০২:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

এক লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের রেকর্ড!

বিজনেস জার্নাল প্রতিবেদক:
  • আপডেট: ১২:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪
  • / ১১১৮১ বার দেখা হয়েছে

খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিতে আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা বেড়ে মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকায়। ওই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের যা ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। এক বছর আগের তুলনায় যা ৫০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা বেশি। আইএমএফের শর্ত মেনে খেলাপি ঋণ কমানোর পরিবর্তে এভাবে বাড়ল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আইএমএফের শর্ত মেনে ২০২৬ সালের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ৫ শতাংশের নিচে এবং সরকারি ব্যাংকের ১০ শতাংশের নিচে নামানোর কথা। তবে আগের মতো নানা কৌশলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর সুযোগ উঠে যাচ্ছে। আবার তদারকি শিথিলতার কারণে জালিয়াতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণ আর ফেরত আসছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যা ছিল ৯ শতাংশ। এর মানে প্রথম তিন মাসে খেলাপি ঋণ ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা বাড়লেও ঋণ বেড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর সঠিক কোনো কর্মপরিকল্পনা নেই: সানেম

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলোর ৩ লাখ ১২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ২৭ শতাংশ। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর ১২ লাখ ২১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। বিদেশি ব্যাংকগুলোর ৬৬ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। আর বিশেষায়িত ব্যাংকের ৪০ হাজার ৩২ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

ঢাকা/এসএইচ

শেয়ার করুন

error: Content is protected ! Please Don't Try!

এক লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণের রেকর্ড!

আপডেট: ১২:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

খেলাপি ঋণ বৃদ্ধিতে আগের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা বেড়ে মার্চ শেষে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ১ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকায়। ওই সময় পর্যন্ত বিতরণ করা মোট ঋণের যা ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। এক বছর আগের তুলনায় যা ৫০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা বেশি। আইএমএফের শর্ত মেনে খেলাপি ঋণ কমানোর পরিবর্তে এভাবে বাড়ল।

অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুকটুইটারলিংকডইনইন্সটাগ্রামইউটিউব

আইএমএফের শর্ত মেনে ২০২৬ সালের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপি ৫ শতাংশের নিচে এবং সরকারি ব্যাংকের ১০ শতাংশের নিচে নামানোর কথা। তবে আগের মতো নানা কৌশলে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর সুযোগ উঠে যাচ্ছে। আবার তদারকি শিথিলতার কারণে জালিয়াতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণ আর ফেরত আসছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি হয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ লাখ ১৭ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা, যা ছিল ৯ শতাংশ। এর মানে প্রথম তিন মাসে খেলাপি ঋণ ৩৬ হাজার ৬৬২ কোটি টাকা বাড়লেও ঋণ বেড়েছে মাত্র ২৩ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর সঠিক কোনো কর্মপরিকল্পনা নেই: সানেম

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মার্চ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলোর ৩ লাখ ১২ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ২৭ শতাংশ। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর ১২ লাখ ২১ হাজার ১১৬ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। বিদেশি ব্যাংকগুলোর ৬৬ হাজার ৪৩৭ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে খেলাপি ৫ দশমিক ২০ শতাংশ। আর বিশেষায়িত ব্যাংকের ৪০ হাজার ৩২ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ১৩ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

ঢাকা/এসএইচ