এখনও নেভেনি মোংলা ইপিজেডের কারখানার আগুন

- আপডেট: ১১:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ১০৩৯০ বার দেখা হয়েছে
এখনও পুরোপুরি নেভেনি বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের ভিআইপি কারখানার আগুন। কারখানার ভেতরে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ভারতীয় কোম্পানি ভিআইপির লাগেজ কারখানায় এ অগ্নিকাণ্ডে ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন কর্মকর্তারা। ভিআইপি কারখানার কর্মকর্তা মিজানুর রহমান খান বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টায় এ তথ্য জানান। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টায় লাগা ভয়াবহ এ আগুনে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে।
অর্থনীতি ও শেয়ারবাজারের গুরুত্বপূর্ন সংবাদ পেতে আমাদের সাথেই থাকুন: ফেসবুক–টুইটার–লিংকডইন–ইন্সটাগ্রাম–ইউটিউব
মিজানুর রহমান খান বলেন, ‘মঙ্গলবার দুপুরে তাদের মোংলা ইপিজেডে ৯টি কারখানার মধ্যে ১ নম্বর কারখানাটিতে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোংলা, বাগেরহাট ও রামপালের আটটি ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে গেলেও ততক্ষণে কারখানাটি পুড়ে যায়। এ সময় কারখানাটিতে থাকা লাগেজ তৈরির কাঁচামাল এবং তৈরি করা লাগেজ ছিল। যা বেশ কয়েকটি বিদেশি রাষ্ট্রে রফতানির অপেক্ষায় ছিল। এ ছাড়া এ কারখানায় রাসায়নিক আঠা, পলিথিনজাতীয় দাহ্য পদার্থ এবং হাই ভোল্টেজ মেশিনারিজ যন্ত্রপাতিও সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়ে মোট ১৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি উল্লেখ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোংলা থানায় একটি জিডিও করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক লাখ ১১ হাজার বর্গফুটের এ লাগেজ কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের সময় কর্মরত ৭০০ শ্রমিক নিরাপদে দ্রুত বেরিয়ে এসেছেন। এজন্য কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।’
ফায়ার সার্ভিসের মোংলা বন্দর ইউনিটের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আরবেশ আলী বলেন, ‘ভিআইপি কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও ভেতর থেকে এখনও ধোঁয়া বের হচ্ছে। মনে হচ্ছে এখনও পুরোপুরি নেভেনি। তারপরও আমাদের মোংলা বন্দর, রামপাল খুলনা ও বাগেরহাটের ৮টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে।’
মোংলা ইপিজেড কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে ভারতীয় কোম্পানি ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রি বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিডেট এখানে বিনিয়োগ শুরু করে। শুরুতে তারা ছয়টি কারখানা দিয়ে পণ্য উৎপাদনে যায়। পরে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এখানে তাদের ৯টি কারখানা রয়েছে। এসব কারখানায় ব্যাগ ও লাগেজ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের সব দেশে রফতানি করা হয়।’
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের সম্মানে বাংলায় রায় দিলেন হাইকোর্ট
মোংলা ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মাহাবুব আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ‘ইপিজেডের ভেতরে ভিআইপির ১ নম্বর কারখানার আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। কারখানাটিতে আগুন লেগে ভিআইপির অর্থনৈতিকভাবে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ ঘটনায় ইপিজেডের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক (হিসাব) আবুল হাসান মুন্সিকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবে। এরপর ঘটনার আসল কারণ জানা যাবে।’ উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর মোংলা ইপিজেডের একটি সুতার কারখানায় আগুন লাগে।
ঢাকা/এসএ