০১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উন্নয়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১০:৫১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২
  • / ১০৩২২ বার দেখা হয়েছে

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন তৎপরতায় প্রকৌশলীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়নই একটি জাতির উন্নয়নের মূল বিষয়।   

শনিবার (৭ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এক বাণীতে একথা বলেন। এ উপলক্ষে তিনি দেশের সকল প্রকৌশলীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী লগ্নে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এ অনন্য অর্জনে প্রকৌশলীদের অবদান রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও তার বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণে এবং খাদ্য জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার  বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীরা মূখ্য ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি  প্রত্যাশা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি টানেল, এল এনজি টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ১০০টি বিশেষ অঞ্চলসহ সড়ক, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এ সব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে প্রকৌশলীগণই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার সবসময়ই প্রকৌশলীদের পাশে রয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা আইইবি ভবন নির্মাণের জন্য রমনায় ১০ বিঘা জমি রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছি। এছাড়া ভবনের কাজ শুরু করার জন্য পাঁচ কোটি টাকা, দাউদকান্দিতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ নির্মাণের জন্য ৭২ বিঘা জমি, স্টাফ কলেজের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ৪৬ কোটি টাকা, খুলনা কেন্দ্রের জন্য কেডিএ এর জায়গা বরাদ্দ, পূর্বাচলে  আইইবি’র জন্য ২ বিঘা জমি, রাঙ্গাদিয়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, দিনাজপুর কেন্দ্র এবং ফেনী ও কক্সবাজার উপকেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান করেছি। আইইবি ভবনের জন্য সর্বমোট ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনেও প্রকৌশলীগণ অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রকৌশলীরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য  কামনা করেন।

ঢাকা/টিএ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

উন্নয়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট: ১০:৫১:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন তৎপরতায় প্রকৌশলীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপুর্ণ। প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়নই একটি জাতির উন্নয়নের মূল বিষয়।   

শনিবার (৭ মে) ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ‘ইঞ্জিনিয়ার্স ডে’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এক বাণীতে একথা বলেন। এ উপলক্ষে তিনি দেশের সকল প্রকৌশলীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানান।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষ ও মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী লগ্নে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। এ অনন্য অর্জনে প্রকৌশলীদের অবদান রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও তার বিরুপ প্রভাব মোকাবিলায় উপযোগী অবকাঠামো নির্মাণে এবং খাদ্য জ্বালানি নিরাপত্তা অর্জনে প্রকৌশলীদের আরো কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার  বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রকৌশলীরা মূখ্য ভূমিকা রাখবেন বলে তিনি  প্রত্যাশা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে দেশে পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলি টানেল, এল এনজি টার্মিনাল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, ১০০টি বিশেষ অঞ্চলসহ সড়ক, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এ সব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়নে প্রকৌশলীগণই মূখ্য ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার সবসময়ই প্রকৌশলীদের পাশে রয়েছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরা আইইবি ভবন নির্মাণের জন্য রমনায় ১০ বিঘা জমি রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়েছি। এছাড়া ভবনের কাজ শুরু করার জন্য পাঁচ কোটি টাকা, দাউদকান্দিতে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফ কলেজ নির্মাণের জন্য ৭২ বিঘা জমি, স্টাফ কলেজের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য ৪৬ কোটি টাকা, খুলনা কেন্দ্রের জন্য কেডিএ এর জায়গা বরাদ্দ, পূর্বাচলে  আইইবি’র জন্য ২ বিঘা জমি, রাঙ্গাদিয়া, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, দিনাজপুর কেন্দ্র এবং ফেনী ও কক্সবাজার উপকেন্দ্রের জন্য জমি প্রদান করেছি। আইইবি ভবনের জন্য সর্বমোট ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠনেও প্রকৌশলীগণ অনন্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। প্রযুক্তি ও প্রকৌশলগত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রকৌশলীরা দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। তিনি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এর ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য  কামনা করেন।

ঢাকা/টিএ