নামিয়ে ফেলা হয়েছে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য।’

দেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কখনো এর আগে হামলা হয়নি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের কথা বলে বিএনপি সমাবেশ শুরুর আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, প্রধান বিচারপতি একটি প্রতিষ্ঠান, বিচার বিভাগের প্রধান, তার বাসভবনে তারা হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে ঢুকে পড়েছে যা। তবে ইতিপূর্বে বিএনপির আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় লাথি মেরেছিলো, সেটিও বিচার বিভাগকে তাদের তোয়াক্কা না করার প্রমাণ।’

আরও পড়ুন: সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে আ.লীগ

এ দিন সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে হামলা বিএনপি জামাত চালিয়েছে আমি সেটির তীব্র নিন্দা জানাই। গণমাধ্যমকর্মীরা কোনো দলের পক্ষ হয়ে সেখানে যায়নি, নিউজ কাভার করতে গেছে এবং তারা বিএনপি বিটের সাংবাদিক, তাদের ওপর কেন হামলা হলো? গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। এগুলোর বিচার হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব গতকাল নিহত শামীম মিয়াকে যুবদল নেতা বলে দাবি করেছেন, অথচ নিহতের পরিবার বলছে তিনি কোনো রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না এবং তার গায়ে কোনো আঘাত নাই এবং হাসপাতাল বলছে তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। অর্থাৎ হত্যার দায় এড়ানোর জন্য বিএনপি আবারও মিথ্যাচার করছে।’

হাছান বলেন, ‘বিএনপি এইভাবে যখন তান্ডব শুরু করে তখন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এই তান্ডব বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়। তখন বিএনপির নেতারা প্রথমে মঞ্চ ত্যাগ করে চলে যায়, তার সাথে সাথে তাদের কর্মী-সমর্থকরাও চলে যায়। গণতান্ত্রিক রীতিনীতি চর্চা করার স্বার্থেই তারা যেখানে চেয়েছে সেখানে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সার্বিকভাবে সহায়তাও করা হয়েছে। কিন্তু কয়লা ধুলে ময়লা যায় না, বিএনপিরও চরিত্র কখনো বদলায় না। এটিই প্রমাণিত হলো।’

ঢাকা/এসএ