একুশে পদক পেলেন ২১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান

- আপডেট: ০২:৪৬:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১০৪২৮ বার দেখা হয়েছে
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৯ বিশিষ্টব্যক্তি ও দুটি প্রতিষ্ঠান চলতি বছর (২০২৩) একুশে পদক পেয়েছেন। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ পদক তুলে দেন।
এবার ভাষা আন্দোলনের তিনজন, শিল্পকলায় আটজন, শিক্ষায় এক ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান, সমাজ সেবায় এক ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠান এবং রাজনীতিতে দুজন একুশে পদক পেয়েছেন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে একজন, সাংবাদিকতায় একজন, গবেষণায় একজন এবং ভাষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে একজনকে একুশে পদক দেওয়া হয়েছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
বিজয়ীরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিজ নিজ পদক নেন এবং মরণোত্তর একুশে পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্যরা নেন।
‘ভাষা আন্দোলন’ ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পদক পেয়েছেন খালেদা মনযুর-ই-খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম শামসুল হক (মরণোত্তর) ও হাজী মো. মজিবর রহমান। শামসুল হকের ছেলে এ কে এম দিদারুল হক পদক গ্রহণ করেন।
‘শিল্পকলা’ ক্ষেত্রে পদক পেয়েছেন- মাসুদ আলী খান (অভিনয়), শিমুল ইউসুফ (অভিনয়), মনোরঞ্জন ঘোষাল (সংগীত), গাজী আব্দুল হাকিম (সংগীত), ফজল-এ-খোদা (সংগীত) (মরণোত্তর), জয়ন্ত চট্টপাধ্যায় (আবৃত্তি), নওয়াজীশ আলী খান, কনক চাঁপা চাকমা (চিত্রকলা)।
‘শিক্ষা’ ক্ষেত্রে পদক পেলেন অধ্যাপক ড. মাযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর)। জাতীয় জাদুঘরকেও এ ক্যাটাগারিতে পদক দেওয়া হয়েছে। মাযহারুলের পক্ষে তার ছেলে চয়ন ইসলাম পদক নেন। জাতীয় জাদুঘরের পদক গ্রহণ করেন মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।
‘সমাজসেবা’য় পদক পেয়েছে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। মো. সাইদুল হকও ‘সমাজসেবা’য় একুশে পদক পেয়েছেন। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের পক্ষে কিশোর কুমার দাস প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পদক নেন।
অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) এবং আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর) ‘রাজনীতি’ ক্যাটাগরিতে একুশে পদক পেয়েছেন। মঞ্জুরুল ইমামের পক্ষে ছেলে আব্দুল্লাহ হারুন এবং আকতার উদ্দিন মিয়ার ছেলে পদক নেন।
এছাড়া ‘মুক্তিযুদ্ধ’ ক্যাটাগরিতে মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর), ‘সাংবাদিকতা’য় মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর), ‘গবেষণা’য় ড. মো. আব্দুল মজিদ, ‘ভাষা ও সাহিত্য’ ক্ষেত্রে ড. মনিরুজ্জামান একুশে পদক পেয়েছেন।
এর মধ্যে মমতাজ উদ্দীনের সহধর্মিণী শেফালী মমতাজ, শাহ আলমগীরের মেয়ে অর্চি অনন্যা প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে পদক নেন।
আরও পড়ুন: গুণীজনদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচিত প্রত্যেককে ৪ লাখ টাকার চেকসহ ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে চালু করা একুশে পদক সরকার প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দিয়ে থাকে।
অনুষ্ঠানে পদকপ্রাপ্ত সুধীজনের নাম ঘোষণা ও পরিচিতি পাঠ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর।
ঢাকা/এসএ