০৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উচ্চ নীতি সুদহার বেসরকারি খাতে প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করবে: ডিসিসিআই

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ১০৩২২ বার দেখা হয়েছে

ফাইল ফটো

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ রাখার পাশাপাশি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বজায় রাখার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংগঠনটি মনে করছে, বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এই কঠোর অবস্থানের উদ্যোগ বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহের পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর ডিসিসিআই থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিনিয়োগের জন্য দেশের বেসরকারি খাত ব্যাংকগুলোর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে থাকে, তবে উচ্চ সুদের হার পণ্য উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ১০.৮৯ শতাংশ হতে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি ৯.৯৪ শতাংশে নেমে আসা সত্ত্বেও এটি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নামেনি।

আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় কমেছে ৪৬ ডলার

ডিসিসিআই জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সালের জন্য বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯.৮%-এ অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত বেসরকারি খাতকে কিছুটা আশাহত করেছে, যদিও ২০২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত প্রকৃত প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৩%, যা বিগত ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অপরদিকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৪.২% হলেও তা বেড়ে ১৮.১% পৌঁছেছে, এটি মোকাবিলায় সরকারকে কৃচ্ছতা সাধনের দিকে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন, অন্যথায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ আরও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে।

খাতের আস্থা ও ব্যবসায়িক কার্যকলাপ পুনরুদ্ধারের জন্য এ খাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই দ্বি-অঙ্কের ঘরে থাকা প্রয়োজন। নিয়ন্ত্রণমূলক আর্থিক নীতিমালার কারণে অর্থনীতিতে স্থবিরতা তৈরির ঝুঁকি মোকাবিলায় ঢাকা চেম্বার ঋণের প্রবাহ বাড়াতে খাতভিত্তিক তহবিল এবং উদ্যোক্তা সহায়তা কর্মসূচি চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

ডিসিসিআই আরও নমনীয় মুদ্রানীতি গ্রহণ, ভারসাম্যপূর্ণ আর্থিক নীতি গ্রহণ, মুদ্রাস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির ওপর এর প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, যার মাধ্যমে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।

এ ছাড়া বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামী দিনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারবে বলে মনে করে ডিসিসিআই।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

উচ্চ নীতি সুদহার বেসরকারি খাতে প্রবৃদ্ধি ব্যাহত করবে: ডিসিসিআই

আপডেট: ১০:৫৩:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে নীতি সুদহার ১০ শতাংশ রাখার পাশাপাশি সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি বজায় রাখার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তে কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

সংগঠনটি মনে করছে, বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এই কঠোর অবস্থানের উদ্যোগ বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহের পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্প্রসারণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি ঘোষণার পর ডিসিসিআই থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিনিয়োগের জন্য দেশের বেসরকারি খাত ব্যাংকগুলোর ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভর করে থাকে, তবে উচ্চ সুদের হার পণ্য উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ১০.৮৯ শতাংশ হতে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি ৯.৯৪ শতাংশে নেমে আসা সত্ত্বেও এটি কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় নামেনি।

আরও পড়ুন: মাথাপিছু আয় কমেছে ৪৬ ডলার

ডিসিসিআই জানুয়ারি-জুন ২০২৫ সালের জন্য বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৯.৮%-এ অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত বেসরকারি খাতকে কিছুটা আশাহত করেছে, যদিও ২০২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধ পর্যন্ত প্রকৃত প্রবৃদ্ধি ছিল ৭.৩%, যা বিগত ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অপরদিকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ১৪.২% হলেও তা বেড়ে ১৮.১% পৌঁছেছে, এটি মোকাবিলায় সরকারকে কৃচ্ছতা সাধনের দিকে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন, অন্যথায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ আরও হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেবে।

খাতের আস্থা ও ব্যবসায়িক কার্যকলাপ পুনরুদ্ধারের জন্য এ খাতে ঋণ প্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা অবশ্যই দ্বি-অঙ্কের ঘরে থাকা প্রয়োজন। নিয়ন্ত্রণমূলক আর্থিক নীতিমালার কারণে অর্থনীতিতে স্থবিরতা তৈরির ঝুঁকি মোকাবিলায় ঢাকা চেম্বার ঋণের প্রবাহ বাড়াতে খাতভিত্তিক তহবিল এবং উদ্যোক্তা সহায়তা কর্মসূচি চালু করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

ডিসিসিআই আরও নমনীয় মুদ্রানীতি গ্রহণ, ভারসাম্যপূর্ণ আর্থিক নীতি গ্রহণ, মুদ্রাস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধির ওপর এর প্রভাব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, যার মাধ্যমে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।

এ ছাড়া বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ গড়ে তোলা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশ আগামী দিনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারবে বলে মনে করে ডিসিসিআই।

ঢাকা/এসএইচ