ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন

- আপডেট: ০৫:৫৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ১০২১৭ বার দেখা হয়েছে
ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্ত অদক্ষ কর্মকর্তাদের অবিলম্বে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের সামনে সচেতন ব্যাংকার সমাজের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে একই দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরাম।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, পটিয়া বাহিনী ও এস আলমের অবৈধ দখলদার চক্রের কারণে ব্যাংকের সর্বত্র অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকে এসব নিয়োগপ্রাপ্ত অদক্ষ কর্মকর্তা ব্যাংকের স্থিতিশীল পরিবেশ নষ্ট করছে। এর ফলে ব্যাংকের সম্পদ ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে এবং গ্রাহক হয়রানির আশঙ্কা বাড়ছে।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামী ব্যাংকের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ দুবার হ্যাক হওয়ার ঘটনাও এসব দখলদার চক্রের ছত্রছায়ায় ঘটেছে।
তারা বলেন, ‘আমরা আর কোনো অরাজকতা দেখতে চাই না, আর কোনো পটিয়া সন্ত্রাসী বা এস আলমের অদক্ষ নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সহ্য করা হবে না। অবিলম্বে তাদের বহিষ্কার করতে হবে।’
বিক্ষোভে ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও ইসলামী ব্যাংক গ্রাহক ফোরামের নেতাকর্মী ও সাধারণ গ্রাহকরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা সতর্ক করে বলেন, ‘আর কালক্ষেপণ নয়। দখলদার ও অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের মাধ্যমে যেন ব্যাংকে আর কোনো অঘটন না ঘটে, সে জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। অদক্ষ কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় এস আলম গ্রুপসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বড় অঙ্কের অর্থলোপাট, অর্থপাচার ও সম্পদ বিদেশে পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
তারা আরও বলেন, ব্যাংকের আর্থিক দুরবস্থা এবং দেশের বৈদেশিক মুদ্রা বিশেষত ডলারের সংকটের পেছনে এই অর্থপাচারের অংশীদারত্বকে দায়ী করা হয়েছে; ফলে আমদানি ও অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে ভুয়া ঋণ ও স্বচ্ছতাহীন ঋণ প্রদানের ফলে বৃহৎ ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে।
এসময় গ্রাহক ফোরামের সদস্যরা জানান, যেসব ব্যক্তির মাধ্যমে অর্থপাচার ও ঋণলোপাট হয়েছে—তাদের সম্পদ উদ্ধারের জন্য যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং পাচার অর্থ খুঁজে বের করে বাজেয়াপ্ত করা হোক। ব্যাংকের নিয়োগপ্রক্রিয়া, এমপ্লয় থেকে অডিট ও কোর গভার্নেন্স ব্যবস্থাসহ সার্বিক পুনর্গঠন করা হোক যাতে ভবিষ্যতে এমন অনিয়ম আর না হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, আপরাধ তদন্ত সংস্থা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিসূচকভাবে এই ঘটনার তৎপর তদন্ত সম্পন্ন করুক এবং ফল জানতে জনসাধারণের কাছে প্রতিবেদন প্রকাশ করুক। আমরা দৃঢ়ভাবে দাবি জানাই যে ওপরের অনিয়ম ও অভিযোগগুলো দ্রুত, স্বচ্ছ ও দৃষ্টান্তমূলকভাবে তদন্ত করা হোক এবং দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হোক—না হলে ব্যাংকের বিশ্বাসযোগ্যতা ও দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ঢাকা/এসএইচ