০৭:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ৫৫ নিষ্পাপ শিশু নিহত

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ০৯:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মে ২০২১
  • / ১০৪৮৬ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত সোমবার থেকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা ও ট্যাংক হামলায় ৫৫ নিষ্পাপ ফিলিস্তিনি শিশুর প্রাণহানি হয়েছে। রোববার হতাহত নিয়ে হালনাগাদ তথ্যে এমন খবর জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

হামাস শাসনাধীন অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল বর্বরোচিত হামলা শুরুর করার পর এখন পর্যন্ত ৫৫ শিশু ও ৩৩ জন নারীসহ মোট ১৮৮ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে গাজায়। এছাড়া গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে আরও ১৩ ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ২৩০ জন। বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলায় গুরুতর আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সংঘাতে পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

গাজায় ধসে পড়া ভবন ও বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত মানুষ ও মরদেহের খোঁজে তল্লাশি-উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে গাজা বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী। হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন হাজার হাজার পরিবার। তারপরও প্রাণে রক্ষা পাচ্ছে না।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৩ শিশুসহ আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরের আগে গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করে ইসরায়েল। এ নিয়ে ইসরায়েল টানা সপ্তম দিন টানা গাজায় হামলা চালাচ্ছে।

বেসামরিক প্রতিরক্ষাকর্মী মেদহাত হামদান গাজা শহরে এসেছেন খান ইউনিস থেকে। তিনি মানুষের জীবন বাঁচাতে টানা ১১ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আমরা মানুষের চিৎকার শুনতে পাচ্ছি।

ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিলিস্তিনিরা নিহত স্বজনের মরদেহ বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। উদ্ধারে সহযোগিতা করা সাত সন্তানের বাবা মাহমুদ হামাইদ বলেন, ‘ভয়াবহ এই নৃশংসতার কোনও বর্ণনা হয় না। মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প আঘাত করেছে।’

হামাস ও গাজার অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর রকেট হামলায় ইসরায়েলে এ পর্যন্ত দুটি শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে একজন সৈন্য রয়েছেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সোমবার থেকে হামাস ইসরায়েলে তিন সহস্রাধিক রকেট ছুড়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাতে হামাস ইসরায়েলের দিকে ১২০টি রকেট ছুড়েছে, এর অধিকাংশই আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সিস্টেম দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে আর প্রায় ডজন খানেক রকেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গাজার ভেতরেই পড়েছে।

ইসরায়েলের বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবনের নিচে চাপা পড়া এক ব্যক্তির পা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এ হামলা চলবেই। যত দিন প্রয়োজন, তত দিন হামলা চলবে। সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে সবকিছু করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের পর নেতানিয়াহু এমন ঘোষণা দিয়েছেন।

সংঘাত অবসানের কোনও ইঙ্গিত স্পষ্ট না হওয়ায় রোববার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। ইসরায়েল ও গাজার নিয়ন্ত্রক হামাস জানিয়েছে তারা আন্তঃসীমান্ত গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখবে।

ঢাকা/এসএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় ৫৫ নিষ্পাপ শিশু নিহত

আপডেট: ০৯:৫২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ মে ২০২১

বিজনেস জার্নাল ডেস্কঃ ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত সোমবার থেকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, বোমা ও ট্যাংক হামলায় ৫৫ নিষ্পাপ ফিলিস্তিনি শিশুর প্রাণহানি হয়েছে। রোববার হতাহত নিয়ে হালনাগাদ তথ্যে এমন খবর জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

হামাস শাসনাধীন অবরুদ্ধ গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েল বর্বরোচিত হামলা শুরুর করার পর এখন পর্যন্ত ৫৫ শিশু ও ৩৩ জন নারীসহ মোট ১৮৮ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে গাজায়। এছাড়া গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন পশ্চিম তীরে নিহত হয়েছে আরও ১৩ ফিলিস্তিনি।

এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১ হাজার ২৩০ জন। বোমা, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলায় গুরুতর আহত অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদিকে পশ্চিম তীরেও ইসরায়েলি সংঘাতে পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।

গাজায় ধসে পড়া ভবন ও বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত মানুষ ও মরদেহের খোঁজে তল্লাশি-উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে গাজা বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী। হামলার ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছেন হাজার হাজার পরিবার। তারপরও প্রাণে রক্ষা পাচ্ছে না।

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৩ শিশুসহ আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরের আগে গাজা শহরের প্রাণকেন্দ্রে ঘুমন্ত ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা করে ইসরায়েল। এ নিয়ে ইসরায়েল টানা সপ্তম দিন টানা গাজায় হামলা চালাচ্ছে।

বেসামরিক প্রতিরক্ষাকর্মী মেদহাত হামদান গাজা শহরে এসেছেন খান ইউনিস থেকে। তিনি মানুষের জীবন বাঁচাতে টানা ১১ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আমরা মানুষের চিৎকার শুনতে পাচ্ছি।

ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিলিস্তিনিরা নিহত স্বজনের মরদেহ বের করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। উদ্ধারে সহযোগিতা করা সাত সন্তানের বাবা মাহমুদ হামাইদ বলেন, ‘ভয়াবহ এই নৃশংসতার কোনও বর্ণনা হয় না। মনে হচ্ছিল ভূমিকম্প আঘাত করেছে।’

হামাস ও গাজার অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর রকেট হামলায় ইসরায়েলে এ পর্যন্ত দুটি শিশুসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন, এদের মধ্যে একজন সৈন্য রয়েছেন। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সোমবার থেকে হামাস ইসরায়েলে তিন সহস্রাধিক রকেট ছুড়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাতে হামাস ইসরায়েলের দিকে ১২০টি রকেট ছুড়েছে, এর অধিকাংশই আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী সিস্টেম দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে আর প্রায় ডজন খানেক রকেট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গাজার ভেতরেই পড়েছে।

ইসরায়েলের বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি ভবনের নিচে চাপা পড়া এক ব্যক্তির পা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, এ হামলা চলবেই। যত দিন প্রয়োজন, তত দিন হামলা চলবে। সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে সবকিছু করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপের পর নেতানিয়াহু এমন ঘোষণা দিয়েছেন।

সংঘাত অবসানের কোনও ইঙ্গিত স্পষ্ট না হওয়ায় রোববার পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। ইসরায়েল ও গাজার নিয়ন্ত্রক হামাস জানিয়েছে তারা আন্তঃসীমান্ত গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখবে।

ঢাকা/এসএ